Better Life with Steem || The Diary Game || April 21, 2024
Image edited by Adobe
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ২১শে এপ্রিলের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল আটটার সময় আমি ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। তারপর ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে খবরের কাগজ পড়তে বসলাম। রবিবার আমি একটু বেশি সময় নিয়ে খবরের কাগজ পড়ি।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে আমি দোকানে গিয়ে পেটাই পরোটা আর মালপোয়া কিনে নিয়ে আসলাম। ব্রেকফাস্ট করার সময় আমি লক্ষ্য করলাম পেটাই পরোটার সাথে যে ঘুগনি দেয় তাতে অতিরিক্ত জল দেয়া হয়েছে আর লবনের পরিমাণ যথেষ্ট কম। আমার মনে হয় ঘুগনি তৈরি হয়ে যাবার পর ঘুগনির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য এতে পরে জল দেওয়া হয়েছে।
যাই হোক, ব্রেকফাস্ট হয়ে যাবার পর আমি কিছু জামাকাপড় সাবান জলে ভিজিয়ে রাখলাম পরে কাচবো বলে। এরপর আমি সব ঘরগুলো ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম। তারপর আমি ইনডাকশনে ভাত বসিয়ে দিয়ে জামাকাপড় গুলো কেচে ফেললাম। আজকে দিদির বাড়ি থেকে খাবার পাঠাবে, তাই আমাকে রান্না করতে হবে না।
“দুপুর” |
---|
দুপুর একটা নাগাদ আমি স্নান করে নিলাম। একটু পরে দিদি ভাগ্নের হাত দিয়ে আমাকে খাবার পাঠালে আমি লাঞ্চ করতে বসলাম। আজকে আমার লাঞ্চের মেনু ছিল মুরগির মাংস আর আমের চাটনি। লাঞ্চের পরে আমি কিছুটা পরিমাণ দই খেলাম। তারপর আমি ঘন্টাখানেকের জন্য ঘুমাতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি এক কাপ চা খেলাম। তারপর আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাঁটতে বের হলাম। এই গরমে খুব বেশি সময় ধরে আমি হাঁটছি না। এলাকার মধ্যেই আমি একটু ঘোরাঘুরি করলাম। চলার পথে আমি রাস্তার আর লেকের একটা করে ছবি তুলে নিলাম।
এরপর বাড়ি ফিরে আমি প্রথমে বারান্দায় মেলে রাখা জামাকাপড় সব ঘরে তুলে নিলাম। তারপর আমি সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।
“রাত” |
---|
ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর আমি বেশ কিছু কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম। এরপর আমি গতকাল যে ওয়েব সিরিজটা দেখছিলাম সেই সানফ্লাওয়ার এর বাকি পর্বগুলো দেখা শুরু করলাম।
ওয়েব সিরিজ দেখার মাঝপথে আমি একবার দোকানে গিয়ে দুই প্যাকেট ম্যাঙ্গো লস্যি কিনে নিয়ে আসলাম রাতে ডিনার করার পর খাবো বলে। রাত দশটার পরে দিদি আমার ফ্ল্যাটে আসলো। আমার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে দিদি বাড়িতে চলে গেলো।
দিদি চলে যাওয়ার পর আমি ডিনার করে নিলাম। এরপর আমি এক গ্লাস লস্যি খেলাম। তারপর আমি আবার ওয়েব সিরিজ দেখতে লাগলাম। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আমি আগামীকাল শ্বশুরবাড়িতে যেতাম মেয়েকে দেখতে। কিন্তু যা প্রচণ্ড গরম পড়েছে আমি অতটা পথ জার্নি করার রিস্ক নিতে পারছি না। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘুম পেয়ে গেলে আমি ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২১শে এপ্রিলের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1782394704719388814
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
@jasonmunapasee, thank you very much for your support.
প্রতিদিনের মতই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেছেন। তবে আজকে বাইরে থেকে নাস্তা নিয়ে এসে ব্রেকফাস্ট করেছেন। ঘরের কাজগুলো সব সময় আপনাকে একাই করতে হয়।
আপনার বাসায় দেখি সব সময় কেউ না কেউ খাবার পাঠিয়ে দেয় এজন্য রান্না করার কোন ঝামেলা থাকে না।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রবিবার আমি সাধারণত বাইরে থেকে খাবার কিনে নিয়ে এসে খাওয়াই পছন্দ করি। ইদানিং বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে রান্না করতে হচ্ছে না, হয় দিদি নয়তো কাকিমা আমাকে খাবার পাঠাচ্ছে। এই গরমে যদি আমাকে রোজ রান্না করতে হতো তাহলে আমার অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যেতো।
অনেক অসাধু ব্যবসায়ি ঠিক এমনটাই করে থাকে। যখন দেখে ঘুগনির পরিমান কমে গিয়েছে কিন্তু ক্রেতার চাহিদা বেশি থাকে তখন ক্রেতারা জল মিশিয়ে থাকে।যেটা সত্যিই কোনো ব্যবসায়ীর কাছে কাম্য নয়।
ব্যবসায়ী বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই কম বেশি অসাধু হয়ে থাকে এটা আমি লক্ষ্য করেছি। আর ঐ দোকান থেকে খাবো না। বেশি লোভের কারণে ওরা একজন খদ্দেরকে হারালো। ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।