তীব্র গরমে অফিসে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। যে গরম পরেছে পুরোপুরি সুস্থ থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তবুও চেষ্টা করছি নিজে এবং পরিবার কে ভালো রাখার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। বাস্তব একটি ঘটনা আজকে আমি তুলে ধরবো। তীব্র গরমে অফিসে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকেল বেলায়। আমার অফিস ছুটি হয় বিকেল পাঁচটায়। এর পরে অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশেই দেখছি অনেক লোকজন এর ভিড় রয়েছে। সেখানে গিয়ে আসলে পুরোপুরি বিষয়টি জানতে পারলাম। আমাদের অফিসের রাস্তার অপর পাশে একটা ছোট টিন সেটের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। যে গরম পরেছে আমরা আমাদের বিল্ডিং ফ্যাক্টরিতে থেকেও গরম সহ্য করতে পারছিনা না। দিনে দুইবার অফিসের ছাদে পানি দেওয়া হচ্ছে।
তাহলে বুঝতে পারছেন ছোট টিন সেটের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কি অবস্থা। অফিসটিতে বেশ ভালো পরিমাণ ডিউটি করানো হয়। যদিও গরম দেখে একটু ডিউটি কমিয়ে দিয়েছেন। এই অফিসের একজন মহিলা অসুস্থ ছিলেন। তিনি অফিস কর্মকর্তার কাছে ছুটি চেয়েছেন তার পরেও কাজের চাপের জন্য তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। এর পরে কিছুক্ষণ মহিলাটি মেশিনের কাজ করেন। এর পরে কাজ করা অবস্থায় খিঁচুনি উঠে এবং কিছুক্ষণ এর মধ্যে মহিলাটিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ডাক্তার সব কিছু দেখে বলেন মহিলাটি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর পরে মহিলাটির পরিবার খবর শুনতে পেয়ে অফিসে পুলিশ নিয়ে আসেন। এর পরে তো খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর পরে পুলিশ সব কিছু কে সামলানোর চেষ্টা করেন। এর পরে পুলিশ অফিসার মালিকের সাথে কথা বলেন। এর পরে অফিসের মালিক বলেন মহিলাটির পরিবার কে সহযোগিতা করবে। এর পরে ও মহিলাটির পরিবার কিছুতেই মানে না। তারা মহিলাটির মৃত্যুর দাবি জানায়। তবে কি আর করার এখন ফ্যাক্টেরির মালিক টাকা দিয়ে সব কিছু ঠান্ডা করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি শোনার পর আমার কাছে এতো বেশি খারাপ লেগেছে যে বলে বোঝাতে পারবো না।
আসলে শ্রমিকদের জীবনের কোন মূল্য নেই। ছুটি চাওয়ার পরেও ছুটি পেলো না। কাজ করতে করতেই জীবন দিয়ে দিলো মহিলাটি। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কি হতে পারে আমার জানা নেই। আশাকরি ঘটনাটি জেনে আপনাদের সবার কাছে ও ভীষণ খারাপ লেগেছে। সবাই মহিলাটির জন্য এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। মন থেকে দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা মহিলাটিকে জান্নাত নসিব করুন আমিন। আমি আমার মতো করে লেখার চেষ্টা করেছি। বর্তমান আবহাওয়া খুব খারাপ অবস্থা। সবাই সবার পরিবার নিয়ে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ হাফেজ 💞
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | তীব্র গরমে অফিসে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার আড়াই বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
ঘটনাটি পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো। এখনকার সময়ে মানুষের সংখ্যা কম আর পশুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কারখানা মালিক যদি ছুটি দিতো তাহলে হয়তো এই মৃত্যু ঠেকানো যেত।
ঐ মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
টাকার কাছে কিছু করার নেই। মালিক টাকা দিয়ে সব কিছু ঠিক করেছেন। দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1786934548653396473?t=saH3RKK02fHsQMeqQ_kXaQ&s=19
আপনার পোস্ট পড়ে মহিলাটির জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে এমন মালিকের শাস্তি হওয়া অবশ্যই জরুরি ।তবে এসব মালিকেরা টাকার জোরে সব কিছু সমাধান করে। একজন মানুষ অসুস্থ থাকায় ছুটে যাওয়ার পরেও ছুটি পেল না। এটা মালিক মোটেও ভালো করেনি। যাইহোক ভাইয়া অবশেষে তার মৃত্যু এভাবেই ছিল সেটাই হয়েছে দোয়া করি আল্লাহ তাল্লা তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক।
দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
তীব্র গরমে অনেকেই হিট স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে। গতকাল আমার এক আত্মীয় মারা গিয়েছেন ভাইয়া। বেশ দুঃখজনক ছিল ব্যাপারটা। তবে গতকাল রাত থেকে বেশ ভালই বৃষ্টি হয়েছে এখন আবহাওয়া মোটামুটি ভালো। আশা করা যায় আগের মত তীব্র গরম আর হবে না। বেশ খারাপ লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
দোয়া করবেন আপু আপনি কেমন আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মহিলার জন্য মন থেকে দুয়া রইল, আল্লাহতালা যেন জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব দান করেন। একটি বিষয় জেনে খুব খারাপ লাগলো, ছুটি চেয়েছেন কিন্তু ছুটি পেলেন না। একজন শ্রমিকের জীবনের মূল্য টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করা উচিত নয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মর্মান্তিক একটি ঘটনা শেয়ার করার জন্য।
দোয়া করবেন আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
এরকম ফ্যাক্টরির মালিক গুলো টাকা দিয়ে সবকিছুই মীমাংসা করার চেষ্টা করে। তার জন্য কারো জীবনের মূল্য তাদের কাছে নেই। তারা ভাবে যে কেউ মারা গেলে পরিবারকে কিছু টাকা দিয়ে শান্ত করে ফেলবে। কিন্তু একটি পরিবার যে কি হারায় শুধু তারাই উপলব্ধি করতে পারে। টাকা দিয়ে কি সবকিছু হয়। ঘটনাটি শুনে আসলেই খুব খারাপ লাগলো।
জি আপু তার পরিবার বুঝতে পারবেন। আপনার মতামত এর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় হারিয়ে গেলে সময় ফিরে আসে না। জীবন একবার চলে গেলে জীবন ফিরে আসে না। কিন্তু কিছু কাজ থাকে যেগুলো আজকে না করলেও পরের দিন করলেও সমস্যা হয় না। ওই মহিলাটাকে যদি ছুটি দেয়া হতো তাহলে সে একটু সুস্থতা বোধ করতে পারতো। পরের দিন কাজ করলেও হয়তোবা খুব বেশি সমস্যা হত না। মৃত্যু আল্লাহর ইচ্ছা, কিন্তু এমনটা হতে পারতো উনি ছুটি দিলে তার বিপরীত ধরলেও ঘটতে পারতো। তবে বর্তমানে যে গরম পড়ছে প্রত্যেকটা মানুষের উচিত একটু সাবধানতা অবলম্বন করা। আর বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
জি ভাই সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের হিট স্ট্রোক হচ্ছে অনেক। তবে এই সমস্ত বিষয়গুলো দেখার পর আমাদের যথেষ্ট সজাগও সচেতন হতে হবে যেন আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা পরিবারের মানুষেরা নিরাপদে থাকতে পারে এই মুহূর্তে। আর এই মুহূর্তে সকলের মানবিক দৃষ্টি আরও বাড়াতে হবে সবার প্রতি মায়া মনোভাব আনতে হবে যেন সুস্থ অবস্থায় তারা তাদের কাজে অংশ নিতে পারে এবং বাড়িতে ফিরতে পারে।
দোয়া করবেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এ ধরনের মৃত্যুবরণ গুলো একদমই মেনে নেওয়া যায় না। মহিলাটি অনেক কষ্ট করে মারা গিয়েছে। আসলে গরমের জন্য এখন পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছে। এ বছর অনেক বেশি গরম পড়তেছে। আসলে শুধু আপনার অফিস নয় বাড়িতেও অনেকে ছাদের উপর অনেকবার পানি দিয়ে থাকে। যেন ঘরের ছাদ ঠান্ডা থাকে। এমনিতে আজ দুই দিন পরিবেশ মোটামুটি ঠান্ডা রয়েছে। বাতাসও আছে অনেক বেশি। এর আগে চারিদিকেই অবস্থা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছিল গরমে। নিরাপদে থাকবেন ভাই সব সময়।
দোয়া করবেন ভাই আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।