আমার বাংলা ব্লগ:)- প্রতিযোগিতা-৫৭|| আমার অংশগ্রহণ:)- "রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি"
আমার অংশগ্রহণ:)- "রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি" |
---|
শুভ সকাল 🌅
হ্যালো #amarbanglablog পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আসলে আমি আজকে আমার বাংলা ব্লগ:)- প্রতিযোগিতা-৫৭ অংশগ্রহণ করতে চলেছি। চমৎকার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আমার বাংলা ব্লগ মানেই হচ্ছে নতুন কিছু আয়োজন। প্রতিযোগিতার বিষয় হল:-শেয়ার করো তোমার ঘুড়ি বানানোর দক্ষতা। চমৎকার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ফাউন্ডার থেকে শুরু করে সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ঘুড়ি বানানোর দক্ষতা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ঘুড়ি নামটি মনে পড়লে যেনো ছোট বেলার মধুর স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যায়। গরমের দিনে বিকেল বেলায় নদীর পাড়ে বন্ধুদের সাথে কত ঘুড়ি উড়িয়েছি তার কোন হিসেব নেই। আগের মতো ঘুড়ি উড়াতে দেখা যায় না খুব কমেই দেখা যায়। আমি ছোট বেলায় পলিথিন এবং বাঁশের কাঠি দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করতাম। আজকে আমি রঙিন কাগজ এবং বাঁশের কাঠি দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করে দেখাবো। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আমি কিভাবে ঘুড়ি তৈরি করবো দেখে নেওয়া যাক।
- রঙিন কাগজ।
- পেন্সিল।
- কাঁচি।
- আঠা।
- স্কেল।
- সাইন পেন।
- বাঁশের কাঠি।
- প্রথমেই আমি একটি রঙিন কাগজ নিলাম। এর পরে মাঝখানে ভাঁজ করে নিলাম। এবার আমি কাগজের উপরের দিকে থেকে ধরে নিচের দিকে ভাঁজ করে নিলাম। এর পরে অপর পাশে ও ভাঁজ করে নিলাম। এবার আমি ভাঁজ টিকে খুলে নিলাম।
- এখন আমি কাঁচির সাহায্যে বাকি অংশ গুলোকে কেটে নিলাম। উপরের দিকে সামান্য পরিমাণ পাশে একটু রঙিন কাগজ রেখে দিলাম। এবার আমি বাঁশের কাঠির মধ্যে আঠা লাগিয়ে দিলাম। তার পরে রঙিন কাগজের মাঝখানে লাগিয়ে দিলাম। এর পরে আমি আঁকাবাঁকা করে আর একটি বাঁশের কাঠি লাগিয়ে দিলাম। এবারে আমি বাড়তি বাঁশের কাঠি কাঁচি দিয়ে কেটে নিলাম। এর পরে ভালো করে আঠা লাগিয়ে দিলাম।
- এবার আমি গোলাপি রঙের রঙিন কাগজ নিলাম। তার পরে চিকন করে কেটে নিলাম। এর পরে ঘুড়ির দুপাশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলাম। এবার আমি সাদা কাগজ নিলাম তার পর কাঁচি দিয়ে কেটে নিলাম। এর পরে সাইন পেন দিয়ে দাগ দিয়ে চোখ বানিয়ে নিলাম। এর পরে ঘুড়ির মাঝখানে বরাবর দু'পাশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলাম।
- এবার আমি হলুদ এবং লাল কাগজ কাঁচি দিয়ে কেটে নাক এবং মুখ বানিয়ে নিলাম। তার পরে আঠা দিয়ে ভালো করে লাগিয়ে দিলাম। এবার আমি উপরের দিকে এবং নিচের দিকে রঙিন কাগজ কাঁচি দিয়ে কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলাম। এবার আমি ঘুড়ির লেজ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রঙিন কাগজ কেটে নিলাম। তার পরে সাজিয়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলাম।
- এবার আমি ঘুড়িটিকে ঘুরিয়ে নিলাম। তার পরে রঙিন কাগজ ছোট গোল করে কেটে নিলাম। এর পরে লেজের রঙিন কাগজ এর মাঝখানে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলাম। এবার আমার রঙিন কাগজের ঘুড়ি তৈরির কাজ শেষ। এবার আমি আমার পছন্দ মতো বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
রঙিন কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের জিনিস তৈরি করতে এবং দেখতে ভীষণ পছন্দ করি। এধরনের কাজ গুলোর মধ্যে দিয়ে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। গতকাল শুক্রবার অফিস ছুটি থাকার কারনে হাতে কিছু সময় পাই। এই ফাঁকে আমি রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করেছিলাম। এধরনের কাজ গুলো করার সময় ভীষণ আনন্দ উপভোগ করি। ঘুড়ি তৈরি করার পর যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার পাশে আমার ছোট মেয়ে লিয়া মনি ছিলো। সে তো ঘুড়ি দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিলো। সত্যি বলতে আমার মেয়ের খুশি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমার তৈরি করা ঘুড়িটিকে রশি লাগিয়ে আকাশে উড়ানো যাবে। আসলে আমি কাজটি করেছি রাতে তাই তেমন একটা সময় পাইনি। আর সকালে আবার অফিস সব মিলিয়ে বেশ ঝামেলা রয়েছে। এজন্য আর ঘুড়িটিকে আকাশে না উড়িয়ে। আমার ঘরের দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখলাম। লিয়া মনি দেখবে আর খেলা করবে। জানিনা ঘুড়ি তৈরি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট করে। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমি আপনাদের সবার ঘুড়ি তৈরির পোস্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি। আল্লাহ হাফেজ।
বিভাগ | প্রতিযোগিতা-৫৭। |
---|---|
ডিভাইজ | realme 9 |
বিষয় | রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার আড়াই বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই সুন্দর একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। রঙিন কাগজ দিয়ে ঘড়ি বানিয়েছেন আপনাদের ঘুড়িটি দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। ঘুড়িটি তৈরির প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/HouqeLimon/status/1784024783031836980?t=Da_NQry3lx4WCKDr8GHG0w&s=19
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর ঘুড়ি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার ঘুড়ি তৈরি করা দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার কাছে যে ভালো লেগেছে এতেই আমার সার্থকতা। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি বেশ চমৎকারভাবে ঘুড়ি তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য।
আপনার সুচিন্তিত মতামত এর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। ঘুড়িটি দেখতে অনেক কিউট লাগছে। ঘড়ির লেজের অংশ মুগ্ধ করার মতো। ধাপে ধাপে সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন, আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার মুল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। রঙিন কাগজ দিয়ে বেশ দারুন একটি ঘুড়ি আপনি তৈরি করেছেন ঘুড়িটি দেখতে অসাধারণ লাগছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার এই পোস্ট দেখে ছোটবেলার হারানো স্মৃতি আবার মনে পড়ে যাচ্ছে। রঙিন কাগজ দিয়ে সুন্দর একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন আর কাগজের ভাঁজে ভাজে কিভাবে চমৎকার এই ঘুড়ি তৈরি করেছেন সেটা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাই চমৎকার প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে। অংশগ্রহণ করতে পেরে ভীষণ খুশি ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চায় ভাইয়া।রঙিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করার দারুন পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা সকলেই আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিকে পুনরায় জাগ্রত করার সুযোগ পেলাম।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অভিনন্দন ভাইয়া আপনাকে।আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে খুব চমৎকার ঘুড়ি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ঘুড়িটি খুবই সুন্দর হয়েছে।আপনি ধাপগুলো চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
চেষ্টা করেছি আপনাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অসাধারণ একটি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি ঘুড়ি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি বেশ দক্ষতার সাথে ঘুড়ি তৈরির কাজ টি সম্পন্ন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।