Better Life With Steem || The Diary game || 22 April 2024||
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনুভব করলাম প্রচন্ড গলা ব্যথা। কথা বলছি কেউই শুনতে পাচ্ছে না। নিজের উপর নিজের অনেকটা রাগ হচ্ছে। এই গরমের মধ্যে আসলে মেহমান আসলেও খুব খারাপ লাগে। ঘুম থেকে উঠে শাশুড়ি মা জানালেন আজকে মেহমান আসবে। আসলে নিজের উপর এত বিরক্ত লাগছিল, যেটা ওনাকে বলে বোঝাতে পারছিলাম না, আর বললেও হয়তো বা বুঝবেন না। তাই কিছু না বলেই চুপচাপ ঘরের কাজগুলো শুরু করেছিলাম।
ঘরের কাজ শেষ করে রান্নাবান্নার কাজে হাত দিয়েছি। আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। যে ঔষধ দিয়েছে তাতে কোন কাজ হয়নি। ঔষধ পরিবর্তন করে নিয়ে আসব, তবে তার আগে রান্নাবান্নার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
তাই প্রথমত রান্নাবান্না শেষ করে নিলাম। রান্না শেষ হয়ে গেলে শরীরটা মুছে নিয়েছিলাম। অতিরিক্ত ঘামে শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর পরে ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। যাক আলহামদুলিল্লাহ আজকে খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি পেয়ে গেলাম। খুব সুন্দরভাবে গাড়িতে উঠে ডাক্তারের কাছে পৌঁছে গেলাম।
ডাক্তার সাহেব আবারও জ্বর মেপে দেখলেন। দেখলেন জ্বর একটুও কমেনি, আগের মতই আছে। কিন্তু এখন আরও গলা ব্যথা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বলেছিলাম ঔষধ পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য। ডাক্তার আবার ওষুধ পরিবর্তন করে দিয়ে, সাথে সাপোজিটার দিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন হয়তোবা সাপোজিটার দিলে জ্বরের পরিমাণটা কিছুটা কমে যাবে।
ডাক্তারের দোকান থেকে বের হয়ে, কিছু জিনিসের প্রয়োজন ছিল সেগুলো কিনে নিয়েছিলাম। যেহেতু বাসায় মেহমান আসবে অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন আছে। বিকেলবেলা নাস্তা হিসেবে দেয়ার জন্য বিস্কিট চানাচুর নিয়েছিলাম।
বাজার থেকে ফিরে আসতে আসতে দুপুর হয়ে গেল।বাড়িতে এসে প্রথমত গোসল করে নিয়েছিলাম। গোসল করার সাথে সাথে কাশির পরিমাণটা এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। তারপর নামাজ পড়ে এসে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম।
এরপর নিজে কিছু না খেয়ে শুয়ে পড়লাম। আসলে জ্বরের কারণে কোন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু ঔষধ খেতে হবে তাই একটু মুড়ি খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর ওষুধ খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করার চিন্তাভাবনা করেছিলাম। কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা কখনোই কাজে আসে না।😭 একটু পরে দেখলাম মেহমান চলে এসেছে, তাড়াতাড়ি করে উঠে গিয়ে উনাদেরকে নাস্তা দিলাম।
এরপর আমি এসে কিছু পোস্ট ভেরিফাই করলাম। নিজের পোস্ট লিখে রেখেছি, কিন্তু ছবি পোষ্টের মধ্যে ব্যবহার করতে গিয়ে এত পরিমাণে সমস্যা হচ্ছিল। পরবর্তীতে বিরক্ত হয়ে, ছবি ব্যবহার না করেই পোস্ট করে দিলাম।
এদিকে গরমের অবস্থা আর কি বলবো। কারেন্ট ১০ মিনিট থাকলে ২ ঘন্টা থাকে না। মাঝে মাঝে চিন্তা করি🤔 কারেন্ট এত ঘন ঘন শ্বশুরবাড়ি কেন যায়। এত ঘন ঘন শ্বশুরবাড়ি গেলে কিন্তু সম্পর্ক ঠিক থাকে না।🧐 যাইহোক বিষয়টা মজা করে বললাম।
বিকেলবেলা সবাইকে চা করে দিয়েছিলাম। নিজেও ভেবেছিলাম একটু চা খাব, কিন্তু এত গরমের কারণে পরে আর চা খাওয়ার ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়ে গেল। এরপরে আবার কিছু পোষ্টের কাউন্ট লিখতে বসেছিলাম। কিছু কাউন্ট লেখা হয়ে গেলে, সংসারের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে, মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম।
মাগরিবের নামাজের পর সবার জন্য চটপটি তৈরি করেছিলাম। আমি আমার চটপটি তে একটু ঝাল বেশি দিয়েছিলাম। কেননা আমি ঝাল খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি, আর সবার জন্য ঝাল কম দিয়ে তৈরি করেছিলাম।সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।
এরপর এশার নামাজ পড়ে কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। কমেন্ট করার পর আবারও আমার ভেরিফিকেশনের সময় শুরু হয়ে গেল। এরপর পোস্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। রাত বারোটা বিশ মিনিট নাগাদ আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এতো গরমের মাঝে মেহমান আসলেই খুব বিরক্তিকর লাগে। তার উপর যদি শরীর খারাপ থাকে তাহলেতো কথাই নেই। কিন্তু কাউকেতো আর আসতে মানা করা যায় না।
তাই শত কস্ট হলেও তাদের জন্য আয়োজন করতেই হয়।
আসলে এই গরমে ঘরে ঘরে মানুষ অসুস্থ হয়ে পরছে। আমার ছোট ছেলেও কদিন জ্বরে ভুগলো। আজকে থেকে আবার গলা ব্যাথা আর কাশি শুরু হয়েছে।
গ্রামের দিকে শহরের তুলনায় সবসময়ই অনেক বেশি লোডশেডিং হয়।আর এই গরমে এত বেশি পরিমাণে ফ্যান আর এসি চলছে বলেই হয়তোবা লোডশেডিং এর পরিমান আরো বেড়ে গেছে।
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই দোয়া করি।
আসলে কেউ যদি আসতে চায় তাকে বারণ করাটা কেমন একটা খারাপ দেখায়। তাই নিজের পরিস্থিতি খারাপ হওয়া সত্ত্বেও কোন কিছু না বলেই চুপ থেকে ছিলাম। আসলে বর্তমান সময়ে গরমের অবস্থার কারণে মানুষ অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দোয়া করি আপনারাও খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
শুরুতেই সুস্থ কামনা করি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি যাতে আপনি তাড়াতাড়ি জ্বর ঠান্ডা গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পান। এখনকার ডাক্তার ওষুধ খুবই কম কার্যকারিতা হয়। অসুস্থতার মধ্যে মেহমান আশা খুবই একটি বিরক্ত কর। আপনাকে ধন্যবাদ মেহমানদেরকে অসুস্থতার মধ্যে ধৈর্য ধারণ করে আপ্যায়ন করেছেন, এখন সময় মানুষ গরমের উপর থেকে কারেন্টের উপর বিরক্ত। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর আপনার সারাদিনের কার্যলিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আবারো দোয়া করি আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থতা লাভ করুন।
আসলে অসুস্থতা আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পাওয়া একটা নিয়ামত। তারপরেও সংসারের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করাটাই হচ্ছে আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আপনাকেও ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রচন্ড গরমে রান্নাবান্না করার এমনিতেই খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে যদি মেহমান আসে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। সে সময় পরিবারের সকলের উচিত একে অপরকে সহযোগিতা করে সংসারের কাজগুলো দ্রুত শেষ করা। নইলে একজনের উপর চাপ পড়ে সে তো অসুস্থ হবেই। আপনার ক্ষেত্রেও এমন টি হয়েছে। এমনকি নিজের ঔষধ আনতে হচ্ছে ও ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে একাই।
প্রার্থনা করি আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সবাই যদি আপনার মত করে বিষয়টা বুঝতো, তাহলে হয়তো বা পরিবারের একজন সদস্যের উপর কখনোই চাপ আসতো না। তারপরেও চেষ্টা করে যাচ্ছি অসুস্থতার মাঝেও সবাইকে সঠিকভাবে সবকিছু দিয়ে খুশি করার জন্য। বিশেষ করে মেহমানদের কে, ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
We support quality posts anywhere and with any tags.
এমনিতেই গরমের পরিমান অনেকটা বেশি আর এর মাঝে রান্নার কাজ করা সত্যিই খুব খুব কষ্টের। শত কষ্টের মাঝেও পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হয় আপনাদের। আপনার এখানে কারেন্ট এর তো দেখছি খুব বাজে অবস্থা। আমাদের এখানে তেমন একটা লোডশেডিং হচ্ছে না।
গরমের অবস্থা আর বলবেন না আর লোডশেডিং সে তো নাজেহাল অবস্থা আপনাদের ওখানে লোডশেডিং হয় না জানতে পেরে ভালো লাগলো। শত কষ্টের মাঝেও সংসারের দায়িত্ব গুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রচন্ড গরম হওয়ার কারণে এরকম অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠেই গলা ব্যাথা শুরু হয়েছে। তার ওপর আবার জ্বর কমছে না। মন থেকে ওঠার সাথে সাথে আপনার শাশুড়ি বলেছে বাসায় মেহমান আসবে।
আসলে মেয়ে মানুষের এমন একটি জিনিস শরীর যত অসুস্থ থাকুক না কেন বাসার কাজকর্ম তবুও করতে হয়।
সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এটাই হয়তো আমাদের জীবন আপনার বোন কিংবা আপনার মায়ের একটু খেয়াল রাখবেন। কেননা তারাও নারী তাদের একটা শরীর আছে। এত অসুস্থতার মাঝেও নিজের দায়িত্ব গুলো সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।