আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম
আমরা সকলেই জানি,বেশ অনেকদিন ধরে কোন বৃষ্টির দেখা নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানের খাল বিল পুকুর নদী নালা শুকিয়ে মাটি ফেটে গেছে। তবুও কোন বৃষ্টির দেখা নেই। কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের জেনেছিলাম দুই তারিখের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। আজকে মে মাসের ১ তারিখ। আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দুই তারিখে বৃষ্টি হওয়া তো দূরেই থাক যেন আরো প্রচন্ড গরম পড়বে। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলে আসায় আমাদের এলাকায় মানুষজন মাছ চাষে বেশ সংকটে পড়ে গেছে। আমাদের এলাকায় মাঠকে মাঠ শুধু পুকুর আর পুকুর। কিন্তু প্রচন্ড এ রোদের কারণে পুকুরের মাছ মরা বন্ধ হচ্ছে না। আর দ্রুত পুকুরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক বছরে দেখেছি মোটর অথবা স্যালো চালিত ইঞ্জিনের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে পানি উত্তোলন করে পুকুরে পানির ব্যবস্থা করত। কিন্তু এখন আমাদের অধিকাংশ এলাকায় পাইপে পানি তেমন পাচ্ছে না।
দিনের বেলায় প্রচন্ড রোদের কারণে লোডশেডিং এর সমস্যা বেড়ে চলেছে। এজন্য বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে মাছ চাষীরা। এদিকে গ্রামের মানুষেরা বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল থেকে পাওয়ার প্রত্যাশা রাখলেও যেন হতাশা হয়ে পড়ছে টিউবওয়েলে পানি না ওঠায়। আমাদের এলাকার বেশকিছু গ্রামে পানি উঠছে না। এজন্য সকলেই হয়ে পড়েছে চিন্তিত। যাদের টিউবয়েলে পানি উঠছে না তারা তো মহা বিপদে রয়েছে। যাদের উঠছে তারাও চিন্তিত, না জানে তাদেরগুলোতেও বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে অনেক পুকুর রয়েছে পুকুরের পানির শুকিয়ে মাটি ফেটে গেছে।
গতবছরের লক্ষ্য করেছি এই সময় এই সমস্ত পুকুরগুলোতে পানি ছিল মাছ ছিল। আর এখন মাটি ফেটে এমন অবস্থা হয়ে গেছে মাছের দেখা তো দূরে থাক। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন আমাদেরকে সত্যিই অবাক করে দিয়েছে। যখন লোডশেডিং হচ্ছে সেই মুহূর্তে ঘরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন। তাই গাছ তলায় কিছুটা শীতল বাতাস পাওয়ার আশায় অবস্থান করতে হচ্ছে আমাদের। অনেকেই বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে বিভিন্ন ফ্যানের ব্যবস্থা করে রাখে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ। আর এ জন্য চার্জার ফ্যানগুলোতেও সময়মতো চার্জ দেওয়া হয়ে উঠছে না। কেমন এক মহা দুর্যোগের মধ্যে যেন আমাদের দেশবাসী।
এই মুহূর্তে আমাদের বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। তবে যদি পানির সংকট হয়ে যায় তাহলে কোথা থেকে পাওয়া যাবে বিশুদ্ধ পানি। আবার অনেক মাধ্যমে জানতে পেরেছি অতিমাত্রায় গাছ ধ্বংসের কারণে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কারণে এমন অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে বেশি বেশি গাছ লাগানোর জন্য। আমরা যত বেশি গাছ লাগাব তত আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। তাই সর্বোপরি আমাদের সকলকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে এই সমস্ত বিষয়ে। যে সমস্ত বিষয়গুলো আমরা মেনে চললে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। এবং সংকটময় মুহূর্তের সম্মুখীন আর হতে হবে না। আশা করি আমরা সবাই সচেতন হব এবং পরিবেশ রক্ষার্থে এগিয়ে আসবো।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বাড়েই চলেছে তাপমাত্রা ফেটেই চলেছে মাটি। কি আর বলবো আপু এই গরমে আর কেউ নেই ভালো। এদিকে দিন দিন মনে হচ্ছে তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে আমাদের এইখানকার তাপমাত্রা হচ্ছে ৪৪° সব মিলিয়ে এই গরমের কারণে মাটিগুলো ফেটে হাহাকার। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন আজকের তাপমাত্রা আরো বেশি ছিল।
চারদিকে হাহাকার, কোথাও কোন পানির দেখা নেই। আসলে এভাবে চলতে থাকলে আমরা অনেকে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবো। বর্তমান এই প্রখড় খরাময়ী সময়ের মধ্যে মটর দিয়ে পানি তুলতে ও অনেক বেশি কষ্ট হয়ে পড়ছে। আপনি সমসাময়িক বিষয় গুলো আজকের পোস্টের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
অলরেডি সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা অনেকে।
এ বছরের এই তাপদাহ যেন আমাদের এলাকায় একটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এর প্রভাবে পানি শূন্যতায় পড়ে যাচ্ছে আমাদের পুরো ইউনিয়ন। আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি ইউনিয়নের বেশিরভাগ টিউবওয়েল এ এখন পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই সাথে লোডশেডিং এর সমস্যা তো রয়েই গেছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি।
ইস! কি অবস্থা মাটি একদম পেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এত গরম পড়লে সত্যিই পুরো জায়গা মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাবে। কারণ অতিরিক্ত গরমের কারণে পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে। গাছপালা মরে যাবে পুরো দেশ মরুভূমি হয়ে মানুষ আর মানুষে থাকবে না। এভাবে দিন দিন যদি তাপমাত্রা বেড়েই থাকে তাহলে দেশের অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা রইলো খুব দ্রুত যেন বৃষ্টি দিয়ে গরম একটু কমিয়ে দেয়। অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনার সুন্দর টপিক্স পড়ে।
হ্যাঁ আপু আমাদের এখানে এই অবস্থা, পুকুরগুলোতেও
এই তাপমাত্রা যেন আর কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। একেতো জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অপরদিকে ফসলের ক্ষতি। হয়তো আল্লাহ তায়ালা তার মধ্যে কিছু ভালো রেখেছেন আমাদের জন্য। সবশেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই চাওয়া যেন খুব দ্রুত তিনি আমাদের মুখ পানে চান।🤲🤲
এরকম পরিস্থিতি আমি নিজেও দেখেছিলাম। তবে সেটি ছিল অনেক আগের একটি ঘটনা৷ এখন আমাদের এখানে এতটাও গরম পরে না৷ তবে আপনাদের এখানে যেভাবে তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সবকিছু এভাবে ফেটে যাচ্ছে এর ফলে আপনাদের সকলের অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছে এবং এভাবে হয়তো কোন একদিন আমাদের এই দেশও মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাবে৷