আইপিএল : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার বিজয়কুমার ভৈশাখের বলটি ওয়াইড লং অন দিয়ে বাউন্ডারি পার করলেন। এরপরে করলেন উদযাপন। যতটা খুনে মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন ঠিক ততটাই ঠান্ডা মেজাজে করলেন তার সেঞ্চুরি উদযাপন। সেঞ্চুরি উদযাপন টা ছিল ক্রিস গেইলের মত। বলছিলাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ট্রাভিস হেডের কথা। গতকাল করেছেন চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। মাত্র ৩৯ বলে তিনি সেঞ্চুরি করেন। এরপরই অবশ্য আউট হয়ে যান। তবে আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে আটটি ছক্কা ও নয়টি চারে সর্বমোট ১০২ রান করেন।

হেড আউট হয়ে যাওয়ার পরেও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ যেভাবে খেলছিল তাতে মনে হচ্ছিলো আইপিএল এর ইতিহাসের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইতিহাস হয়তো আরো একবার ভাঙতে যাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি তাই হল। হেড সেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যাওয়ার পর হাইনরিখ ক্লাসেনের ৩১ বলে ৬৭ এবং এইডেন মার্করাম ১৭ বলে ৩২ ও আবদুল সামাদের ১০ বলে ৩৭ রানের উপর ভর করে নিজেদের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এবারের আইপিএলে মুম্বাই এর সাথে ম্যাচে ২৭৭ রান করে আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড করেছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। নিজেদের করা রেকর্ড আবার নতুন করে লেখালেন গতকালকের ম্যাচে। মাত্র ৩ উইকেট এর বিনিময়ে করেন ২৮৭ রান।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দেওয়া ২৮৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু শুরুটা ভালো করলেও পর্বতসম রান তারা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি। ফাফ ডু প্লেসির দল থামে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান তুলে, এর ফলে ২৫ রানে জিতে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এতে করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জায়গা হয় পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে এবং টেবিলের তলানিতে বেঙ্গালুরু।

ব্যাট করতে নেমে প্রথম ছয় ওভারে ৮০ রান তুলে ফেলেছিল বেঙ্গালুরু। এরপর ভাঙ্গে তাদের ওপেনিং জুটি। বেঙ্গালুরু ওপেনার বিরাট কোহলি ২০ বলে ৪২ রান করার পর মায়াঙ্ক মারকান্দের বলে আউট হন। এরপর বেঙ্গালুরুর রানের গতি যেমন কমতে থাকে তেমনি ভাবে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। ডু প্লেসিও আউট হন ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ২৮ বলে ৬২ রান করে। ডু প্লেসি আউট হয়ে যাওয়ার পরমহীপাল লোমরোর ও দিনেশ কার্তিক জুটি করার চেষ্টা করেন। তারা দুজন মিলে করেন ২৫ বলে ৫৯ রান যা হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোন কাজে আসেনি। কারণ শেষ ৩০ বলে বেঙ্গালুরুর দরকার ছিল ১০০ রান। এরপরও দিনেশ কার্তিক একাই লড়াই করে যান। ৭ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংসটি বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা মনে রাখবেন অনেক দিন।