Better Life with Steem || The Diary Game || April 25, 2024
Image edited by Adobe |
---|
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ২৫শে এপ্রিলের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার সময় আমার ঘুম ভেঙে গেলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবর্জনা সংগ্রাহক কাকা আমার ফ্ল্যাটের সামনে চলে আসলো। আমি তাড়াতাড়ি করে দুই প্যাকেট ময়লা ওনার গাড়িতে ফেলে দিয়ে আসলাম। ঘরে ফিরে আমি আবার শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। বেলা এগারোটার সময় আমার ঘুম ভাঙলো। আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
চা খাওয়া হয়ে গেলে আমি দোকানে গিয়ে এক প্যাকেট দুধ আর দুই প্যাকেট ম্যাঙ্গো লস্যি কিনে নিয়ে আসলাম। যথেষ্ট বেলা হয়ে গিয়েছিল, তাই আমি ব্রেকফাস্টে শুধু টক দই খেলাম। তারপর আমি ঘরের বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। তারপর ইন্ডাকশনে ভাত বসিয়ে দিয়ে সব ঘর গুলো ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর দেড়টা নাগাদ আমি দিদির বাড়িতে গিয়ে আমার খাবার নিয়ে আসলাম। তারপর আমি স্নান করে নিয়ে লাঞ্চ করতে বসলাম। আজকে আমার লাঞ্চের মেনু ছিল নিম বেগুন ভাজা, পাঁচমিশালী সবজি এবং চারাপোনা মাছের ঝোল। লাঞ্চের পর আমি এক গ্লাস ম্যাঙ্গো লস্যি খেলাম। তারপর আমি ঘন্টা খানেকের জন্য বিশ্রাম নিতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমি এক কাপ চা খেয়ে নিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে হাঁটতে বের হলাম। আজকেও আবহাওয়া যথেষ্ট গরম, এদিকে বৃষ্টির কোনো খবর নেই।চলার পথে আমি একটা রাজহাঁস ও পাতিহাঁসের ছবি তুলে নিলাম।
হেঁটে আমি যখন বাড়ির দিকে ফিরছি তখন আমি লক্ষ্য করলাম যে কে বা কারা যেন ঠাকুরের মূর্তিগুলো রাস্তার ধারে রেখে গেছে। দেখে বেশ খারাপ লাগলো আর তাই আমি একটা ছবি তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।
ঘরে ফিরে আমি প্রথমে বারান্দায় মেলে রাখা জামাকাপড় গুলো সব ঘরের ভিতরে তুললাম। এত গরম পড়েছে যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামা কাপড় গুলো সব শুকিয়ে যাচ্ছে। এরপর আমি সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।
“রাত” |
---|
ডেইলি ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। এরপর আমি স্টিমিটে অল্প কিছু কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম। তারপর আমি অক্ষয় কুমার এবং টাইগার শ্রুফ অভিনীত বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ সিনেমাটা দেখা শুরু করলাম। এই মুভিটা আমি গতকালই ডাউনলোড করেছি।
রাত দশটার পরে দিদি আমার ফ্ল্যাটের বেল বাজালো। আজকে দিদি আর ঘরে ঢুকলো না। দিদির কাছ থেকে আমি শুনলাম যে ওদের বিড়াল একটা বাদুড় ধরেছে। দিদি বাদুড়টাকে কোনোমতে বিড়ালের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পাখির খাঁচায় রেখেছে। এখন রাতে বাড়িতে ফিরে ও বাদুড়টাকে ছেড়ে দেবে।
দিদি বাড়ি চলে গেলে আমি ডিনার করে নিলাম। তারপর আমি আবার মুভিটা দেখতে লাগলাম। মুভি দেখা শেষ হয়ে গেলে আমি ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২৫শে এপ্রিলের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1783854013361873369
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
@jasonmunapasee, thanks a ton.
সকালে ঘুম থেকে উঠে অপ্রয়োজনীয় ময়লাগুলো ময়লা সংগ্রাহকের কাছে দিয়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়লেন। তারপর বেশ বেলা করেই ঘুম থেকে উঠেছিলেন। তারপর দই দিয়ে ব্রেকফাস্ট করলেন তবে দুপুরের খাওয়ার মেনুতে বেশ অনেককিছু ছিলো।
বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছিলাম বলে আমি শুধু দই দিয়েই ব্রেকফাস্ট করলাম। দুপুরে খাবারে বেশ কিছু পদ থাকলেও এখন এত গরম পড়েছে যে কিছুই খেতে প্রায় ভালো লাগছেনা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ময়লা ফেলেছেন। তবে ময়লা ফেলে আজকে আবারো ঘুমিয়ে গিয়েছেন।
আপনার দেখি দুপুরবেলা বেশি একটা রান্না করতে হয় না। কারো না কারো বাসায় থেকে আপনার খাবার চলে আসে।
খুব সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ময়লা ফেলে দিয়ে আমি আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর তাই উঠতে যথেষ্ট বেলা হয়ে গিয়েছিল। এই গরমে রান্না করা আপাতত আমি বন্ধ রেখেছি। রোজই দিদির বাড়ি থেকে খাবার পাঠাচ্ছে। দিদির শ্বশুরবাড়ি সামনে হওয়ায় এই একটা সুবিধা পাচ্ছি।
প্রতিদিনের মতোই ময়লা ফেলে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়লেন। আর কিছুটা লেট করে ওঠার জন্য দই দিলেন নাস্তা করতে করেছিলেন আপনি।অবশ্য টক দই খাওয়াটা খুবই ভালো, এটাকে সুপার ফুড বলা হয়। তাই আপনি সুপার ফুড দিয়ে নাস্তা করেছেন এর চেয়ে আর ভালো কি হতে পারে।
দুপুরে আজকে দিদির বাসা থেকে তা বেশ কয়েক আইটেমের খাবার নিয়ে এসেছিলেন। তবে যে গরম পড়েছে এর মাঝে খাওয়াটাও কস্টকর।
এই বিড়ালগুলোর যন্ত্রনায় পাখিদের বাস করাটা কঠিনই।আগে আমার বিড়াল আর ওর মা দুজনে মিলে আশেপাশের সব পাখি প্রায় শেষ করে এনেছিল।
তবে আপনার দিদি বাদুরটাকে বাচিয়ে ভালো কাজ করেছেন।
সঠিক বলেছেন, এই গরমে আমার খিদে বোধটাই প্রায় চলে গিয়েছে। কোনো কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না শুধুমাত্র লাঞ্চ আর ডিনারটা রুটিনমাফিক করি। বিড়ালরা শিকারী প্রাণী, কি আর করা যাবে? এটা ওদের প্রকৃতিগত স্বভাব।