রিমঝিম বৃষ্টির মধ্যে গ্রিল খাওয়া মূহুর্ত
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় গ্রিল খাওয়ার মূহুর্ত শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কয়েকদিন হলো অনেক বৃষ্টি হচ্ছে এরমধ্যে আজকে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। সারাদিন বৃষ্টি দেখে অফিস থেকে কোথাও যাওয়া হয়নি।আর বৃষ্টির মধ্যে কাবাব খেতে দারুন লাগে।তাই অফিস থেকে আসার পর ভাবলাম যে আজকে কাবাব খেতে যাব। এরপর পাশেই নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে ওখানে গেলাম। নতুন রেস্টুরেন্টে এর খাবার এর মান অনেক ভালো। প্রথমে মনে করছিলাম যে দূরে গিয়ে খাব। পড়ে ঝিরঝির বৃষ্টি কারণে আর দূরে যাওয়া হয়নি। কিন্তু রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর বলছে আজকে কাবাব করা হয়নি। আজকে গ্রিল হবে এটা খেতে পারবেন। ভাবলাম যে অনেক দিন হলো গ্রিল খাওয়া হয়না। আজকে খেয়ে দেখি কেমন হয়েছে এই নতুন রেস্টুরেন্টে এর গ্রিল।
রেস্টুরেন্টে টা একদম নতুন হওয়াই সবকিছু অনেক সুন্দর টিপটাপ ছিল।এদের একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে সেটা হলো তাদের রান্নার ঘর একদম আলাদা। রেস্টুরেন্টে ভিতরে সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এইজন্য এইটা বেশ ভালো ছিল। এরপর একটা বাটার নান এবং গ্রিল অর্ডার দিলাম।
অর্ডার দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে খাবার গুলো দিয়ে দিল। এখানকার বাটার নান টা খুবই মজার ছিল। আমি এমনিতেই অর্ধেক খেয়ে ফেলছিলাম।বাটার নান এর সাথে ছালাত টা অনেক মজার ছিল। কিন্তু গ্রীলটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে নাই। তবে মোটামুটি ছিল আবার অনেকেই বয়লার মুরগি খেতে পছন্দ করে না। তবে মুরগি পুড়িয়ে,গ্রিল, করে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করলে কিন্তু বেশ মজাই লাগে।আমার কাছে বয়লার মুরগি কশিয়ে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে।আর গ্রীলটা অনেক পছন্দের যদি ভালো মতো প্রসেস করা হয় তাহলে অনেক সুস্বাদু লাগে।আর বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি,পপকর্ন, মুড়ি,নুডুলস, কাবাব এই ধরনের খাবার গুলো খেতে দারুন লাগে।রিমঝিম বৃষ্টির দিনে ঘর থেকে বের হতে কার মন চায় বলুন। এ সময় মন চায় বাসায় তৈরি করা মজাদার খাবার খেতে। কিন্তু ব্যাচেলর থাকার কারণে এসব কোন কিছু করা সম্ভব হয়না।এই জন্য বেশিরভাগ সময় কোন কিছু খেতে মন চাইলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হয়। যাইহোক খাবার শেষ করে বাসায় চলে আসলাম। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | খিলগাঁও, বাসাবো |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
ঠিক বলেছেন, ব্যাচেলর থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে মাঝে মাঝে এভাবে করে খাওয়া দাওয়া করবেন তবে দেখবেন এবার যেন গ্রিলটা ভালো হয়, হাহাহা। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টির দিনে এরকম খাবার খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে , আমিও গতকালকে খেয়েছি । আর এটা ঠিক ব্রয়লার মুরগি এমনি খেতে ভালো লাগে না তবে ব্রয়লার মুরগির গ্রীলটা কিন্তু খুবই মজা লাগে খেতে । নতুন রেস্টুরেন্ট হওয়াতে আসলেই অনেক টিপটপ লাগছে ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন রিমঝিম বৃষ্টির মধ্যে গ্রিল খাওয়া মূহুর্ত। আসলে ভাই ব্যাচেলার অবস্থায় মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে খাওয়ার অনুভূতি আমিও কিছুটা বুঝি। আমিও কয়েকদিন আগে গ্রিল খেয়েছিলাম বেশ। আসলে নান রুটি দিয়ে খেলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির দিনে এমন খাবার বেশ মজার হয় খেতে।যদিও আমি বাইরের খাবার খাই না।তাই নিজে বাসায় করে খাই।দারুন হয় খেতে।নান ও নিজে করি।গ্রিলটা তেমন ভালো লাগেনি,আহারে।তারপরেও খেতে হবে।কারন ব্যাচেলরদের জীবন তো এমনই।
এটাই ভাগ্য ভাইয়া। খেতে গেলেন কাবাব আর খেয়ে আসলেন গ্রিল। বৃষ্টির মধ্যে ভাজা পুড়া খেতে সত্যিই দারুন লাগে। মানুষ যদিও বলে রেস্টুরেন্টের খাবার কম খেতে। কিন্তুু সামনে পেলে আর ছাড়ে না,হে হে হে। ধন্যবাদ।