স্বস্তির শ্বাস
নমস্কার বন্ধুরা,
তীব্র দাবদাহের পরে রাজ্যবাসীর কাছে নিম্নচাপ ঈশ্বরের বরদানের মত নেমে এলো। বরুণ দেবের দৌলতে বিগত দু-তিন দিন আবহাওয়া বেশ মনোরম তৈরি হয়েছে। এ বছর মার্চ মাসের শেষ হতেই আবহাওয়ার তীব্রতা রোজ রোজ বাড়ছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছিল যে কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ৪৫ ডিগ্রির উপরে চলে যাচ্ছিলো। আসলে মূলত বিগত তিন চার বছর ধরেই ভারতবর্ষের কয়েকটি রাজ্যে বিশেষ রূপে আবহাওয়ার পরিবর্তন এসেছে। যেটার সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ মার্চ মাসের ঠিক মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়ে চলে বর্ষার আগ পর্যন্ত। এই মাস তিনেক সময় তীব্র তাপ এবং আদ্রতার মাত্রা অত্যন্তই বেশি হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন একপ্রকার নরক হয়ে যায়। দিনের বেলায় চড়া রোদে তীব্র গরম। রাতে সূর্যের অনুপস্থিতি হলেও গরমের তীব্রতা একই রকম।
এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বরুণ দেবের আশীর্বাদ স্বরূপ নেমে এলো। আদপে বিগত কয়েক বছর থেকেই আবহাওয়া অদ্ভুত আচরণ করছে। শীতকালে বিশেষ শীত নেই। বর্ষাতে বিশেষ বৃষ্টির দেখা নেই। অথচ গ্রীষ্মে তীব্র দাবদাহ। যদিও জানুয়ারি মাসে জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল তবে সেটা কদিনের জন্য স্থায়ী। মার্চের শুরুতে শীতের রেশ কাটতে আবহাওয়া গরম হতে শুরু করলো। আগে যেমন হালকা গরম পড়তে শুরু হলে কালবৈশাখী শিলাবৃষ্টি রূপে নেমে আবহাওয়া ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যেতো এবারও সেটার দেখা ছিলো না।
অন্তত গত রবিবার পর্যন্ত পরিস্থিতি তেমনই ছিলো। সোমবার সকাল থেকেই হঠাৎ আবহাওয়ার বেশ পরিবর্তন দেখা গেলো। সকাল থেকে তাপের তীব্রতা কিছুটা কম ছিলো। সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত এগোতেই শুরু হলো অঝোরে বৃষ্টি সেই সাথে জোরে জোরে হাওয়া। দুই মিলিয়ে চারপাশ ঠান্ডা করে মাস দুয়েক দাবদাহের অবসান ঘটিয়ে দিলো। অবশেষে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া গেলো।
সোমবার রাতের পর রাজ্যবাসী সহ দেশের বহু প্রান্তে স্বস্তির রেশ কিছুটা হলেও ফিরে এলো। মাটি ঠান্ডা হলো। আবহাওয়া দপ্তর দেখাচ্ছে আগামী কদিনে দেশ তীব্র দাবদাহ থেকে রেহাই পাবে। যেটা বর্তমান সময়ে খুব জরুরি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
অবশেষে আপনাদের কলকাতার মধ্যে ও স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে গেল। দীর্ঘ দিন গরমের তীব্রতার পর এরকম শীতল আবহাওয়া উপভোগ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।তবে, প্রতিবছরের তুলনায় এবছর গরমের চাপ একটু বেশী। এখন একটু ঠান্ডা রয়েছে। এরকম ঠান্ডা আবহাওয়া সব সময় থাকলে অনেক ভালো হতো আমাদের জন্য। বর্তমান সময়ের আবহাওয়া একদম সমভাবাপন্ন।
সত্যি দাদা ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার কথা শুনে আমার নিজেরই শরীর খারাপ লাগতেছে। আসলে আমাদের এদিকে এত বেশি না উঠলেও কিন্তু আমরা বেশ অশান্তিতে ছিলাম। তাহলে আপনারা কি রকম অশান্তিতে ছিলেন এটা অন্তত বুঝতে পারছি। গরমের ওই কয়েকটা দিন যেন খুবই অস্থিরতায় কেটেছে। তবে শিলা বৃষ্টি হওয়ার কারণে এখন কিছুটা পরিবেশ ঠিক আছে জেনে ভালো লাগলো। তাছাড়া গরমের পরিস্থিতিতে কোন কাজ করতেও কিন্তু ভালো লাগেনা। যাইহোক এখন অন্তত কিছুটা ঠিক আছে জেনে খুবই ভালো লাগলো।
ভাই ৪৫ ডিগ্রির কথা শুনে আমি নিজেই তো ভয় পেয়ে গেলাম। আপনাদের সহ্য ক্ষমতা দেখছি অনেক। অনেক কষ্ট করে টিকে ছিলেন। আমাদের এদিকে এতটা না উঠলেও আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আসলেই বেশ কয়েকদিন অস্বস্তিকর অবস্থায় পরিণত হয়েছে। তবে বর্তমানে শিলা বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পরিস্থিতি ঠিক হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। এই প্রশান্তি সত্যি আমাদের প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পেলেন জেনে ভালো লাগলো।
দাদা কলকাতার মতো আমাদের এখানেও প্রচন্ড গরম পরেছিল। তবে ৩/৪ দিন বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। এখন ওয়েদার মোটামুটি শীতল রয়েছে। তীব্র গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। আরও কয়েকদিন বৃষ্টি হলে আরও ভালো হতো। যাইহোক ঠান্ডা ওয়েদারে ভালো করে ঘুমান এবং মজার মজার খাবার খান দাদা😂। কারণ কিছুদিনের মধ্যে আবারও তীব্র গরম শুরু হয়ে যাবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।