ছোটদের খুশিতেই বড়দের স্বস্তি। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২২শে বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
প্রতিনিয়তই ছোটরা কিন্তু বড়দের কাছে আবদার করতেই থাকে। আর যারা বড় থাকে তারা চেষ্টা করে ছোটদের প্রতিটা আবদার যেন শত কষ্টের বিনিময় হলেও সে পূরণ করবে। একসময় আমিও নানান আবদার করতাম আর যখন সে আবদার গুলো পূরণ হতো তখন যে কি খুশি লাগতো সেটা বুঝতে পারি। স্বাভাবিকভাবেই আমার কাছে যদি কেউ কোন আবদার করে তাহলে সেটা রাখার চেষ্টা করি বিশেষ করে যদি আমার ছোট দুইটা ভাই আছে তারা যদি আবদার করে তাহলে তো তাদের আবদার রাখতেই হবে। গত কয়েকদিন ধরে রিফাত আমার কাছে কিছু আবদার করেছে কিন্তু এই প্রচন্ড গরমের কারণে দুপুরবেলা বা বিকেল বেলায় মার্কেটে যাওয়া খুবই কষ্টকর তাই বলছিলাম যেদিন সময় হয় সেদিন গিয়ে তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে দিবো। কালকে অনেক কাজ ছিল যদিও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ভোর বেলায় গিয়ে সেই কাজগুলো কমপ্লিট করে সোজা ফুপির বাসায় গিয়ে দুপুরবেলা গোসল খাওয়া-দাওয়া কমপ্লিট করে একটা লম্বা ঘুম দিয়েছিলাম। তিনটার দিকে রিফাত আমার কাছে ফোন দেওয়ার পরে আমি তাকে বললাম শেষ বিকেলের দিকে বের হব তখন তাপমাত্রার অনেকটাই কম থাকে তাহলে আমাদের কেনাকাটা করতেও সুবিধা হবে। সেই ঘুম থেকে উঠে বের হতে প্রায় বিকেল পাঁচটা তখন চারদিকের আবহাওয়াটা অনেকটাই ঠান্ডা হতে শুরু করেছে। রিফাত যে লোকেশন দিলো আমি ঠিক সেখানেই পৌঁছে গেলাম।
আমাদের কুষ্টিয়াতে পাঁচ রাস্তার মোড়ে ইজি শোরুম আছে। আমি তেমন একটা ইজি থেকে কেনাকাটা করিনা তবে রিফাত সব সময় ইজি থেকে শার্ট কিনে। ইজির শার্ট আমার খুব একটা ভালো লাগে না কারণ কিছুদিন পরেই কালার নষ্ট হয়ে যায়। এত টাকা দিয়ে শার্ট কিনব যদি কিছুদিন পরে কালার টাই নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তো আর সেটা নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারলাম না। যাই হোক তার যেহেতু ইজি থেকে কেনার শখ তাই সরাসরি ইজিতে গিয়ে বেশ কয়েকটি শার্ট দেখলাম। ঈদের মধ্যে নাকি প্রিন্টের একটা শার্ট দেখেছিল সেটা তার অনেক পছন্দ হয়েছিল কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম সেটা পেলাম না। তখন চেক সার্ট গুলো দেখছিলাম যার মধ্যে দুইটা কালার মোটামুটি ভালোই লেগেছিল সেই দুইটা কালারের ছবি অবশ্য উপরে দিয়েছি। দুটো শার্ট ট্রায়েল দেওয়ার পরে রিফাতের সবুজটাই নাকি বেশি পছন্দ হয়েছিল তাই সবুজ টাই আমরা নিলাম। শার্টের দাম ছিল ১৪৯০ টাকা, সেটা এটিএম কার্ড থেকে পেমেন্ট করে আবার বাইক নিয়ে এক্সপোর্ট এর প্যান্ট করার জন্য পরবর্তী দোকানের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। শার্ট কেনার পরে তার হাসিমুখ দেখেই ভালো লাগছিল প্রতিটা বড় ভাই চায় তার ছোট ভাই যেন সব সময় হাসিমুখে থাকে।
আমরা সাধারণত যেখান থেকে প্যান্ট কেনাকাটা করি সেটা হচ্ছে একটা এক্সপোর্ট এর দোকান। পৌরসভার ঠিক বিপরীত পাশে এই দোকানটিতে বিভিন্ন রকমের এক্সপোর্টের পোশাক পাওয়া যায়। আমিও বেশি দামের প্যান্ট ইউজ করিনা ঠিক তেমনি রিফাত ও খুব বেশি দামের প্যান্ট ইউজ করেনা আমরা সাধারণত এক্সপোর্ট এর প্যান্ট গুলাই বেশি ব্যবহার করি। তবে এক্সপোর্ট এর প্যান্ট কেনার মধ্যে একটা ঝামেলা আছে সব সময় গিয়ে মনের মত হয় না আবার যেটা পছন্দ হয়েছে সেটা আপনার সাইজ মত নাও হতে পারে। এজন্যই মূলত আমি মাঝেমধ্যে এই দোকানে গিয়ে দু-একটা প্যান্ট দেখি যদি পছন্দ মত হয় আর সাইজে মিলে যায় সে ক্ষেত্রে সেটা নিয়ে নিই। রিফাত বলল তার নাকি গেবাডিনের এক্সপোর্ট প্যান্ট লাগবে। বেশ কয়েকটা প্যান্ট দেখল তবে কালারটা পছন্দ হলো না যার কারণে দোকানদার মামা বলল সামনের সপ্তাহে আবার অনেক নতুন প্রোডাক্ট আসবে। সামনের সপ্তাহে আসলে আপনি নিজের মতো করে নিতে পারবেন। পরবর্তীতে এক্সপোর্টের টিশার্ট গুলো দেখার পরে সুন্দর কালো একটা টি-শার্ট তার পছন্দ হলো। সেটা কেনা হলো আর প্যান্ট কেনার জন্য কিছু টাকা তাকে দিয়ে এসেছিলাম যেন পরবর্তী সপ্তাহে নতুন কালেকশন গুলো আসলে সেখান থেকে একটা পছন্দ করে নিতে পারে। সেখানকার কাজ শেষ করে আমরা আবার মজমপুর গেটে চলে আসলাম।
রিফাত ঠিক পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের সামনেই থাকে তাই মজমপুর থেকে তার বাসায় যেতে খুব একটা সময় লাগে না হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ দুই মিনিট সময় লাগে। আর সারা কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে কুষ্টিয়া স্টোরে সবচেয়ে ভালো অকটেন পাওয়া যায়। তাই বাইকের কিছু তেল নেওয়ার জন্য সোজা কুষ্টিয়া স্টোরে চলে আসলাম আর সেখানে এসে আমরা দুজন কিছু সময় গল্প করছিলাম কারণ বাইকের তেল নেওয়ার জন্য সেখানে অনেক সময় সিরিয়াল দিতে হয়। কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে যখন সিরিয়াল আসল তখন বাইকে এক হাজার টাকার অকটেন নিলাম। তেল নেওয়া শেষ করে সামনে এসে দাঁড়িয়ে রিফাতের সাথে কিছু সময় কথা বললাম কারণ এখান থেকে সে তার বাসায় চলে যাবে আর আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসব। চলে আসার আগে সেখানকার ছবি তুলেছিলাম, ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন আসলে বাইকের তেল নেওয়ার জন্য সেখানে কি রকম সিরিয়াল দিতে হয়। সবশেষে দিনটা স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা দুই ভাই একই ফ্রেমে বন্দী হয়ে একটা সেলফি নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে সে বাসায় ফিরে গেল আমি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | এপ্রিল,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বড় ভাই মানে হলো ছোট ভাইদের জন্য বাবার পরে আবদার করার বিশ্বস্ত জায়গা। তবে ছোট ভাই বা বোনের আবদার গুলো পূরণ করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ভাইয়ের কেনাকাটা করে দেওয়ার পর দেখছি সে ভীষণ খুশি হয়েছে। আসলে এরকম হাসিখুশি রাখতে পারলেই পরিবারকে নিজের কাছেও অনেকটা ভালো লাগে। ছোট ভাইকে কেনাকাটা করে দেওয়া নিয়ে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের সাথে তা পড়ে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো ভাইয়া।
এইজন্যই তো ছোট ভাইয়ের ছোটখাটো সব আবদার গুলো আমার মাধ্যমে পূরণ হয়।
https://x.com/KaziRai39057271/status/1786987084017975436
কেনাকাটা সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। আর কুষ্টিয়ার এ সমস্ত মার্কেটগুলো মোটামুটি আমার চেনা। যাই হোক ইজি শোরুম থেকে কেনাকাটা করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। তবে কাউকে খুশি করার মধ্যে আনন্দ রয়েছে যদি হয় তারা ছোট। যাইহোক বিস্তারিত এ বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি অনেক ভালো লেগেছে।
পাশের জেলার লোক মার্কেট গুলো চেনা থাকবে এটা তো স্বাভাবিক।
ছোটদের ইচ্ছা পূরণের মাঝেও আলাদা একটি শান্তি পাওয়া যায়। ছোট ভাই থাকলে তাদের ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে তো অবশ্যই হবে। শার্টের মূল্য এটিএম কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করে বেশ ভালোই করেছিলে। আসলেই বন্ধু কুষ্টিয়া স্টোরে সব থেকে ভালো মানের অকটেন পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
নিজেকে কেনাকাটা করার চেয়ে ছোটদের কিছু কিনে দিতে পারলে সেটা মনের জন্য বেশি শান্তদায়ক বলে মনে হয়।
ভাই আপনার পোস্ট দেখে সত্যিই একদম খুবই ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটদের খুশিতে বড়দের যেন এক অন্যরকম স্বস্তি। আসলে ভাইয়া দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছি তাই সেই ছোটবেলার কথাগুলো আজ খুব মনে পড়ে। আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য খুবই সুন্দর একটি শার্ট ক্রয় করেছেন আর এতে আপনার ছোট ভাইয়া অনেক খুশি হয়েছে । ভাইয়া আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল আমি আমার ছোট বোনের জন্য যখন কেনাকাটা করি তখন তার হাসি মুখটা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর ছোটদের একটাই চাওয়া পাওয়া বড় ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু নেওয়া আর সেটা দিতে পেরে বড় ভাইদের খুবই ভালো লাগে।। যেমনটি আপনার ভিতরে সে অনুভবটি লক্ষ্য করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোটদের ছোট ছোট আবদার গুলো পূরণ করতে পারলে সত্যি নিজের কাছেই অনেক ভালো লাগে। যেহেতু আপনি গরমের জন্য বের হচ্ছিলেন না বিকেল বেলায় বেশ সুন্দর আবহাওয়া থাকে। বিকেল বেলায় কেনাকাটা করতে মার্কেটে গেলে খুব বেশি ভালো লাগে। ইজি শোরুমে চলে গেলেন বেশ ভালো লাগলো। তবে আমিও শোরুম থেকে কেনাকাটা করি মার্কেটে গিয়ে গরমের মধ্যে এত ঘোরাঘুরি করতে ইচ্ছে করে না। যদি এত টাকা দিয়ে জিনিসের কালার চলে যায় বেশ খারাপ লাগে। অবশেষে নিজের পছন্দের জিনিস রিফাতকে তার পছন্দের শোরুম থেকে নিয়ে দিলেন। বেশ ভালো লেগেছে কেনা কাটার মুহূর্ত পড়ে।
আসলেই গরমের মধ্যে ঘুরাঘুরি করার চেয়ে পছন্দের শোরুমে গিয়ে কেনাকাটা করাই ভালো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝে মাঝে ছোটদের খুশিতে বড়রা অনেক বেশি স্বস্তি পায় এটা যখন মানুষ নির্দিষ্ট একটা সময়ে পরে বড় হয়ে যায় তখন এই স্বস্তি টা খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারে। আপনিও দেখছি অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছেন এখন আর নিজেকে নিয়ে খুব একটা ভাবাভাবিক করার সময় নেই সব সময়ই ছোটদের কিভাবে খুশি করা যায় সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কেনাকাটা করেছেন জেনে খুশি হলাম। আপনাদের দুজনের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই বয়সের সাথে মানুষের শখগুলো যেন হারিয়ে যায়। ছোটদের আবদার পূরণ করতেই তার মনের প্রশান্তি ফিরে আসে।
ইজির টি শার্ট গুলো খুব আরাম দায়ক আমার কাছে ভাল লাগে।ঠিকি বলেছেন এতো টাকা দিয়ে শার্ট কিনে যদি কালার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কেমন হয়।রিফাতের সাথে আপনি দারুন একটি সময় উপভোগ করেছেন শুভ কামনা রইলো।
সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত আজকে শেয়ার করেছেন ভাইয়া, কেনাকাটা করার মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল আপনি একটা কথা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলে ছোটদের খুশিতে বড়দের স্বস্তি ,ভাই বোন যদি কোন জিনিস পেয়ে খুশি হয় । হোক সেটা বড় পা ছোট যে কোন জিনিস পেয়ে তারা যদি খুশি হয়ে থাকে তবে তাদের খুঁজি দেখে নিজের ভিতরে যে একটা খুশি বা স্বস্তি লাগে, হয়তো যেটা নিজের খুশির থেকেও তাদের খুশির মুখটা দেখতে অনেক ভালো লাগে। আমি যখন কুষ্টিয়ায় থাকতাম তখন বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেট থেকে আমার ছোট ভাইয়ের জন্য সবসময় কেনাকাটা করে নিয়ে আসতাম। আপনার এই কেনাকাটা করা দেখে আমার অতীতের স্মৃতি মনে হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।