আমার আজকের পোস্ট || রাজ হাঁসের দৌড়ানিতে একদিন আমিঃ
আসসালামু আলাইকুম।
হ্যালো বন্ধুরা!
বন্ধুরা আমার আজকের পোস্টটি কিছুটা ভিন্ন ধরনের। বন্ধুরা রাজ হাঁস তো আমরা মোটামুটি সবাই চিনি। কিন্তু রাজহাঁসের যে ভয়ানক দৌড়ানি বা ভীষণ গর্জন সেটা কি কেউ কোনদিন খেয়েছেন? হয়তোবা অনেকে খেয়েছেন অথবা অনেকেই খাননি। আজকে আমি এই রাজ হাঁস নিয়ে একটি পোস্ট করবো। এখন সচারাচর রাজ হাঁস খুব দেখা যায় না। তবে এবার আমি আমার শশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দেখলাম যে আমার চাচা শশুরের তিনটি রাজ হাঁস আছে।
চিত্রঃ ১
রাজ হাঁস থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু যে বিষয়টার জন্য আমি লিখতে বসেছি সেটা হচ্ছে রাজ হাঁস কিন্তু মানুষকে দেখলেই দৌড়ে আসে কামড় দেওয়ার জন্য এবং কোন কোন সময় কামড়ে দেয় ও বটে এবং অনেক জোরে শব্দ করে ডাকে।
চিত্রঃ ২
আজ আমি আমার ছোট ছেলে আয়ানকে নিয়ে আমার চাচি শাশুড়ির উঠান দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আমার দিকে গলা উঁচু করে রাজ হাঁস তিনটি আমার দিকে দৌড়ে আসে আর আমি কিছু বুঝতে না পেরে ভয়ে দৌড় দিই এবং আয়ান এ সময় ভয় পেয়ে যায়। শুধু আমি একা হলে হয়তো দৌড় দিতাম না কিন্তু ছোট ছেলে বয়স মাত্র সাত মাস ওকে যদি কোথাও কামড় মারে তাহলে তো সমস্যা।
চিত্রঃ ৩
এই কারণেই আমার দৌড় দেওয়া। ছোট বেলায় যখন কোন রাজ হাঁস দেখতাম তখন তাদের থেকে অনেক দূর দিয়ে যেতাম কারণ বড়দের কাছে শুনতাম যে রাজ হাঁসে নাকি কামড় দেয়। অবশ্য আমার মনে হয় আমার বাংলা ব্লগের অনেক বন্ধুরা আছেন যারা আমার মতো এমন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখন থেকে আমার মনে হয় সবাই পথ চলার সময় অন্তত রাজ হাঁস দেখলে তার থেকে দূরের পথ দিয়ে যাবেন। এবং রাজ হাঁস হাসের ভয়ানক শব্দ এবং গলা উঁচু করে ধাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
চিত্রঃ ৪
বন্ধুরা, এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। জানিনা কেমন হয়েছে। তবে আপনাদের অনেক মুল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
পোস্টের সাথে সম্পর্কিত যা যাঃ |
---|
ডিভাইস | Techo provoir 4 |
---|---|
ক্যামেরা | 13MQUAD |
ক্যামেরায় | @azizulmiah |
লোকেশন | মাদারীপুর |
তাহলে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে চাচা শ্বশুরের রাজহাঁসের দৌড়ানি খেয়েছেন। এক সময় আমাদেরও রাজহাঁস ছিল। অচিন লোক দেখলে তাড়া করত কামাট দেওয়ার জন্য। তবে আমি নিজেও কয়েকবার রাজহাঁসের দৌড়ানি খেয়েছি। ভাগ্য ভালো ছোট বাবু কোলে থাকার কারণে আপনি নিজে ওখান থেকে সরে গেলেন। আপনাকে বা বাবুকে কামড় দিলে ক্ষতি হতো।
রাজ হাঁস দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে ছোটকালে ভীষণ ভয় পেতাম। আমি একা থাকলে রাজ হাঁস দৌড়ানি দিতো। আপনার রাজ হাঁসের দৌড়ানির মুহূর্তের অনুভূতি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেশিরভাগ সময় অপরিচিত লোক দেখলে এরা বেশি আক্রমণ করে থাকে। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এমন স্মৃতি কিন্তু আমার জীবনেও বিদ্যমান। ছোটবেলায় বাড়ির পাশ দিয়ে মাঠে পুকুর পাড়ে যেতে কত এভাবে রাজহাঁসের দৌড়ানি খেয়েছি তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এইতো কিছুদিন আগে মোটরসাইকেলে যেতে একটি রাজহাঁস আমার একটু কামড় দিয়েছে।
ভাইয়া এই অভিজ্ঞতা আমারও আছে । বেশ কিছুদিন আগে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম সকালবেলায় । তখন রাস্তার মাঝখানে এক ঝাঁক রাজহাঁস দাঁড়িয়েছিল ।যাওয়ার কোন উপায় ছিল না । যখন যেতে যাচ্ছিলাম তখনই সবগুলো গলা উঁচু করে শব্দ করে তেরে আসছিল কামড় দেবার জন্য । সত্যিই এক ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল ।আপনিও রাজহাঁসের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।
রাজহাঁসের দৌড়ানি এবং কামড় আমি অনেকবার খেয়েছি। গলাটিকে অনেক লম্বা করে এসে মানুষকে আক্রমন করে। যাক আপনার ভাগ্য ভালো শ্বশুরবাড়িতে চাচা শ্বশুরের রাজহাঁস গুলো আপনাকে আক্রমণ করেছে কামড়ালো না। ঠিক বলেছেন ছোট বাচ্চাকে যদি কোনমতে কামড় দেই তাহলে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে। তবে আমাদের বাড়িতে রাজহাঁস আসে। তবে রাজ হাঁস পালন করলে একটা সুবিধা হয় সেগুলো ঘাস খায়। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালোই লাগলো।
জি, আপু আপনি ঠিকই বলেছেন আমার ভাগ্য ভালো যে আমাকে কামড়ে দেয়নি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া রাজহাঁসের কত দৌড়ানি খেয়েছি সেই স্মৃতি কি ভোলা যায়। তবে বিষয়টা দারুন তো শশুড় বাড়ি গিয়ে রাজহাঁসের দৌড়ানি খেয়েছেন।ছোট বেলায় কারো বাড়িতে যদি রাজহাঁস থাকতো সেই বাড়ির আসেপাশে হাঁটার সময় কত ভয়ে থাকতাম আর ভাবতাম কখন এসে কামড় দিয়ে দেয়। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো।