Better Life With Steem || The Diary game || 03 May 2024 ( ব্যস্তময় একটা দিন)||
আগে সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর চিন্তা করতাম কোন কাজ আগে করতে হবে। কিন্তু এখন আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেয়া থাকে, কোন কাজ আগে সম্পন্ন করব। তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রথমত নাস্তা তৈরি করে নিয়েছিলাম। শরীর অতিরিক্ত অসুস্থ থাকার কারণে কোন কাজ করতে তেমন একটা ইচ্ছে করছে না। কিন্তু তার পরও বর্তমান সময়ে যেহেতু ধান এসেছে, তাই কাজগুলো করতেই হবে।
নাস্তা বানানোর কাজ শেষ করে রান্নাবান্না শুরু করে দিয়েছি। কেননা আজকে ধান ভাপ দিতে হবে। তাই দেরি না করে রান্নাবান্না শেষ করেই চুলার মধ্যে ধান বসিয়ে দিলাম, এবং এক এক করে ভাপ দেয়া শুরু করলাম।
ভাপ আসতে একটু তাড়াতাড়ি হলেও কাজ করতে কেমন যেন একটু অস্থিরতা লাগছিল। আসলে ধানের কাজ একা করা যায় না, এটা একেবারেই সত্যি কথা, আমার শাশুড়ি করতে পারছে না তারপরেও একটু একটু সাহায্য করছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি, যতটুকু উনি করতে পারছে আমার জন্য ততটুকুই ভালো।
যোহরের আযান দেয়া হয়ে গেলে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। মাত্র তিন ভাগের একভাগ ধান ভাপ দেয়া হয়েছে। ভাপ দেয়া হয়ে গেলে ধান ভিজিয়ে রাখতে হয়। তাই যেগুলো ভাপ দেয়া হয়েছে এক এক করে ভেজানো শুরু করলাম। এদিকে ছেলেদেরকে দুপুরের খাবার খাওয়াতে হবে। তাই হাত মুখ ধুয়ে প্রথমত ওদেরকে খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর নিজে সামান্য পরিমাণে ভাত খেয়ে নিয়েছিলাম কেননা ঔষধ খেতে হবে।
এরপর নামাজ পড়ে আবারো রান্না ঘরে চলে গেলাম। এখনো অনেক ধান ভাপ দিতে হবে। এরপরে শাশুড়ি এসে নামাজ পড়ে নিলেন এবং দুপুরের খাবার খেয়ে নিলেন। আমি ওনাকে একটু বিশ্রাম করতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি আবারও আমার সাথে গিয়ে কাজ করা শুরু করলেন।
এত পরিমানে গরম লাগছিল, যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। প্রথমত হচ্ছে অতিরিক্ত রোদ দ্বিতীয়ত হচ্ছে চুলার সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার কারণে, শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে, অতিরিক্ত ঘামের কারণে কাশির পরিমাণ এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না।
শাশুড়িকে চুলার পাশে বসিয়ে আমি কয়েকটা আম পেড়ে নিয়েছিলাম। আম ভর্তা তৈরি করব বলে, আমার শাশুড়ি খুব পছন্দ করে। আমি টক তেমন একটা পছন্দ করি না, কিন্তু আমার ছেলেরা খেতে পছন্দ করে। তাই ওদের জন্য আম ভর্তা তৈরি করেছিলাম। আমি সামান্য পরিমাণে খেয়েছিলাম, কেননা অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে, আমার মাথা প্রচন্ড ঘোরাতে লাগলো, এদিকে মাথায় অনেক টেনশন কখন কাজগুলো করে সম্পন্ন করব।
একটু আম ভর্তা খাওয়ার পর মনে হল মাথা ঘোরানো একটু কমেছে, আবারো ধান ভাপ দেয়া শুরু করলাম। ধান ভাপ দেয়া শেষ করতে করতে আমার প্রায় রাত 9 টা বেজে গেল। সন্ধ্যার পর থেকে ধান ভাপ দেয়ার পাশাপাশি আমি ভেরিফিকেশন করেছিলাম, কেননা এটাও আমার দায়িত্ব।
9 টায় যখন ধান ভাপ দেয়া শেষ হলো, তখন ঘরে এসে সমস্ত ঘর মুছে নিয়েছিলাম। কেননা ঘরের অবস্থা খুব খারাপ, তারপর গিয়ে গোসল করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। ছেলেদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম, আমি আমার ভেরিফিকেশন শেষ করে কিছু পোস্ট কাউন্ট করে, তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। অনেকটা ব্যস্ততার মাঝেই আমার দিনটা পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ধান সেদ্ধ করাটা তো খুব কঠিন কাজ এটা আমি ছোটবেলায় দেখেছি। আর যে প্রচন্ড রকমের পড়েছে এর মাঝে অসুস্থ শরীর নিয়ে চুলার পাশে বসে সেদ্ধ করাটা আরো কঠিন
কাজ।
আম ভর্তা খেতে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগে কিন্তু আমার ছেলেরা কেউ খায় না যার কারণে একার জন্য আর করা হয় না।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের জন্য খুব খারাপ। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায় মানুষ , যা কিনা ভয়ংকর। তখন আর কোন এন্টিবায়োটিকই কাজ করবে না।
তাই যতটা পারেন এন্টিবায়োটিক এভয়েড করার চেষ্টা করবেন।
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি।
আসলে এই কঠিন কাজগুলো প্রতিনিয়ত পড়ে যেতে হচ্ছে
জানি না সৃষ্টিকর্তা কবে সবকিছু ঠিক করে দেবেন। তবে নিশ্চয়ই খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমি সর্বদাই চেষ্টা করি এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য, কিন্তু অতিরিক্ত অসুস্থ হওয়ার কারণে এই ঔষধ না খেলে একেবারেই আরও বেশি খারাপ অবস্থা। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনার ধান সিদ্ধ করা দেখে আমার কয়েকদিন আগে কথা মনে পড়ে গেল। ধান সিদ্ধ টা গত সপ্তাহে আমি বাড়িতে থাকতে করেছিলাম। এটা আমার কাছে খুবই কঠিন মনে হয়, অনেক কষ্টসাধ্য একটা কাজ।।।
ধান সিদ্ধ থেকে এটাকে শুকানো আরো বেশি কষ্টদায়ক। তাই আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় এত কষ্ট না করা লাগলেই ভালো হতো।।।
ধান সিদ্ধ করাটা যথেষ্ট পরিশ্রমের কাজ। আপনার মোটামুটি সারাদিনই এ কাজটি করে কেটে গেল। এদিকে আপনি অসুস্থ ও। এছাড়া সংসারের অন্যান্য যাবতীয় কাজ তো আছেই।
সব মিলিয়ে আপনার অবস্থা সত্যিই বেশ কঠিন। তবে এত কিছুর ফাঁকেও চেষ্টা করবেন নিজের প্রতি একটু যত্ন নিতে। আপনি অসুস্থ হলে আপনাকে ও আপনার বাচ্চাদেরকে কে দেখবে?
নিজের খেয়াল রাখবেন। আর প্রার্থনা করি আপনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সত্যি কথা বলতে কি একজন মেয়ে মানুষের সংসারে কাজের কোন শেষ থাকেনা।
আপনাদের ওদিকে দেখি পুরোপুরি ধান সিদ্ধ করার কাজ চলতেছে। আমাদের এদিকেও ধান কাটার মৌসুম চলতেছে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপের জন্য কেউ ধান সিদ্ধ করার সাহস পাচ্ছে না।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে নেই। কিন্তু তার পরেও একটু সাহস করে সব কাজ করা সম্ভব। আমাদের এখানেও একটু পরপর বৃষ্টি হচ্ছে তারপরেও ধান সিদ্ধ করার কাজ অব্যাহত রেখেছি। আমার মনে হয় একটু সাহস করে কাজ সম্পন্ন করে ফেলাটাই উত্তম। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।