বড়াওয়ালা সঙ্গে কিছুক্ষণ || আমার বাংলা ব্লগ
আজ -রবিবার
বড়া খেতে আমরা কমবেশি সবাই অনেক ভালবাসি বলা যায় এটা বর্তমানে আমাদের ট্রেডিশনাল একটা খাবার হয়ে গেছে। আমাদের গ্রামে সপ্তাহে দুইটা হাট হয় একটা হচ্ছে শনিবার এবং আরেকটা হচ্ছে বুধবার, তবে আজকে ছিল রবিবার সুতরাং আমাদের এলাকায় কোন হাট নাই। হাট না থাকলেও আজকে বড়া খাওয়ার জন্য মনের ভেতরে যেন কেমন একটা আনচান করছিল । তাই আমি এবং আমার একটা ফ্রেন্ড দুজনে মিলে বিকেলের দিকে চলে গেলাম সিন্দুরকুঠি গ্রামে একটু ঘুরে আসার জন্য, আমার উদ্দেশ্য ছিল একটু এলাকাটা ঘোরাঘুরি করা সেই সাথে ওখানকার বাজার থেকে স্পেশাল বড়া খাওয়া। বড়া বলতে আমি পেঁয়াজ বড়ার কথা বলতেছি। তো মোটামুটি অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করলাম এবং ঘোরাঘুরি শেষ করার পরে গরমে যেন মনে হচ্ছিল আধা সিদ্ধ হওয়ার মতো 😑 অবস্থা হয়েছিল । তখন ওখানে একটা বটগাছ রয়েছে তার নিচে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
বিশ্রাম নেওয়ার পরে আপনারা ছবিতে যে আঙ্কেলকে দেখতে পাচ্ছেন এনার কাছ থেকে ১০০ গ্রাম বড়া এবং কিছু সিঙ্গারা ক্রয় করলাম। তারপরে ওই বড়াওলার পাশের দোকান থেকে একটা ফ্রিজের থিকে সফট ড্রিং নিলাম।, আসলে ওখানে যেহেতু প্রচুর গরম ছিল তাই ভাবলাম যে এই গরমে ঠান্ডা কিছু খেলে একটু হলেও শান্তি পাওয়া যাবে। বড়া খেতে, খেতে আঙ্কেলের এই পেশা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম এবং কতদিন এই পেশাতে আছে এইসব বিষয়গুলো যখন ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম। তখন বলল যে বাবা, আমি প্রায় সাত বছর ধরে এই পেশাতে রয়েছি। আমার ৫ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে ওখানে চাষ করি এবং পাশাপাশি এই কাজটা করি এতে মোটামুটি আল্লাহর রহমতে আমার চলে যায়। আসলে এতদিনের অভিজ্ঞতা হওয়ার কারণে বড়া এবং সিঙ্গারা খেয়েও বেশ তৃপ্তি পেয়েছিলাম,তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে এটির ভিতরে পেঁয়াজের তুলনায় পেঁপে অধিক পরিমাণে দেওয়া হয়েছে ।
নামে পেঁয়াজ বড়া হলেও এটিতে বেশিরভাগ পেঁপে কেটে দেওয়া হয়েছে এর ফলে পেঁয়াজ অনেক কম লাগে এবং একটু লাভ বেশি হয়। তো যাই হোক তার ব্যবসা তার মতো করে চলমান রেখেছেন তিনি তবে আমি আলহামদুলিল্লাহ বড়া গুলো খেয়ে অনেকটাই তৃপ্তি পেয়েছিলাম। এই বিষয়টা ছাড়াও আমি আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করলাম সেটা হচ্ছে ওনি বড়া এবং সিঙ্গারা অনেক কম দামে বিক্রি করছেন। কারন আর যদি এটা আমি শহর অঞ্চলের বড়া, সিঙ্গারা এগুলোর সাথে তুলনা করি সেই ক্ষেত্রে মোটামুটি প্রায় ফিফটি পার্সেন্ট দাম এখানে কম। যেমন উনি মাত্র ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন, অর্থাৎ ২০ টাকায় ১০০ গ্রাম। এবং অন্যদিকে সিঙ্গারা গুলো পাঁচ টাকা পিস বিক্রয় করছিলেন কিন্তু ছবিতে কেমন লাগছে আমি বলতে পারলাম না তবে বাস্তবে সিঙ্গারা গুলো অনেক মোটা, মোটা ছিল।
এই সাইজের সিঙ্গারা গুলো আমি ১০ টাকা দরেও ক্রয় করে খেয়েছি। আসলে গ্রাম অঞ্চলে এই সুযোগ-সুবিধা গুলো পাওয়া যায় অনেক অল্প টাকাতেই অনেক ভালো মানের জিনিস পাওয়া যায়। তো যাই হোক ওনার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলার পরে ওনার কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখলাম । আসলে এই ধরনের অভিজ্ঞতা নিতে আমার অনেক ভালো লাগে কারণ একটা মানুষের সারা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে যদি তার ভালো দিকগুলো নিজের জীবনে কাজে লাগানো যায় সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় জীবনের মান অনেক উন্নত করা সম্ভব । সেই সাথে এই অভিজ্ঞতার ফলে সিদ্ধান্তগুলো বুদ্ধিমানের মত নেওয়া যায় বলে আমার মনে হয়। তো আজকে ছিল এই পর্যন্তই আবারও খুব শীঘ্রই দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ পোস্টে অথবা নতুন কোন অভিজ্ঞতা নিয়ে । ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং এই গরমে নিজের খেয়াল রাখুন। আল্লাহ হাফেজ 😊
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
বড়া সিঙ্গারা খাবার সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখছি। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই মুহূর্তটা দেখে। মাঝেমধ্যে বাজার থেকে এমন সব খেতে ভালো লাগে। কিন্তু এগুলো যে গ্যাসের প্রবলেম হয়ে দাঁড়ায়। হয়তো পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় পেঁপের সংখ্যা একটু বেশি দেয়। আর এজন্য উনারা লাভবান হন।
আসলে আমরা ভেজাল খেতে খেতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন পেঁয়াজের বদলে আমাদের পেঁপে খেতে হয়। যদিও পেঁপে একটি স্বাস্থ্যসম্মত সবজি বা ফল। পেঁয়াজের তুলনায় দাম কম।
বেশ দারুন একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যদিও এই ভাজাপোড়া খাবার গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারপরও আমরা এই খাবারগুলোর প্রতি বেশি আকৃষ্ট। আমি নিজেও খুব পছন্দ করি।সিঙ্গারা ও বড়ার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল । যখন পেঁয়াজের দাম বাড়ে তখন বড়ার ভিতরে পেপে এড করে। কারণ তাদেরও কিছু লাভ হতে হবে সেজন্যই এটা করে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।
প্রথমেই বকি, গ্রামের নামটি কিন্তু বেশ সুন্দর এবং আনকমন লাগলো আমার কাছে। আগেকার সময়ে এমন নাম অহরহ থাকলেও এখন এমন নামগুলো বেশিরভাগ ই পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে। যাই হোক, পিয়াজু আর সিংগাড়া খেতে ইচ্ছে করায় গরমের মাঝেও বেশ অনেকদূর ই গিয়েছেন বলতে হবে। তবে খেয়ে তো মজা পেয়েছেন, তাই কষ্ট সার্থক। তবে এই গরমে ঠান্ডা সফট ড্রিংস এবং এমন ভাজাপোড়া খাবার এভোয়েড করাটাই ভালো ভাই। আর মানুষের সাথে কথা বলেও কিন্তু দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। এই বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনাদের ওদিকে এই ভাজাপোড়া গুলোর দাম অনেক কম। শহর এলাকায় এগুলোর দাম তুলনামূলক অনেকটাই বেশি। তবে আমি এই ধরনের খাবারগুলো তেমন একটা খাই না। যাইহোক, লোকটার সাথে কথা বলে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলোও ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি বাজারের মধ্যেই বড়ার দোকান দেখতে পাওয়া যায়। আপনি আপনার বন্ধুরা সহ সিন্দুরকুঠি গ্রামের মধ্যে ঘোরাঘুরি করা শেষে সিন্দুরকুঠি গ্রামের একটি বাজারে বড়া এবং সিঙ্গারা খেয়েছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফীর মধ্যে সিঙ্গিরা গুলো দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি আপনার বন্ধুরা সহ বেশ ভালো সময় একটি উপভোগ করেছেন।