Better Life with Steem || The Diary Game || April 29, 2024
Image edited by Adobe
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ২৯শে এপ্রিলের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকালে আমি সময় মতো সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। তারপর আবর্জনা সংগ্রাহক কাকা আসলে আমি ওনার গাড়িতে ময়লার প্যাকেটটা ফেলে দিয়ে ঘরে চলে আসলাম। এরপর ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে আমি রোজকার মতো খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
তারপর আমি ঘরের বাসি বাসনপত্র মেজে নিয়ে ব্রেকফাস্ট তৈরি করার প্রস্তুতি নিলাম। আজকে আমি ডিম আর বিন্স দিয়ে নু্ডলস রান্না করলাম ব্রেকফাস্ট এর জন্য।
ব্রেকফাস্ট করা হয়ে গেলে আমি দোকানে গিয়ে এক প্যাকেট দুধ কিনে নিয়ে আসলাম। তারপর আমি ঘরদোর সব ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর দেড়টা নাগাদ আমি স্নান করে নিয়ে লাঞ্চ করে নিলাম। আজকে লাঞ্চে আমি ভাত খেলাম না। আমি শুধু ৫০০ গ্রামের মতো টক দই খেয়ে লাঞ্চ সারলাম। তারপর আমি ঘন্টাখানেকের জন্য বিশ্রাম নিতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি প্রথমে এক কাপ চা বানিয়ে খেলাম। তারপর আমি পোশাক পরিবর্তন করে একটু ঘোরাঘুরি করতে বের হলাম। চলার পথে একটা সুন্দর ছোট পুকুর আমার চোখে পড়লো, তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
আমি বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম না কারণ আমার যথেষ্ট গরম লাগছিল। বাড়ি ফিরে আমি প্রথমে এক গ্লাস রসনা খেলাম।
তারপর আমি সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে স্টিমিট এর জন্য কনটেস্ট পোস্ট লিখতে বসলাম। স্টিমিট এনগেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ সিজন ১৭ এর এখন চতুর্থ সপ্তাহ চলছে। আমাদের কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতার এবারের বিষয়বস্তু হলো পছন্দের উপহার।
“রাত” |
---|
কনটেস্ট পোস্ট লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পাবলিশ করে দিলাম। তারপর আমি কনটেস্ট অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টে প্রবেশ করে আমার লেখা কনটেস্টের আর্টিকেলের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। এরপর আমি অল্প কিছু কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম।
তারপর আমি জামাইবাবুর সাথে গ্যারেজে গেলাম ওর স্কুটি আনতে। দুদিন আগে জামাইবাবুর স্কুটি লেকের জলে পড়ে গিয়েছিল। ভাগ্য ভালো যে জামাইবাবুর কোনো চোট লাগেনি। একজন মহিলা গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে জামাইবাবুকে স্কুটি সমেত জলে ফেলে দেন এবং নিজেও গাড়ি নিয়ে জলে পড়ে যান। গ্যারেজে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমরা জানতে পারি যে আজকে স্কুটি পাওয়া যাবে না, আগামীকাল ওরা ডেলিভারি দেবে।
এরপর আমরা দুজনে যে যার বাড়িতে ফিরে আসি। রাত দশটার পর দিদি আমার ফ্ল্যাটে আসে। ও আমার রাতের খাওয়ার জন্য ডিমের কারি আর আমের চাটনি নিয়ে এসেছিল। দিদির সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পর ও বাড়ি চলে যায়। তারপর আমি ডিনার করে ফেলি। ডিনার হয়ে যাবার পর আমি বেশ কিছুটা সময় অনলাইনে কাটাই। তারপর ঘুম পেয়ে গেলে আমি ঘুমাতে চলে যাই।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২৯শে এপ্রিলের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://twitter.com/PijushMitra/status/1785297753637019921
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
@jasonmunapasee, thank you for supporting my content.
৫০০ গ্রামের মতো দই? বাহ! দই বা মিষ্টি জাতীয় খাবার আমি খেতেই পারি না। এজন্য এটা বেশ অবাক করা বিষয় আমার কাছে। এই গরমের ভাত খেতে কেন জানি ইচ্ছেই করছে না। বিকালে আবার একটু ঘুরতেও গিয়েছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি এমনিতে মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসি তবে দইয়ের মধ্যে আমার কাছে মিষ্টি দইয়ের থেকে টক দই বেশি প্রিয়। এই গরমে সত্যি সত্যিই আমার ভাত খেতে একদম ইচ্ছে করছে না। ধন্যবাদ আমার পোস্ট সময় নিয়ে পড়ে কমেন্ট করার জন্য।
যদিও আমি মিষ্টি খেতে পছন্দ করি না তবে মিষ্টি খেতে পছন্দ করা দোষের কিছু নয় তবে সাবধান, দাদা, বর্তমানে ডায়বেটিস এর মাত্রা কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গরমের কারণে দুপুরে আপনি ভাত খেলেন না।এর বদলে দুপুরে টক দই খেলেন। আপনার নিয়মিত যে স্বাভাবিক দিনগুলো কাটে সেভাবেই আপনাদের দিনটি কেটেছে বলে মনে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
এই দিনটা আমার রোজকার অন্যান্য দিনের মতোই কেটেছে। শুধুমাত্র একটা ব্যতিক্রম হল আমি দুপুরে ভাত না খেয়ে টক দই খেয়ে লাঞ্চ সেরেছি। এই অত্যাধিক গরমের কারণে আমার দুপুরে কোনো কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না।
প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে ময়লা ফেলে দিয়েছেন। তারপর ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চায়ের সাথে খবরের কাগজ পড়েছেন।
সত্যিই এই গরমে দুপুর সময়ে টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। টক দই আমাদের শরীরকে অনেক ঠান্ডা রাখে।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সেদিন দুপুরে আমার কোনো কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না, তাই শুধুমাত্র টক দই খেয়ে আমি দুপুরের লাঞ্চটা সারলাম। সঠিক বলেছেন, টক দই খেলে শরীরে বেশ খানিকটা শীতল ভাব অনুভব হয়। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শন করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ময়লা ফেলা নিয়ে মনে হচ্ছে আপনি বেশ টেনশন এ থাকেন। অবশ্য টেনশন করার মত বিষয়ই । এই গরমের মধ্যে ময়লা ঘরের জমা থাকলে দুর্গন্ধ বের হয়।
আজকে আমার বুয়া চলে গেছে গ্রামের বাড়িতে।আজকে থেকে এই ময়লা নিয়ে আমার মাঝে একটা টেনশন কাজ করতেছে।
আপনার জামাইবাবুর স্কুটি এক্সিডেন্ট করেছিল শুনে খারাপ লাগলো।তবুও ভাগ্য ভালো যে তিনি কোন চোট পাননি।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়
আমার জামাইবাবুর অ্যাক্সিডেন্টটা যথেষ্ট মারাত্মক হয়েছিল কিন্তু ওর ভাগ্য ভালো যে শরীরে এক ফোঁটাও চোট লাগেনি। ঘরে ময়লা জমে থাকলে আমার মনে সব সময় একটা টেনশন কাজ করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার দৈনিক কার্যক্রম পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।