রাতের বেলায় বারবিকিউ খাওয়ার মূহুর্ত
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে রাতের বেলায় ঢাকা শহরে ঘোরাঘুরি করার মূহুর্ত শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। গতকাল মা বাবা উমরাহ গিয়েছে। তাদের কে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে আমরা কয়েকজন কাজিন মিলে গিয়েছিলাম নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জে হেলিপ্যাড চত্বরে।আর রাতের বেলায় পূর্বাচল গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করলে মনে হয় অন্য কোন উন্নত দেশে আছি।কারণ পূর্বাচল পরিকল্পিত নগরী করে তৈরি করছে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের রাতের বেলায় ঢাকা শহরে ঘোরাঘুরি মূহুর্ত।
আমরা তিন জন ছিলাম কাজিন এক গাড়িতে।রাত আনুমানিক ১১ টা বাজতে ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে একটু জ্যাম ছিল। পড়ে পূর্বাচল রাস্তায় যাওয়ার পর একদমই ফাঁকা ছিল। প্রথমে অবশ্য রাস্তা ভুলে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। পড়ে গুগল মামার সাহায্য পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলাম। ওখানে কাজিন এর বন্ধুরা ছিল কয়েকজন। রাতের বেলা রাস্তা গুলোতে একটু ভয় ভয় লাগছিল।কারণ আমরা মেইন রোড দিয়ে না গিয়ে সাইড রাস্তা দিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাস্তা গুলো খুব চাপা এবং দুই সাইটে অনেক জংগল ছিল। যাইহোক তারপর একটু পড়ে সেই কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছালাম।
এরপর পৌঁছানোর পর দেখলাম কাজিন এর বন্ধুরা মাছের বারবিকিউ অর্ডার দিয়ে দিছে।আর জায়গাটি গিয়ে বেশ ভালো লাগছে।কারণ অনেক সুন্দর জায়গা এবং খুব নিরিবিলি।আর এখানে সন্ধ্যা পর থেকে এখানে মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়।আমরা সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত ১১ টা বেজে গিয়েছিল। তারপরও অনেক মানুষ ছিল।মাছ টা ছিল তেলাপিয়া মাছ অনেক বড় ছিল মাছটা। এতো বড় তেলাপিয়া হয় আগে আমার জানা ছিল না। প্রথমে মনে করছিলাম করাল মাছ বা নদীর মাছ হতে পারে।পরে শুনলাম তেলাপিয়া মাছ। মাছটি খুব মজার ছিল। আসলে বড় মাছ আর পোড়ানো উপর নির্ভর করে হচ্ছে মজা। বারবিকিউ সাথে নেওয়া হয়েছিল সাদা রুটি। নিরিবিলি পরিবেশে সাথে সুন্দর আবহাওয়া চারদিকে খোলামেলা জায়গায় বসে এইভাবে বারবিকিউ খাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। সবমিলিয়ে অনেক ভালো লেগেছিল আড্ডাটা। এরপর খাওয়াদাওয়া শেষ করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসতে আসতে একটা বেজে গিয়েছিল। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
কাজিনদের নিয়ে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার বাবা-মা হজ্জে গেলেন।আল্লাহ উনাদের হজ্জ কবুল করে নেবেন আশাকরি।আপনারা রাত ১১ টার সময় পূর্বাচল গিয়ে বারবিকিউ খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। তেলাপিয়া মাছটি সত্যি ই অনেক বড়।আর রাতের পরিবেশ সত্যি ই খুব সুন্দর। শুধু একটু ভয় ভয় লাগে এই যা।অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য। রাতের বেলায় ঢাকা একটু ফাঁকা থাকে এই জন্য একটু ঘুরতে ভালো লাগে।
জ আপনার মা-বাবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো দোয়া করি তারা যেন খুব ভালোভাবে ওমরা সম্পন্ন করতে পারে। কাজিনদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে আর সেটা যদি বারবিকিউ হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। যাইহোক সকলে মিলে একটা জায়গায় গিয়ে মাছের বারবিকিউ খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো সেই সাথে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্তও কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া খাবারের নাম শুনে তো জিভে জল চলে এলো। একা একা খেয়েছেন এখন পেট খারাপ করবে হা হা হা। মজা করলাম রাতের বেলা বারবিকিউ খাওয়া সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।