নাটক রিভিউঃ " আমার বৃত্তে তুমি "
26-04-2024
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো গরমে ভালো থাকাটাও এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি আসবে বলেও আসছে না। অনাবৃষ্টির সাথে টেম্পারেচার অনেক বেশি! এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবী একসময় বসবাসের অযোগ্যই হয়ে যাবে। সামনে যেহেতু বর্ষাকালা আসছে আমাদের এখনই পরিকল্পনা নেয়া উচিত বৃক্ষরোপণের! যাইহোক, আজকে যেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে একটি নাটক শেয়ার করার জন্য। নাটকের নাম হচ্ছে আমার বৃত্তে তুমি। আশা করছি নাটকটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাম | আমার বৃত্তে তুমি। |
---|---|
চিত্রনাট্য, পরিচালনা | পথিক সাধন। |
অভিনয়ে | খাইরুল বাশার, তানজিম সায়েরা তটিনী, সমু চৌধুরী,মারিয়া আক্তার, রানা মজুমদার, তানভীর রিজভী, হাসান জাহিদ সহ আরও অনেকে। |
আবহ সংগীত | সালমান জাইম। |
দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড। |
মুক্তির তারিখ | ২১ই এপ্রিল , ২০২৪ ইং |
ধরন | রোমান্টিক, সামাজিক । |
ভাষা | বাংলা |
চরিত্রেঃ
সাইদুরঃ
খাইরুল বাশার।লাবণ্যঃ
তানজিম সায়েরা তটিনী।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, সাইদুর অফিস শেষে বাসায় ফিরছে। ঠিক তখন রাস্তার মাঝে বেনারসি শাড়ি পরা এক মেয়ে তার বাইকের সামনে এসে পরে যায়। সাইদুর মেয়েটিকে হসপিটালে এডমিট করায়। কিন্তু মেয়েটি কিছুই মনে করতে পারে না। তার নাম ঠিকানানা কিছুই মনে নেই। সাইদুর এটা নিয়ে পরে যায় বিপদে! মেয়েটিকে এখন কোথায় নিয়ে রাখবে সেটাই বুঝতে পারছে না। সাইদুর একটি ব্যাচেলর বাসায় থাকে। সেখানে একটা মেয়েকে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব না। সাইদুর তার অফিসের দুই বন্ধুকে ঘটনাটা শেয়ার করে। সেটা শোনার পর তার দুই বন্ধু পরামর্শ দেয় মেয়েটি যেহেতু কিছুই মনে করতে পারছে না তাই আপাতত সাইদুরের বাসায় নিয়ে রাখতে। কিন্তু সাইদুর যে ব্যাচেলর বাসায় থাকে। সাইদুর তার দুই বন্ধুর কাছে হেল্প চাই! মেয়েটিকে তাদের বাসায় নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু কোনো বন্ধুই বাসায় নিতে রাজি হয়নি। কারণ তাদের বাসায় বউ আছে, পরিবারের সবাই থাকে!
তারপর সাইদুরের বন্ধু পরামর্শ দেয় মেয়েটি যেহেতু বেনারসী শাড়ি পরা আছে। তাই বাড়িওয়ালার সামনে নিয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। বাড়িওয়ালা হয়তো ভাবতে পারে সাইদুর নতুন বিয়ে করেছে। সে ভাবনা অনুযায়ী মেয়েটিকে বাসায় নিয়ে যায় সাইদুর! যাওয়ার সময়ই বাড়িওয়ালা দেখে সাইদুরের সাথে মেয়েটিকে! বাড়িওয়ালার মনে সন্দেহ শুরু হয়ে যায়। তারপর সাইদুরকে জিজ্ঞেস করে মেয়েটি কে? সাইদুর তখন বলে সন্ধ্যায় বাসায় চায়ের দাওয়াত! তারপর বাড়িওয়ালার স্ত্রী এসে মেয়েটির সাথে পরিচিত হয়। সাইদুর যেহেতু মেয়েটির নান জানে না। আর মেয়েটিও নিজের নাম মনে করতে পারছে না। তখন সাইদুর মেয়েটির নাম দেয় লাবণ্য! লাবণ্য নামটি পছন্দ হয় মেয়েটির। তারপর ধীরে ধীরে সাইদুর মেয়েটির প্রেমে পরে যায়। সাইদুর মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলে।
কিছুদিন পর লাবণ্যকে তার দুই বন্ধুর সাথে পরিচয় করায়। তখন সাইদুর বলে যে লাবণ্যকে যেন তার মনের কথাগুলো বলে। তার দুই বন্ধু লাবণ্যকে সাইদুরের মনের সব কথা বলে দেয়। আর সেটা শুনে লাবণ্যও অনেক খুশি হয়। কারণ লাবণ্যও সাইদুরকে পছন্দ করে। কিন্তু তার যে নাম ঠিকানা কিছুই মনে নেই! লাবণ্য এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। তারপর থেকে দুজনের সংসার ভালোই চলতে থাকে। হঠাৎ একদিন বাড়িওয়ালা পেপার পড়ার সময় দেখতে পায় নিখোঁজ সংবাদে লাবণ্যের ছবি। আর সেটা দেখেই বাড়িওয়ালার খটকা লাগে! এই মেয়েটিই যে তার বাড়িতে। তারপর বাড়িওয়ালা পুলিশ ও মেয়েটির ভাইকে নিয়ে আসে। আর মেয়েটির ভাই এসে বলে পুলিশকে সাইদুর নাকি তার ওয়াইফের সব গহনা ও টাকা চুরি করেছে। পুলিশ তখন সাইদুরকে থানায় নিয়ে যেতে চাই।
আর তখনই লাবণ্য চলে আসে। লাবণ্য এসে পুলিশের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করে। সাইদুরকে যেন থানায় নিয়ে যায়। সে নির্দোশ। তারপর লাবণ্য তার আসল পরিচয় বলে ফেলে। তার নাম শিলা আহমেদ। সে তার ভাইয়ের কারণে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে। কারণ তার ভাই জোড় করে তাকে অন্য একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিল! তারপর লাবণ্যর বয়ফ্রেন্ড ও তার সাথে ধোকাঁ দেয়। বাসা থেকে তার বয়ফ্রেন্ডের কথা মতো টাকা ও গহনা নিয়ে পালিয়ে আসে লাবণ্য। কিন্তু তার বয়ফ্রেন্ড তাকে রেখে টাকা গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। এসব শুনে সাইদুর অবাক হয়ে যায়! কিন্তু লাবণ্য সত্যি সত্যি সাইদুরকে ভালোবেসে ফেলেছে। সাইদুর অনেক সহজ সরল একজন মানুষ। লাবণ্য এই সরল সহজ মানুষটাকে ভালোবাসে। কিন্তু পুলিশ লাবণ্যরও কথাও বিশ্বাস করেনি!! তারপর কি হয়েছিল জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে ভালে লেগেছে আসলে। দিনশেষে আসলে সাইদুরের মতো সহজ সরল মানুষগুলোই ঠকে যায়। আর ঐদিকে লাবণ্যর মতো বয়ফ্রেন্ড যে কি না ধোকাঁ দিয়ে টাকা আর গহনা নিয়ে পালিয়ে যায় তারাই ঠিকই রেহাই পেয়ে যায়। আমরা সঠিক মানুষ চিনতে ভুল করি। নাটকটিতে বেশ কিছু দিক স্পষ্ট! এখনও আমাদের সমাজে পাত্রীর মতামতকে তেমন গুরুত্ব দেয়া না। দিনশেষে পরিবারের স্ট্যাটাস আসলে কিছু না! টাকা দিয়ে সব কিনা গেলেও সুখ কেনা যায় না।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯.১/১০
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এখন প্রায়ই নাটকে দেখা যায় নায়িকা ভুল মানুষের সাথে প্রেম করে এবং তার সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে হারিয়ে যায়। আর তারপরে নায়কের সাথে দেখা হয় এবং তাদের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়। আপনার শেয়ার করা নাটকটি ঠিক এমনই। তবে আপনি সম্পূর্ণ নাটক রিভিউ করেননি শেষের অংশটুকু বাকি রেখেছেন। পরবর্তীতে সময় পেলে অবশ্যই শেষের অংশটুকু দেখে নিব। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুমম আপু, নাটকের গল্পটা দারুণ ছিল। আপনি দেখলে আশা করছি উপভোগ করতে পারবেন।
আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। নাটকটি আগে দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউয়ের মাধ্যমে নাটকটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নাটকটি দেখলে আশা করছি আপনি উপভোগ করতে পারবেন।
আপনার শেয়ার করা আজকের এই নাটকের রিভিউ আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে দেখতে। প্রায় সময় নাটকগুলো দেখা হয়। বিশেষ করে যখনই সময় পাই তখনই নাটকগুলো দেখার চেষ্টা করি। আমি তো ভেবেছিলাম লাবণ্যর হয়তো সত্যি সত্যি স্মৃতি চলে গিয়েছে। কিন্তু এখন তো দেখছি সে এটা নাটক করেছিল। কিন্তু সে আবার সাইদুরকে সত্যিকারের ভালোবেসেছে। নাটকের শেষে কি হলো এটাই তো জানতে পারলাম না। সাইদুরকে তো পুলিশ নিয়ে গেলো। এরপর কি হলো এটা জানার জন্য নাটকটা অবশ্যই দেখবো।
জি ভাইয়া, নাটকটি কিন্তু দারুণ ছিল। দেখলে আশা করছি আপনি উপভোগ করতে পারবেন।
একদমই ঠিক আমরা আসলে মানুষ চিনতে ভুল করি। আমার বৃত্তে তুমি নাটকটি আজকে দেখলাম। নাটকটির মাধ্যমে পরিচালক বিভিন্ন ধরণের মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। খায়রুল বাশার এবং তোটিনির অভিনয় ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য।
আসলেই ভাই, আমরা মানুষ চিনতে ভুল করে ফেলি। যত তাড়াতাড়ি মানুষ চেনা যায় ততই ভালো।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন। নাটক অনেক দিন হয় দেখা হয় না।তবে আপনার শেয়ার করা নাটকের রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ হলো।এরপর আসলে কি হলো। সময় সুযোগ মতো নাটকটি দেখবো আশাকরি। ধন্যবাদ ভাইয়া নাটকের রিভিউটি শেয়ার করার জন্য।
এরপরে কি হলো জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে যে আপু! নাটকটি সময় সুযোগ করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে আপনার।
খাইরুল বাশার এবং তটিনী র জুটি নাটকের জগতে বেশ জনপ্রিয় জুটি। তাদের দুজনের অভিনয় ই আমার বেশ ভালো লাগে। তবে তথাকথিত প্রেম কাহিনীর চেয়ে এমন বাস্তবধর্মী কাহিনী গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। নাটকটি যেহেতু আমার দেখা হয় নি, আপনার এমন সুন্দর রিভিউ এবং শেষের সাসপেন্স রাখার কারণে দেখতে ইচ্ছে করছে। যেহেতু পুলিশ মেয়ের কথা বিশ্বাস করে নাই, তাই এমন সহজ মনের ছেলেটার শেষ পর্যন্ত কি যে হলো সেটাই ভাবছি।
জি আপু শেষের দিকে সাসপেন্স রেখে দিলাম। নাটকটি দেখলে আশা করছি আপনি উপভোগ করতে পারবেন আপু।