Better Life With Steem || The Diary game || 28 April 2024||

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রথমত ঘরের কাজগুলো সম্পন্ন করলাম। এরপর চিন্তা করলাম এখনো যেহেতু রোদ ওঠেনি, ছাদের মধ্যে ধানগুলো মেলে দিলে ভালো হবে। তাই ছাদের উপরে গিয়ে সমস্ত ধান পুরো ছাদে মেলে দিলাম। একটু পরে দেখলাম রোদ উঠে গেছে। রোদ না থাকার কারণে এত পরিমাণে গরম লাগছিল। রোদ ওঠার পর মনে হচ্ছিল মাথা ঘুরে পড়ে যাব।

ওখান থেকে এসে মাথায় একটু পানি দিয়েছিলাম। প্রচন্ড কাশির কারণে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিও খেতে পারি না। তাই কল থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে এসে খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপরে নাস্তা তৈরি করেছিলাম, নুডুলস রান্না করে আমি শশুর শাশুড়ি সবাই মিলে খেয়ে নিয়েছিলাম।

এরপর রান্না করার পালা, কেননা একটু পরেই আবার ধানের কাছে যেতে হবে। তাই রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। সব কিছুর রেডি করা হয়ে গেলে চুলার মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে রান্নাবান্না শুরু করে দিয়েছিলাম। রান্নাবান্না শেষ করতে আমার প্রায় দশটা বেজে গেল।

যাক অবশেষে সব কিছু শেষ করে ছাদে চলে গেলাম, গিয়ে দেখলাম কারেন্ট এখনো আসেনি। ধান গুলোকে উলোট-পালোট করে দিয়ে, আবার নিচে চলে আসলাম! অতিরিক্ত গরমের কারণে ছাদে থাকা একেবারেই মুশকিল হয়ে গেছে।

আবার একটু পানি খেয়ে নিয়েছিলাম! এত পরিমাণে কাশ যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিকেল বেলা ধান সবগুলো নিচে নামিয়ে তারপরে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এ পর্যন্ত অনেকবার ওষুধ নিয়ে এসেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

একটু পরে কারেন্ট আসলে ধান উড়ানোর ব্যবস্থা করি। প্রায় এক ঘন্টা কারেন্ট ছিল এক ঘন্টায় অর্ধেক পরিমাণ মানে ২০ মন ধান উড়ানো হয়ে গেছে। একটু পরেই কারেন্ট চলে গেল কি আর করব বুঝতে পারলাম না। এসে ছেলেদেরকে গোসল করালাম এবং দুপুরের খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি আর আমার শাশুড়ি আবারও ছাদে চলে গেলাম, কারেন্ট আসার অপেক্ষায় অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম।

অবশেষে বিকাল তিনটের সময় কারেন্ট আসলো। বাকি ধানগুলো উড়ানোর চেষ্টা করলাম মাত্র ১০ মিনিট কারেন্ট থাকার পর আবার চলে গেল, এরপর শাশুড়ি বললেন সবগুলো ধান একত্রিত করে রেখে দিতে, পরে উড়ানো যাবে। গরমের অবস্থা খুব খারা,প এখন এখানে থাকলে শরীর আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে।

নিচে এসে গোসল করে নিয়েছিলাম, এর পরের ঘর মুছে নিয়েছিলাম। কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না তাই দুপুরের খাবার না খেয়ে, আসরের নামাজ পড়ে ডাক্তারের কাছে চলে গেলাম। এত বড় সিরিয়াল যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমার সিরিয়াল আসল, ডাক্তার বলল বুকের ভেতরে ঠান্ডা লেগে গেছে। ঔষধ দিয়েছে যদি ঔষধের কাজ না হয় তাহলে নেবুলাইজার দিতে হবে।

ওষুধ নিয়ে আসার সময় ৩০ টাকার ঝালমুড়ি নিয়ে এসেছিলাম। ভাত খেতে যেতে ইচ্ছে করছে না। তাই ঝাল মুড়ি খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম, কিন্তু ঔষধ খাওয়ার পর কাশির পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচন্ড মাথা ঘুরানো শুরু হয়ে গেল। মাথায় পানি দিয়ে এসে ভেরিফিকেশন করেছিলাম, করার পর রাত সাড়ে বারোটার সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।