লাইফ স্টাইল: " নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ঘোরাঘুরি "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে একটি লাইফ স্টাইলের পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ আসলে শুভ নববর্ষ উপলক্ষে আমাদের এই কামিউনিটির সকলে অনেক ধরনের পোস্ট শেয়ার করেছেন। তাই আমিও ভাবলাম যে আমিও কিছুদিন আগেই শুভ নববর্ষ উপলক্ষে একটি মেলায় ঘুরাঘুরি করেছিলাম৷ সেই মেলায় যা কিছু দেখেছি এবং যে সময়গুলো অতিবাহিত করেছি তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার৷ তাই আজকে আমি সেরকম একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আশা করি এই পোস্ট আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
প্রথমে সকলে মিলে তৈরি হয়ে গেলাম মেলায় যাওয়ার জন্য। যখন এই মেলায় যাওয়ার জন্য তৈরি হলাম এরপর বাসা থেকে বের হলাম৷ তখন রাস্তার অবস্থা একেবারে খারাপ ছিল৷ কারণ সেখানকার রাস্তার মধ্যে কাজ চলছিল৷ সেখানে গাড়ি পাওয়া একেবারে কষ্টসাধ্য ছিল৷ তাই কিছুটা হাঁটার পরে একটি গাড়ি পেলাম এবং সেই গাড়ি করে বাজারে চলে গেলাম৷ এই মেলাটি একটি স্কুল মাঠে হয়েছিল এবং সেই স্কুলটি অনেকটাই বড় ছিল৷ সেখানে মেলায় আমি, আমার মামা এবং মামি গিয়েছিলাম। তারা দুজন সহ আমি এই মোট তিনজন মেলায় প্রবেশ করলাম৷ সেখানে পুরো বাজারের মধ্যে অনেক মানুষজন ছিল৷ সকলে মেলায় প্রবেশ করছিল, আবার অনেকেই বের হয়ে যাচ্ছিল৷
যখন আমরা সেখানে যাই তখন একটু বিকেলবেলা ছিল৷ তখনও সেখানে মানুষের কোন কমতি ছিল না। মেলা অনেক বড় একটি মাঠের মধ্যে করা হয়েছিল। তাই সেখানে অনেক কিছুর আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথমেই ঢুকে আমাদের ডান পাশে একটি লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। মানুষজন বিভিন্ন ধরনের জিনিস করছিল। সেখানে অনেক ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল। একইসাথে সেখানে নিরাপত্তা কর্মীরাও ছিল৷ তারা মাইকে বলছিলেন যাতে করে কোন ধরনের সমস্যা হলে তাদেরকে জানানো হয় এবং ইভটিজিং এর কোন ঘটনা হলে তারা অবশ্যই সেটি দেখবে এবং সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিলেন।
এরপর আমরা সামনের দিকে এগিয়ে দেখি অনেকগুলো দোকান এবং সেই দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স আইটেম তোলা হয়েছিল৷ বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিসও ছিল৷ মহিলাদেরই বেশি জিনিসপত্র ছিল এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু ছিল। যখন সবকিছু এখানে একটার পর একটি দোকান দেখতে পেলাম তখন অনেকটাই ভালো লাগছিল। সবকিছু একসাথে দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেকদিন পরে এই সকল জিনিসগুলো দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
এরপর আরো সামনের দিকে যেতে যেতে গান শোনা যাচ্ছিল। তখন সেদিকে গিয়ে দেখতে পাই যে অনেক মানুষ নাচানাচি করছে এবং স্টেজের উপরেও অনেক মানুষ রয়েছে। সেখানে কিছু শিল্পীরা তাদের শিল্পকলা দেখাচ্ছিল। সেখানে অনেক নৃত্যশিল্পী ছিল এবং গায়ক গায়িকারাও ছিল৷ তারা তাদের নৃত্য এবং গান দিয়ে সকলকে মাতিয়ে রাখছিল৷ একইসাথে সকলেও তাদের সাথে একসাথে আনন্দ উদযাপন করছিল। এরপর আরো সামনের দিকে এগিয়ে দেখি যে সেখানে গাড়ি খেলা হচ্ছে । সেখানে গাড়ি খেলার দেখার মধ্যে অনেক মানুষ ছিল। তাই সেখানে ওঠার সুযোগ ছিল না । একইসাথে এই পাশে নৌকা এবং নাগরদোলা ছিল।
এরপর আমরা দেখতে পাই যে ভূতের বাড়ি এবং জাদুর একটি বিষয় সেখানে রয়েছে। তখন আমরা চিন্তা করলাম এখনো যাওয়া হয়নি। তাই যাওয়া যাক৷ তখনই সেখানে যাওয়ার জন্য টিকিট নিয়ে নিলাম এবং সেখানে প্রবেশ করার পর অনেক কিছুই দেখলাম । অনেক কিছু দেখার পর সেখানে অনেক ভালো লাগলো। অনেক জাদু দেখানো হলো এবং সেখানে অনেক ধরনের মানুষ ছিল। আমাদের মতো যারা যুবক রয়েছে তারা একটু বেশি ছিল৷ তারা এই জাদুগুলো দেখছিল এবং সে জাদুগুলো তারা নিজের চোখে দেখে অনেকগুলোই ভুয়া মনে করছিল। একইসাথে কয়েকটি জাদু আবার ইউনিক ছিল।
এরপর আমরা ভূতের বাড়ি দেখার পরে বের হয়ে গেলাম কিছু খাওয়ার জন্য। তখন মাগরিবের আযান দেওয়ার পর হয়ে গিয়েছিল৷ যখন আমরা ভূতের বাড়ি থেকে বের হলাম তখন সেখানে অনেক ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে৷ সেখানে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু হয়েছিল হালিম যা আমরা খেয়েছিলাম৷ তারপরও অনেক কষ্ট করে খাওয়া হয়েছিল৷ কারণ সেখানে এত মানুষ ছিল যে জায়গাই ছিল না৷ এরপর ফুচকা খাওয়ার জন্য গেলাম । তখন দেখলাম যে ফুচকা খাওয়ার জন্য সেখানে কোন জায়গাই হচ্ছিল না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরেও যখন কোন ধরনের স্থান পেলাম না তখন সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। এরপর বাসায় আসার সময় সকলের জন্য আইসক্রিম নিয়ে নিলাম এবং সকলে একসাথে বাসায় চলে আসলাম।
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি |
মডেল | M34 5g |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | ফেনী |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1782235816095584669?t=_vJz8O9_IJd_jT-IyavFiw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আমাকে সবসময় সাপোর্ট করে করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ঘোরাঘুরি, আপনি অনেক কিছু কেনাকাটা এবং অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন ভূতের বাড়ির একটি টিকিট দেখছি আপনার হাতে। নববর্ষ উপলক্ষে বেশ চমৎকারভাবে আনন্দ উপভোগ করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর একটি মন্তব্য আমার এই পোস্টে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নববর্ষকে ঘীরে সুন্দর মেলার আয়োজন করা হয়েছিল দেখছি। সুন্দর এই মেলার বেশ দারুন অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন। আমাদের দেশে কম বেশি কনসার্টের আয়োজন করা হয়ে থাকে মেলা উপলক্ষে। আর সেখানে নাচ গান সহ আরো অনেক অভিনয় থেকে থাকে। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার সুন্দর অনুভূতি দেখে।
একেবারে ঠিক বলেছেন। সেখানে অনেক মানুষ ছিল এবং অনেকেই অনেক ধরনের গান পরিবেশন করছিলেন।
নববর্ষ উপলক্ষে দেখছি অনেক সুন্দর একটা মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। অনেক বড় একটা মেলার আয়োজন দেখলাম। আপনি আপনার মামা মামির সাথে মেলায় গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। জাদুর বিষয়টা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। মেলায় কোন কিছু না খাওয়া হলে যেন ভালোই লাগেনা। হালিম খেয়েছিলেন জেনে ভালো লেগেছে, নিশ্চয়ই হালিম অনেক মজাদার ছিল। মেলায় খাবার দোকানগুলোতে অনেক বেশি ভিড় থাকে। যার কারণে ফুচকা দোকানেও ভিড় ছিল অনেক বেশি, এজন্য আর খেতে পারেননি। শেষ পর্যায়ে আইসক্রিম নিয়ে ফিরে এসেছেন। সব মিলিয়ে দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মেলায়।
একেবারে সুস্বাদু হালিম ছিল৷ যা খেয়ে একবারে মনের মধ্যে তৃপ্তি চলে আসলো।
নববর্ষ উপলক্ষে মাঠের মধ্যে অনেক সুন্দর একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আপনারা সেখানে ঘুরতে গিয়েছেন। ওখানে বেশ সুন্দর লাগতেছে ভূতের বাড়ি জাদুঘর কি দারুন ভাবে সবকিছু পরিবেশন করা হয়েছে। অবশেষে আপনি টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকলেন। যাই হোক অনেক সুন্দর ছিল। এমন ভ্রমণ বাড়ির পাশে হলে বেশ ভালোই লাগে। আপনার ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত বেশ দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন।
ভূতের বাড়ি আপনার কাছে দারুন লেগেছে শুনে খুব ভালো লাগলো। আমার কাছেও অনেকটাই সুন্দর লেগেছিল।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় ঘোরাঘুরির বেশ কিছু দারুন মুহূর্ত। সত্যি মেলায় ঘোরাঘুরি করতে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনাদের মেলায় বেশ কিছু দারুন দারুন জিনিস দেখতে পেলাম। তবে ভূতের বাড়ি আমার কাছে সত্যি বেশ অদ্ভুত লাগলো। আসলে আমিও এর আগে বেশ কয়েকবার দেখেছি কিন্তু বেশ ভয় লাগে ভিতরে ঢুকলেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেকবার ভূতের বাড়িতে প্রবেশ করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মেলাতে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে মেলাতে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। তবে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে যদি সেখানে ভিন্ন ধরনের খাবার থাকে। কারণ সেখানে গেলে বিভিন্ন ধরনের খাবারগুলো খাওয়া যায়। আপনি খুব চমৎকারভাবে দিনটা উপভোগ করেছেন। আপনার এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এই প্রথম এরকম সুন্দর একটি মেলায় ভ্রমণ করলাম। যা কখনোই ভোলার নয়।