গল্প:) ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা। (চতুর্থ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ22 days ago (edited)
গল্প:) ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা

ছবিটি আনস্প্লেস থেকে নিয়ে কেনভা দিয়ে তৈরি

প্রথম পর্বদ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব

সাল: ৬৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।
শিবলিং শহর, প্রভাত সম্মুখভাগ


গতরাতে হেথাংয়ের ভালো ঘুম হয়নি। কারন রাতে খুব বাজে একটা স্বপ্ন দেখেছে, তাছাড়াও হঠাৎ করেই বাবা মা ছেড়ে অচেনা শহরে তার একটু খারাপ লাগছিলো। যাইহোক সে কোন কিছুই পাত্তা দেবে না কারণ তার কাছে মূল্যবান নীলকন্ঠ পাথর রয়েছে। এই মূল্যবান পাথর তাকে বড়লোক বানাবে। সে পানশালায় সকালের নাস্তা করে বেরিয়ে যায় রত্ন পাথর বিক্রি করতে। যেহেতু সে এই শহর তেমন একটা চেনে না তাই আগের লোকটির কাছেই তার রত্নপাথর বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলো।

হেথাং দোকানদারের সামনে আসা মাত্র বেশ হাসিমুখে তাকে অভ্যর্থনা জানায়, অথচ প্রথম দেখায় লোকটা তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছিলো। যাইহোক হেথাংয়ের এসব নিয়ে আর মাথা ব্যথা নেই, কারন তার প্রচুর স্বর্নমুদ্রা দরকার।
দোকানি হেসে বলে কি করতে পারি আপনার জন্য? হেথাং সোজাসুজি বলে ওঠে আমি পাঁচ হাজার স্বর্ণমুদ্রা সমপরিমাণ রত্ন পাথর বিক্রি করতে চাই। দোকানি তার দিকে অনেকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল, এমনকি আশেপাশে থাকা আরো দুএকজন মানুষ আশ্চর্য হয়ে গেছে।
দোকানি আমতা আমতা করে বলে আমার কাছে তো এতো গুলো স্বর্নমুদ্রা নেই, তবে আমি আপনাকে ব্যাবস্থা করে দিতে পারবো। সেক্ষেত্রে আমাকে কিছুটা সময় দিতে হবে।
হেথাংয়ের হাতে আর কোন উপায় না থাকায় সে রাজি হয়ে যায়।

হেথাং যখন দোকানির সাথে কথা বলছিল, পাশেই মধ্য বয়সী এক লোক খুব মনোযোগ দিয়ে তাদের কথোপকথন শুনছিলেন। লোকটা কিছু না বলে হেথাংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেশ কিছু সময় টর দোকানি পাঁচ হাজার স্বর্নমুদ্রার বড় একটা থলে নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। হেথাংয়ের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। হেথাংতার ঝোলায় থাকা মূল্যবান পাথরগুলো দোকানিকে দিয়ে দেয়। দোকানি বেশ চমৎকার সব রত্ন পাথর দেখে ভীষণ খুশি হয়।

এদিকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা হেথাংয়ের কর্মকাণ্ড খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। হেথাং প্রথমেই স্বর্নমুদ্রার বড় থলে নিয়ে দ্রুত তার পানশালায় ফিরে আসে এবং প্রয়োজনীয় স্বর্নমুদ্রা একটি ঝোলাতে নিয়ে বেরিয়ে পরে শিবলিং শহরের বড় পোষাকের দোকানে। হেথাং খুঁজে খুঁজে তারজন্য সবথেকে দামী পোশাক ক্রয় করে। এরপর পানশালায় ফিরে দশ দিনের ভাড়া অগ্রিম দিয়ে দেয়।

এদিকে মাঝ বয়সী যে লোকটা তাকে দোকান থেকে খেয়াল করে আসছে আসলে তার নাম কার্লো। যতরকম খারাপ কাজ রয়েছে সে এগুলোর ওস্তাদ। সে বুঝতে পেরেছে হেথাংয়ের কোন একটা বিষয় রয়েছে যা হয়তো তাকেও বড়লোক বানাতে পারে। সে দোকান থেকে বের হবার পর থেকে পুরো সময়টা হেথাংকে খেয়াল করে আসছে।

"চলবে"



Black and White Modern Company Presentation (1).gif

banner-abbVD.png

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 21 days ago 

ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা এর গল্প আগের পর্ব গুলো পড়া হয়েছে। আজকে নতুন পর্ব পেয়ে খুশি হলাম। মাঝ বয়সী লোকটির নাম কার্লো বাহ্ দারুন। সে তো মনে হচ্ছে সব গুলো বিষয় বেশ ভালো ভাবেই দেখতেছে। না জানি নতুন পর্বে সে কি করে। দোকানদার বেশ অবাক হয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 21 days ago 

ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশা এর গল্প আগের পর্ব গুলো পড়া হয়েছে। আজকে নতুন পর্ব পেয়ে খুশি হলাম। মাঝ বয়সী লোকটির নাম কার্লো বাহ্ দারুন। সে তো মনে হচ্ছে সব গুলো বিষয় বেশ ভালো ভাবেই দেখতেছে। না জানি নতুন পর্বে সে কি করে। দোকানদার বেশ অবাক হয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 21 days ago 

ধনকুবের হেথাং এবং তার জীবদ্দশার প্রতিটি পর্ব খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। যত পড়ছি মজা পাচ্ছি এবং লোভে পড়ে যাচ্ছি। কেননা হেথাং দোকানির পাঁচ হাজার স্বর্নমুদ্রার বড় একটা থলে নিয়ে
শিবলিং শহরের যায় পোশাক কিনতে এবং কার্লো তার অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে আমার মনে হয়।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 69942.87
ETH 3793.57
USDT 1.00
SBD 3.73