"প্রাণের কুষ্টিয়া শহরে ব্যস্ততম একদিন"

in আমার বাংলা ব্লগ28 days ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১৩ ই মে, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000085179.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলেও ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি যতবারই বাড়িতে আসি ততবারই চেষ্টা করি কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে একটু সময় কাটানোর জন্য কারণ কুষ্টিয়া শহরকে ভীষণ ভালো লাগে। গতকালকে কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে কিছু ট্যুরের শপিং করেছি আর কুষ্টিয়া বড়বাজার কেন্দ্রীয় মন্দিরে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম সেটা এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

1000085076.jpg

এবারে বেশ কয়েকদিন বাড়িতে থাকলেও কুষ্টিয়া শহরে যাওয়া হয়েছিল না। হঠাৎ করেই গত পরশুদিন জানতে পারলাম যে, কুষ্টিয়া বড়বাজার কেন্দ্রীয় মন্দিরে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান চলছে। যেহেতু বাড়িতে আসলে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান যেখানেই চলুক যাওয়ার চেষ্টা করি তাই আমি আর শ্যামলদা মিলে ঠিক করলাম যে, কুষ্টিয়া বড়বাজার কেন্দ্রীয় মন্দিরে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে যাবো। শ্যামল দা অবশ্য কুষ্টিয়ার সরকারি কলেজেই চাকরি করে। আমি গতকালকে দুপুরের দিকে বাসে করে কুষ্টিয়া শহরে দুপুর তিনটার দিকে পৌঁছালাম।

1000085068.jpg

প্রাণের কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে বেশ ভালই লাগছিল মনের ভিতরে। আমি আগে আগে গিয়েছিলাম এই কারণে যে কয়েকদিন পরে ইচ্ছা আছে কক্সবাজার ট্যুরে যাওয়ার তাই কিছু শপিং করার দরকার ছিলো। কুষ্টিয়ার এন এস রোডে গিয়ে নিলয় ফ্যাশন থেকে একটি জিন্সের প্যান্ট কিনলাম ৮০০ টাকা দিয়ে। আমি যে প্যান্ট‌ কিনেছি প্রথমে দোকানদার দাম চেয়েছিলো ১৩৫০ টাকা তারপর আমি ৭০০ টাকা বলেছিলাম দাম তখনো না দিলে আরো ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম। তারপর দোকানদার যখন বলল যে, এক হাজার টাকার কমে প্যান্টি দেওয়া যাবে না তখন আমি দোকানদারকে বললাম যে, আমি একটা লাস্ট দাম বলবো যদি এটাতে আপনি বিক্রি করতে পারেন আমাকে প্যান্ট দিবেন না হলে দিবেন না চলে যাবো। তারপর আমি ৮০০ টাকা বললে প্যান্ট দোকানদার দিতে রাজি হয়। এই জিন্সের প্যান্টটা আমার কাছে দারুন লেগেছে।

1000085069.jpg

তারপর আমি প্যান্ট কেনার পরে ভাবলাম যে, অনেকদিন ধরে একটি ভাল সানগ্লাস কিনতে চাচ্ছি কিন্তু কেনা হচ্ছে না। এর আগে ট্যুরে গিয়েছিলাম অল্প দামের সানগ্লাস যত বার কিনি ততবারই নষ্ট হয়ে যায়। অনলাইন প্লাটফর্ম দারাজে বেশ কয়েকদিন চশমা দেখেছি কিন্তু সেখানকার চশমাগুলো খুব একটা ভালো লাগে না আবার দামেও বেশি লাগে। তাই ভাবলাম যে কুষ্টিয়া শহরে যতক্ষণ এসেছি চশমা দোকানে গিয়ে দেখি তেমন ভালো পছন্দমতো চশমা মেলে কিনা। আমি বেশ কয়েকটি চশমার দোকানে ঘোরাফেরা করার পরে শেষ পর্যন্ত একটি দোকানে এসে এই চশমাটা পছন্দ হলো। এই দোকানটি ছিল এক দরের দোকান চশমার মূল্য ৬০০ টাকা লেখা ছিলো। তারপর দোকানদারের সাথে কথাবার্তা বলে শেষ পর্যন্ত ৪৫০ টাকা দিয়ে চশমা কিনলাম।

1000085085.jpg

চশমা কেনার পরেই চলে গেলাম স্যামসাং ফোনের কাস্টমার কেয়ারে। কারণ আমার ফোনে বেশ কিছুদিন ধরে ফার্স্ট চার্জিং হচ্ছে না। কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ফোন এবং চার্জার দেখানোর পরে বলল যে হয়তো চার্জারের ক্যাবলে সমস্যা আছে কিন্তু আমাদের কাছে বর্তমানে আউটটেক ক্যাবল নেই তাই আমরা চেক করে দিতে পারছিনা। তারপর সেখান থেকে ক্যাবল কেনার জন্য বঙ্গবন্ধুর চত্বরে আসলাম। বঙ্গবন্ধু চত্বরের কোন দোকান থেকে অরিজিনাল ক্যাবল না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সামনে এর একটি দোকানে গেলাম গেঞ্জি কেনার জন্য। ফায়ার সার্ভিসের সামনের তমা ফ্যাশন থেকে জার্সি কাপড়ের একটি গেঞ্জি কিনলাম ২৫০ টাকা দিয়ে।

1000085095.jpg

আমার গেঞ্জি কেনা হয়ে গেলে সেই দোকান থেকেই শ্যামলদা ফোন করে বলল যে চারটার দিকে তার অফিস শেষ হবে তারপর কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে দেখা করতে হবে। তারপর বিকাল ৪ঃ০০ টার দিকে শ্যামল দার সাথে দেখা করে দুজন চলে গেলাম কুষ্টিয়া বড়বাজার কেন্দ্রীয় মন্দিরের মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে। সেখানে গিয়ে দেখলাম বেশ ভালোই ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটেছে।

1000085097.jpg

আমরা বেশ কিছু সময় মহানাম যজ্ঞের হরিনাম সংকীর্তন শোনার পরে আনন্দবাজারে গেলাম প্রসাদ নেয়ার জন্য। আনন্দবাজারে এগিয়ে দেখি যে প্রসাদ খাওয়ার জন্য তেমন ভক্তবৃন্দ নেই বললেই চলে কারণ বিকালের সময়ে শহর অঞ্চলে প্রসাদ খাওয়ার জন্য ভক্তবৃন্দ খুবই কম হয়। তারপর আনন্দবাজার থেকে সাদা ভাত সবজির রস দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করলাম বেশ ভালই লাগলো। আমরা প্রসাদ খাওয়া শেষ করে আরো কিছু সময় মহানামযোগ্য শুনলাম।

1000085088.jpg

তারপর আমরা বাড়িতে আসার জন্য আবার কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে গেলাম। আসার সময় অবশ্য বাসে এসেছিলাম কিন্তু এবারে দুজন সিদ্ধান্ত নিলাম যে, সন্ধ্যার সময়ে ট্রেনে চলে যাবো। আমরা এই স্টেশনে এসে আধা ঘন্টা মত অপেক্ষা করার পরেই টুংগীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে আসলো। তারপর টুংগীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আমরা খোকসা পর্যন্ত এসে তারপর বাড়িতে চলে আসলাম। গতকালকে প্রাণের কুষ্টিয়া শহরে কাটানো সময় বেশ উপভোগ্য ছিলো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১২ ই মে ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 28 days ago 

সত্যি ভাই কুষ্টিয়া যেন প্রাণের শহর। সেই কোর্ট কুষ্টিয়া স্টেশন সেই কাঠগোলাপের গাছ সেই চিরচেনা রাস্তা। কুষ্টিয়া গিয়ে আপনার কেনাকাটাও হলো আবার মহানামযজ্ঞ তে থাকাও হলো। বেশ ভালো ছিল আপনার সময় টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 25 days ago 

কুষ্টিয়া শহর শুধু আমার প্রাণের শহর না কুষ্টিয়া শহরে যারা থেকেছে তাদের সবার কাছেই কুষ্টিয়া শহরটা প্রাণের শহর। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 28 days ago 

আপনার ব্যস্ততম মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। কুষ্টিয়া শহরে আপনাদের অনুষ্ঠান চলছে। নিকটস্থ শহর, তবুও সেখানে উপস্থিতি কম। যাহোক আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে ব্লগ আকারে শেয়ার করেছেন এবং কেনাকাটা দেখেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 25 days ago 

সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই কুষ্টিয়া শহরে এসে ঘুরে যাবেন আশা করি ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.24
TRX 0.12
JST 0.030
BTC 69643.92
ETH 3669.68
USDT 1.00
SBD 3.30