Better Life with Steem || The Diary Game || April 22, 2024
Image edited by Adobe
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ২২শে এপ্রিলের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল দশটার সময় আমার ঘুম ভাঙলো। ময়লা ফেলা দরকার ছিল কিন্তু তা আর হলো কই। অগত্যা ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে আমি রোজকার মতো খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে আমি মিষ্টির দোকানে গিয়ে চারটে দানাদার আর একটা বানরুটি কিনে নিয়ে আসলাম। ঘরে ফিরে আমি দানাদার আর বানরুটি দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম।
তারপর এক কাপ চা খেয়ে নিয়ে আমি বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। এরপর ইনডাকশনে ভাত বসিয়ে দিয়ে আমি ঘরদোর সব ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম। আজকেও আমাকে রান্না করতে হবে না কারণ দিদির বাড়ি থেকে খাবার পাঠাবে।
“দুপুর” |
---|
আমি স্নান করে নেবার কিছুক্ষণ পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ ভাগ্নে খাবার দিয়ে গেলে আমি লাঞ্চ করতে বসলাম। আজকে আমার লাঞ্চের মেনু ছিল আম দিয়ে টক ডাল, পাট শাকের বড়া আর ডালের বড়ার ঝোল। লাঞ্চের পর আমি টক দই খেলাম এবং তারপর ঘন্টাখানেকের জন্য ঘুমাতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি এক কাপ চা বানিয়ে খেলাম। তারপর আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাটতে বের হলাম। হাতে একদম ক্যাশ ছিল না বলে আমি একটা এটিএম কাউন্টারে গিয়ে কিছু টাকা তুললাম।
তারপর আমি হাঁটতে হাঁটতে পদ্মশ্রী সিনেমা হলের সামনে গেলাম এবং একটা ছবি তুলে নিলাম।
এরপর বাড়ি ফিরে আমি প্রথমে সন্ধ্যে দিলাম। তারপর আমি এক কাপ চা করে নিয়ে ল্যাপটপ অন করে স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।
“রাত” |
---|
ডেইলি ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর আমি অল্প কিছু কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম। এরপর আমি সানফ্লাওয়ার ওয়েব সিরিজ পুনরায় দেখা শুরু করলাম। গত দুইদিন ধরে আমি এই ওয়েব সিরিজটা দেখছি কিন্তু এখনো দেখা শেষ হয়নি।
রাত দশটার পরে দিদি আমার ফ্ল্যাটে আসলো। দিদির কাছ থেকে আমি জানতে পারলাম যে ওর শাশুড়ি সিকিম ঘুরতে গেছে। ওনার বয়স প্রায় ৮০ বছরের কাছাকাছি কিন্তু যথেষ্ট মনের জোর আছে। প্রাক্তন অফিস সহকর্মীদের সাথে উনি সিকিম ট্যুরে গেছেন। কিছুক্ষণ গল্প করার পর দিদি বাড়ি চলে গেলে আমি ডিনার করে নিলাম।
ডিনার করা হয়ে গেলে আমি আবার ল্যাপটপ অন করে ওয়েব সিরিজটা দেখতে লাগলাম। আজকে নিয়ে এই তিন দিনে আমি মোট ছয়টা এপিসোড দেখলাম এই ওয়েব সিরিজের। এখনও দুটো এপিসোড দেখা বাকি আছে। মঙ্গলবার রাতে আমি বাকি দুটো এপিসোড দেখে ফেলবো। ওয়েব সিরিজ দেখার পর আমি কিছুক্ষণ গান শুনলাম। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘুম পেয়ে গেলে আমি ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২২শে এপ্রিলের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1782787912087601511
আপনি দেখি প্রায় সময় এরকম ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার কারণে সময় মতো ময়লা ফেলতে পারেন না। যাক ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চা খাওয়ার সাথে খবরের কাগজ পরেছেন। বাইরে দোকান থেকে পাউরুটি এবং মিষ্টি কিনে এনেছেন।
সারাদিন বেশ কাজকর্মের মাঝে পার করেছেন। এদিকে বিকেলবেলা হাঁটতে হাঁটতে সিনেমা হলের সামনে গিয়ে একটা ছবিও শেয়ার করেছেন।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রাতে দেরি করে শুতে যাই বলে বেশিরভাগ দিনই সকালে ঘুম থেকে উঠতে আমার দেরি হয়ে যায়, তাই বেশিরভাগ দিন আমি ময়লা ফেলতে পারি না। অনেকদিন বাদে আমি দানাদার খেলাম। ছোটবেলায় এই মিষ্টিটা আমি খুব খেতাম। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শনের জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার আজকের দিনের কার্যক্রমটি পরিবেশ ভালো লাগলো আপনি ওয়েব সিরিজ দেখতে বেশ পছন্দ করেন,,, আমি আগে দেখতাম তবে আমার মনে হয় এটা নেশার মতো কাজ করে তাই বাদ দিয়ে দিয়েছি।।।
একদম ঠিক মানুষের মনের জোরটা এই হচ্ছে অনেক বড় কিছু ।।বয়স যতই হোক না কেন মনের জোর থাকলে সবকিছু করাই সম্ভব।।
একদম সঠিক কথা বলেছেন, ওয়েব সিরিজ দেখা আমার একটা নেশা কিন্তু আমি আবার কোনো নেশা ধরলে চট করে সেটাকে ছাড়তে পারি না। আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করি যে মনের জোর থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রতিদিনের মতো আজ খরবের কাগজ পড়লেন, প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়লে সেটা আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে অনেকটা সাহায্য করে। তারপর দোকান থেকে দানদার ও পাউরুটি কিনে আনলেন এবং সেটা দিয়েই সকালের খওয়া শেষ করলেন। সকালে ও বিকালে হাঁটার অভ্যাস আমাদের সকলেরই করা উচিত।
অনেকদিন বাদে আমি দানাদার খেলাম তবে ছোটবেলায় আমি মাঝেমধ্যেই দানাদার খেতাম। সকালে না হাঁটলেও বিকেলে হাঁটতে বেরোনো আমার প্রায় মাস্ট। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শন করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।