"জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
আলোকচিত্র: 1
এই পেইন্টিংটি আমাদের অতি পরিচিত প্রাণী চিতা বাঘ মামার।যে গাছের ডালে বসে রয়েছে লেজ ঝুলিয়ে।আর তার পাশে ফুল ও পাখির খুব সুন্দর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।আর এই চিতা বাঘের-ই কিন্তু গাছের ডালে উঠতে বেশি দেখা যায়।যদিও বাস্তবে আমি কখনো এর সম্মুখীন হয়নি।
আলোকচিত্র: 2
এটা হচ্ছে ঘুড়ি ও লাটাইয়ের অসম্ভব মজার একটি পেইন্টিং।আসলে মানুষের শরীর ঠিক থাকলেও মাথাকে ঘুড়ির আকৃতি দেওয়া হয়েছে।আর লাটাই ও সুতা ছাড়া ঘুড়ি অচল। তাই এখানে বোঝানো হয়েছে ঘুড়ির হাতে বাঁশের লাটাই।এটা অনেক ভালো লাগার একটি পেইন্টিং।
আলোকচিত্র: 3
এটা হচ্ছে একটি রাজকুমারের দৃশ্য।যে ঘোড়ায় চড়ে তলোয়ার হাতে যুদ্ধ করতে যাচ্ছেন আর একজন বার্তা বাহক সেই খবর ঢোল পিটিয়ে প্রচার করছে।যদিও বর্তমানে এই ঘোড়ার চলন আর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে খবরাখবর দেওয়ার প্রথা চালু নেই।এখন উন্নত বিশ্বে সবকিছুই পরিবর্তনীয়।
আলোকচিত্র: 4
বন্ধুরা, এই পেইন্টিংটি দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোন ছড়া বা কবিতার।ছোটবেলায় রোকনুজ্জামান খানের লেখা ছড়াগুলি ছিল আমার সবথেকে বেশি প্রিয়,তাই এখনো তা মনে জ্বলন্ত রয়েছে।সেটা হলো-নোটন নোটন পায়রাগুলি।
ঝোটন বেঁধেছে,
ওপারেতে ছেলেমেয়ে
নাইতে নেমেছে।
দুই ধারে দুই রুই কাতলা
ভেসে উঠেছে,
কে দেখেছে কে দেখেছে
দাদা দেখেছে।
দাদার হাতে কলম ছিল
ছুড়ে মেরেছে,
উঃ বড্ড লেগেছে।
আলোকচিত্র: 5
এটা হচ্ছে একটি কালো পেইন্টিং।যেখানে মাল ভর্তি একটি গরুর গাড়ি দেখানো রয়েছে।গাড়িওয়ালা ভাই হাতে লাঠি নিয়ে এবং গাড়িতে লন্ঠন ঝুলিয়ে দূরের পথ পাড়ি দিচ্ছেন।
আলোকচিত্র: 6
আমি এই ছবিটি আমাদের কলেজ থেকে ধারণ করেছি।যখন কলেজের দোতলা বারান্দা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম তখনই চোখে পড়েছিল সুন্দর একটি অজানা ফল।এই গাছে অন্য সময়ে খুবই সুন্দর ফুল ধরে থাকে,আজ আবার ফলের সন্ধান পেলাম।মজার বিষয় হচ্ছে আমি আমার বান্ধবীকে এতবার দেখাচ্ছিলাম ,কিন্তু কিছুতেই ও দেখতে পাচ্ছিলো না।যাইহোক এটি দেখতে অনেকটা শিমের আকৃতি।
আলোকচিত্র: 7
এটি হচ্ছে কচু পাতাবাহার।সবুজের উপর লাল ও সাদা রঙের সমাহার এক অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা করে।কচু পাতাবাহারের আবার ফুলও ফুটেছে একটি।তাছাড়া এর সুন্দর পাতাগুলো দেখলে মনে হয়, কেউ যেন রং-তুলি দিয়ে সাদা ও লাল রং একে রেখে দিয়েছে ছিটে মেরে।কচু পাতাবাহারের অনেক প্রজাতি রয়েছে ভিন্ন রংয়ের।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max এবং poco m2 |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
এদের পূজোর থিমটা দারুণ ছিল। বিভিন্ন ধরনের জলরঙা পেইন্টিং দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিল প্যান্ডেল টা। পেইন্টিংগুলো খুবই চমৎকার ছিল। এবং আপনি ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন আপু। দারুণ লাগল ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে। আপনার কলেজের দ্বিতীয় তলা থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন আপু।
আসলেই ভাইয়া, পূজার থিমটি সুন্দর ছিল।আর প্রতিবছরই তারা পেইন্টিং দিয়ে সাজায়,ধন্যবাদ আপনাকে।
কি বলবো আপু প্রতিটি আলোকচিত্র এ যেন এক একটা ইতিহাস।কিছু ঐতিহ্যবাহী আর্টেরও ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম।খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
আসলেই পেইন্টিং পুরোনো ঐতিহ্যকে বহন করে, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপু ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
😊😊
জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। এই ধরনের কারূ কাজগুলো সত্যিই উপভোগ করতে অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি আমার খুবই প্রিয় । যেটা করতে আমিও ভালবাসি। আজকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ধরনের ভিন্নতমূলক ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত উপভোগ করে থাকি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ফটোগ্রাফিও অসাধারণ হয় ভাইয়া, ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জলরঙ দিয়ে এই পেইন্টিং গুলো এত দক্ষতার সাথে অঙ্কন করেছে। দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি এই সৌন্দর্যময় পেইন্টিং গুলোর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা পড়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জল রং দিয়ে পেইন্টিং করা বিভিন্ন প্রকারের ছবির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। একই সাথে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির বর্ণনাগুলো করে ফটোগ্রাফি গুলো সম্পর্কে যথার্থভাবে জানতে পেরেছি। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া, মন থেকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করার ।ধন্যবাদ আপনাকে।
জলরঙ্গে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার এই ফটোগ্রাফিগুলো আমার বরাবরই ভালো লাগে।
কচু পাতা বাহার গাছটি দেখতে অসাধারণ লাগছে। সবুজের ওপর লাল ও সাদার সমাহার দেখতে অসাধারণ লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
কচু পাতাবাহারটি আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল, ধন্যবাদ আপু।
বেশ অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট দেখে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি বিভিন্ন আর্ট গুলো ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন। এই সমস্ত চিত্র গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার। আমিও একদিন চারুকলা বিভাগের অফিস রুম থেকে এমন অনেক ফটো ধারণ করেছিলাম। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার চারুকলা বিভাগের অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
কলেজ থেকে আপনি যে এই দুটো ফটোগ্রাফি করেছিলেন সেই দুটো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে। জলরঙে করা কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে আপনি দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। বোঝাই যাচ্ছে ফটোগ্রাফি করায় আপনি অনেক বেশি দক্ষ। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
না ভাইয়া, অতটাও ফটোগ্রাফিতে দক্ষ নই আমি।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছুদিন আগেও মনে হয় তোমার শেয়ার করা জলরঙের কিছু পেইন্টিং দেখেছিলাম। যাইহোক, তোমার শেয়ার করা চার নাম্বার পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি টা দেখে ছোটবেলার সেই কবিতাটার কথা মনে পড়ে গেল, যেটা তুমি নিচে লিখে দিয়েছো। তাছাড়া, একদম শেষে শেয়ার করা কচু পাতাবাহার এর ফটোগ্রাফি টা বেশ ভালো লাগলো।
হ্যাঁ দাদা,কিছুদিন আগেও জলরঙের কিছু পেইন্টিং শেয়ার করেছিলাম।কিন্তু সেগুলো সবই আলাদা,ধন্যবাদ তোমাকে।
হ্যাঁ বোন, সেগুলো সবই আলাদা ছিল, এটা তো ঠিক কথা।
🥰