সৌন্দর্য দেখে কারো প্রতি আকৃষ্ট হবেন না
 |
|---|
প্রেমের বন্ধন এমন একটা বন্ধন। যে বন্ধন একটা মানুষ যদি হঠাৎ করেই জড়িয়ে পড়ে। সে বন্ধন থেকে বের হয়ে আসা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবীটা সুন্দর। ভালবাসা আছে বলেই মানুষ সঠিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। ভালোবাসা আছে বলেই মানুষের মনে মানবিকতা আছে। ভালোবাসা আছে বলেই পরিবারের মানুষ সবাই মিলে, হাসিখুশি ভাবে বসবাস করে।
আমরা এমন এক সমাজে বসবাস করি। যারা কিনা সৌন্দর্যের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট। আমরা সৌন্দর্যের প্রতি এতটাই আকৃষ্ট হয়ে যাই। সে মানুষটার মন মেজাজ কেমন সেটা দেখার আগেই, সে মানুষটার প্রতি আমাদের ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়।
আজকে আমি আপনাদের সাথে এমনই একটা ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটা শোনার পরে আপনারাই বিচার করবেন। আসলেই কি চেহারা দেখে বা সৌন্দর্য দেখে কারো প্রেমে পড়া উচিত, নাকি তার মনটা দেখে প্রেমে পড়া উচিত।
আমি গ্রামের নাম উল্লেখ করছি না, কোন এক গ্রামে একটা ছেলে ছিল অনেক সুন্দর, পড়াশোনায় অনেক মেধাবী, হয়তোবা টাকা-পয়সার অভাবে তেমন ভালো কলেজে পড়াশোনা করতে পারেনি। কিন্তু সে গ্রামের কলেজের মধ্যে পড়াশোনা করেছে, বেশ ভালো একটা রেজাল্ট করেছে, ছেলেটা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি স্মার্ট।
 |
|---|
ভালো রেজাল্ট করার ফলে ঢাকার একটা কলেজ থেকে তাকে চাকরির অফার দেয়া হয়েছিল। সে ভালো একটা প্রফেশনে চাকরি করা শুরু করে, অনেক টাকা পয়সার মালিক হয়।
সেই গ্রামের ই একটা মেয়ে ছেলেটাকে খুব পছন্দ করত। মেয়েটা অনেক ভদ্র নম্র, যেহেতু নিম্ন পরিবারের মেয়ে সেহেতু মেয়েটার মধ্যে অনেক গুণ ছিল।
মেয়েটা ছেলেটাকে পছন্দ করত, কিন্তু কখনো সাহস করে বলতে পারেনি, কারণ ছেলেটা আগে যদি ও গরিব ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে অনেক টাকার মালিক, ভালো একটা অবস্থানে আছে। ঢাকায় নিজেদের ফ্ল্যাট আছে বাবা-মাকে নিয়ে বেশ ভালোই আছে, গ্রামে তেমন একটা আসা হয় না।
কোন এক কারণে ছেলেটা গ্রামে এসেছিল এবং মেয়েটাকে এক ঝলক দেখেছিল, আর মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেল।
ছেলেটা ৭, ৫ না ভেবে মেয়েটার বাবার কাছে মেয়েটার জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। মেয়েটার বাবা ও ছেলে সম্পর্কে খোঁজ খবর তেমন নেয়নি, গ্রামে থাকতে দেখেছিল ছেলেটা ভালো ভদ্র তাই আর তেমন একটা খোঁজখবর নেয়া হয়নি। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিল। ছেলেটার কাছে।
 |
|---|
কিন্তু বিয়ের পরেই ছেলেটার আসল রূপ বের হয়ে আসলো। বিয়ের বেশ কয়েকদিন ভালোই কেটেছিল, কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল ছেলেটা দেখতে যতটা সুন্দর গ্রামে থাকতে যতটা নম্র ভদ্র ছিল। শহরের আবহাওয়ায় নিজেকে এমন ভাবে বদলে নিয়েছে। ছেলেটার আসল রূপ দেখে মেয়েটা অনেক ভয় পেয়ে গেল।
ছেলেটা প্রতিনিয়ত বাসায় মেয়ে নিয়ে আসতো, তাদেরকে নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করতো। নিজের বউয়ের কথা একদম ভুলেই গিয়েছিল, নিজের বউয়ের সাথে এমন আচরণ করত যেন সে বাসার কাজের লোক।
ছেলেটার বাবা-মা বিষয়গুলো দেখতো এবং ছেলেকে শাসন করার চেষ্টা করত, আবার ভয়ও পেত কারণ ছেলে যদি রাগ করে তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তাহলে তাদের যাওয়ার মত কোন জায়গা ছিল না। তাই অনেকটা চুপ করেও থাকতো।
এবার আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলি, ছেলেটা সৌন্দর্য মেয়েটাকে আকৃষ্ট করেছিল। মেয়েটা সৌন্দর্য ও ছেলেটাকে আকৃষ্ট করেছিল। কিন্তু পরিশেষে দেখা গেল, ছেলেটা স্বভাব চরিত্রও তেমন একটা ভালো ছিল না।
তাই পরিশেষে আপনাদেরকে একটা কথাই বলব।
চেহারা দেখে নয়। ব্যবহার দেখে ভালবাসেন, কারণ একটা কথা আছে, "লবণ আর চিনি দেখতে একরকম কিন্তু স্বাদ আলাদা" সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি আপনার পোষ্টের প্রতিটি কথা একদম মনে গেঁথে যাওয়ার মত। আপনার একটি কথা খুব ভালো লেগেছে এখনো ভালবাসা বেঁচে আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন কারো সৌন্দর্য দেখে তার প্রতি আসক্ত হওয়া ঠিক না।
আমার মনে হয় কারো ভালোবাসায় পড়তে গেলে সৌন্দর্য না দেখে মানুষটা কেমন সেটা দেখা উচিত।
এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানুষের সৌন্দর্য কখনো আসল সৌন্দর্য হতে পারে না মানুষের মনের সৌন্দর্য আসল সৌন্দর্য, মানুষের চেহারা দেখে সৌন্দর্য দেখে ভালোবাসলে মানুষ কখনো সুখে থাকতে পারে না, একটি মানুষের ব্যবহার এবং তার চলাফেরার সৌন্দর্য দেখতে হবে আগে একটি মানুষের সাথে থাকতে হলে সেই মানুষটি কেমন সে দেখতে কেমন দেখলে হবে না। তবেই জীবন সঙ্গী হিসাবে আমরা সুখে থাকতে পারবো।