"ঠোঁটের নিচের সেই তিলটা গল্পের//(দ্বিতীয় পর্ব)"
ঠোঁটের নিচের সেই তিলটা, গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আবারও হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের মাঝে। আশা করছি গল্পের প্রথম পর্ব, আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে, মূল গল্পে ফিরে যাওয়া যাক।
আরে হ্যাঁ শুধু ছেলের বাবা আর ছেলে এসেছিল বলে আজকের মত বেঁচে গিয়েছিস। যদি কোন মহিলার সাথে আসতো তাহলে তোর খবর ছিল।
মায়ের কথা শুনে আমার শরীরটা রাগে গজগজ করতে লাগলো। আমি মাকে রাগ দেখিয়ে বারান্দায় চলে গেলাম। মা আমার রাগের কারণটা বুঝতে পেরে, আমার রুম থেকে বের হয়ে গেল।
মা রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আমি রুমে এসে খাটের উপর বসে পড়লাম। মাত্র মোবাইলটা হাতে নিলাম দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি বাবার আগমন।
বাবা রুমে এসে খাটের উপরে বসলেন এবং আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন। আমি জানতাম রে মা এই ছেলেটাকে তোর পছন্দ হবেই।
ছেলেটা অনেক শিক্ষিত ভদ্র নম্র একটা ছেলে। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোদের বিয়ের ডেট টা ঠিক করে ফেলব। এটা বলেই বাবা রুম থেকে বের হয়ে গেল।
রাতের খাবার দাবার শেষ করে একটা গল্পের বই হাতে নিয়ে বসলাম। কিন্তু গল্পের বইয়ের মধ্যে তেমন একটা মনোযোগ দিতে পারছি না।
অয়নের ফোনের জ্বালায় আমার গল্পটা পড়েও মজা পাচ্ছিলাম না। অনেকটা বিরক্ত হয়ে, আমি ফোনটা রিসিভ করলাম।
হ্যালো কি হয়েছে রে তোর?
আচ্ছা অনন্যা তুই আমার ফোনটা রিসিভ করছিস না কেন? অনেকক্ষণ যাবৎ আমি তোকে কল করেই যাচ্ছি করেই যাচ্ছি।
আমি কোন প্রয়োজন মনে করছি না, তাই তোর ফোন রিসিভ করছি না।
আচ্ছা অনন্যা তুমি এভাবে কেন কথা বলছ! আমি মানছি গতকালকে আমি একটু বেশি বলে ফেলেছিলাম, কি বলতে কি বলে ফেলেছি আমার মাথা ঠিক ছিল না। তার জন্য আমি কিন্তু অনেকবার তোমার কাছে সরিও বলেছিলাম, কি সরি বলিনি, আমি তোমার কাছে।
হ্যাঁ সরি বলেছিলে, তো এখন আমি কি করবো।
তুমি কি করবে মানে, এখন ঐভাবে রাগ করে থাকবে প্লিজ রাগ করে থেকো না।
দেখো কালকে অফিসে খুব খারাপ একটা সমস্যা হয়ে গেছে। যার কারণে আমি তোমার সাথে কি বলতে কি বলে ফেলেছি আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমার মাথা হ্যাং হয়ে গেছিল প্লিজ এবার তো আমায় ক্ষমা করে দাও।
দেখো অয়ন, সরি আর প্লিজ আর আমাকে ক্ষমা করে দাও, এই কথাটা তোমার প্রত্যেকদিনকার রুটিন হয়ে গেছে।
আচ্ছা ঠিক আছে অনন্যা, আমি আর এমনটা কখনোই করব না।
আচ্ছা ঠিক আছে, এখন রাখি আমার একটু কাজ আছে।
রাখি মানে কি এমন কেন করছো।
রাখি মানে হচ্ছে আমি এখন ফোনটা কেটে দিচ্ছি, আমার কিছু কাজ আছে।
অয়ন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দিয়ে, ফোনের ওপাশ থেকে আমাকে বলে উঠলো, কালকে কি একটু দেখা করতে পারবে।
আচ্ছা ঠিক আছে, সকাল 11 টায় পার্কের মধ্যে চলে এসো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অনন্যা
আর কোন কিছু বলার প্রয়োজন মনে করিনি বলে, আমি ফোনটা কেটে দিলাম এবং আমার এটা মনে হচ্ছে যে, অয়ন এখন আর আমাকে কল দেবে না। যদিও আমি জানি ওর হাত নিশমিশ করছে। ওর মনটা ছটফট করছে আমাকে কল দেয়ার জন্য, কিন্তু এখন আর আমাকে কল দেয়ার সাহস পাবে না।
চলছে..........🥀🥀
আজ এ পর্যন্তই থাক... গল্পটা কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না! গল্পের বাকি অংশ নিয়ে আবারও হাজির হয়ে যাব আপনাদের সামনে! সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.বিগত পোস্টে পুরো গল্পটি পড়েছিলাম, আজকে আবার দ্বিতীয় পর্ব পরে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু শেষ পর্ব পর্যন্ত পড়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে রইলাম। আশা করি আপনি শেষ পর্ব নিয়ে আমাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট শেয়ার করবেন।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গল্পটা আসলে কাল্পনিক বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। চেষ্টা করে যাচ্ছি শেষ পর্ব পর্যন্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। গল্পটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পেরে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে গল্পের বাকিটুকু পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম। হ্যা অবশ্যই গল্পটার প্রথম পর্ব খুব ভালো লেগেছিলো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গল্পের ২য় পর্ব আনার জন্য।
এটা বোধ হয় প্রতিটা মেয়ের মামা মায়েরা তার মায়েকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য বলে থাকে।।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সব বাবা-মা চায় তাদের মেয়ে ভালো একটা ছেলের সাথে জীবন পার করুক। এজন্যই তারা বিয়ের সময় মেয়েকে বলে ছেলেটা খুব ভালো। যাতে মেয়েটা খুব তাড়াতাড়ি রাজি হয়ে যায়। আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। অসুস্থতার কারণে গল্পের বাকি পর্বগুলো লিখতে পারছি না। তবে অতিসত্বর লেখা চেষ্টা করব।