Better Life with Steem || The Diary Game || May 1, 2024
Image edited by Adobe
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ১লা মে’র কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল সাতটার সময় আমি ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। আজ বুধবার আবর্জনা সংগ্রাহক কাকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং তার সাথে আজ ১লা মে হওয়ার কারণে সবার ছুটিও বটে। সুতরাং ময়লা ফেলার কোনো চাপ ছিল না কিন্তু যেহেতু আজকে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে যাবো সেই কারণে এই সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়া। বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে যথারীতি আমি খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেল আমি দরজা জানালা সব ভালো করে লক করে বাঘাযতীন স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এবার সাথে আমি আর কোনো লাগেজ নিলাম না কারণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমি আবার বাড়িতে ফিরে আসবো। এমনিতেই শ্বশুরবাড়িতে আমার দু সেট করে জামাকাপড় রাখা থাকে তাই জামাকাপড়ও সাথে নিতে হলো না।
সকাল দশটার মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে আমি প্রথমে আমার মেয়ের সাথে দেখা করলাম। অনেকদিন ধরে ওকে দেখিনি কিন্তু ও তখন ঘুমাচ্ছিল বলে আমি আর ওকে ঘুম থেকে জাগালাম না।
কিছুক্ষণ বাদে আমার স্ত্রী আমাকে চিকেন মোগলাই পরোটা দিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে দিলো।
তারপর আমি এক কাপ চা খেলাম। এরপর দোতলায় গিয়ে আমি পোশাক পরিবর্তন করে নিলাম। নিচে নেমে এসে আমি দেখলাম যে আমার মেয়ে ততক্ষণে ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। আমি ওর সাথে বেশ কিছুক্ষণ খেলা করলাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আমার কাকা শ্বশুর আমাকে একটা ডাব কেটে খেতে দিলেন। ডাব খেয়ে নিয়ে আমি দোতলায় চলে আসলাম স্নান করার জন্য। দুপুর দেড়টা নাগাদ স্নান করে নিয়ে আমি নিচে ডাইনিং রুমে চলে আসলাম লাঞ্চ করতে। একটু পরে শাশুড়ি মা আমাদের সকলকে লাঞ্চ করতে দিলেন। আজকে আমাদের লাঞ্চের মেনু ছিল উচ্ছে আলু ভাজা, বাটা মাছ ভাজা, টক ডাল, পুঁইশাক, মুরগির পাতলা ঝোল এবং আমের চাটনি।
লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আমি নিচেই আমার স্ত্রী এবং মেয়ের সাথে ঘণ্টাখানে বিশ্রাম নিলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাঁটতে বের হলাম। আমার স্ত্রী এবং মেয়ে তখনো ঘুমাচ্ছিল, তাই ওদের আর আমি জাগালাম না। আমি প্রথমে হাঁটতে হাঁটতে একটা চায়ের দোকানে গিয়ে এক কাপ চা খেলাম। তারপর আরো বেশ কিছুক্ষণ সময় আমি চারপাশে ঘোরাঘুরি করলাম। এই সময় আমি একটা ছোট পুকুরের ছবিও তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।
এরপর সন্ধ্যে নেমে আসলে আমি শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসলাম। সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ শাশুড়ি মা আমাদের সবাইকে মটর ডালের বড়া আর চা খেতে দিলেন। বড়াগুলি খেতে দারুন সুস্বাদু হয়েছিল। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে আমি আমার মেয়ের সাথে খেলা করলাম।
আগামীকাল এখানকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আমার মেয়েকে তিনটে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে আর সেই কারণেই আমার এখানে আসা। একটা ভ্যাকসিন থেকে শুনেছি নাকি আবার জ্বরও আসবে। ওর ওই কচি শরীরে একদিনে তিনবার ইনজেকশন ফোটানো হবে, এটা ভাবলে তো আমারই জ্বর চলে আসছে। জানি না আমার মেয়েটার কপালে কালকে কি লেখা আছে!
“রাত” |
---|
রাত দশটার সময় আমরা সকলে মিলে ডিনার করতে বসবো এই সময় কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলো। একটু পরে কারেন্ট চলে গেলো তবুও তার মধ্যেই আমরা সকলে এমার্জেন্সি লাইট জ্বালিয়ে ডিনার করে নিলাম এবং যে যার মতো শুয়ে পড়লাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ১লা মে’র দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://twitter.com/PijushMitra/status/1786066969399120095