আমার বাংলা ব্লগ:- একটি ভালোবাসার গল্প

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আসসালামু-আলাইকুম
একটি ভালোবাসার গল্প
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"
Polish_20221006_064207998.png
"ছবিটি pixabay থেকে নেওয়া পলিস এপস দিয়ে তৈরি"

হ্যালো বন্ধুরা 🥀

শুভ সকাল, কেমন আছেন আপনারা সকলেই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যদের কে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার অফিস এ ঘটে যাওয়া একটি ভালোবাসার গল্প নিয়ে। ভালোবাসা পবিত্র তবে একেকজনের ভালোবাসাটা একেক রকম। চলুন শুরু করা যাক।

একটি ভালোবাসার গল্প

আমি ঢাকা উত্তরা আবদুল্লাপুরে থাকি। আপনারা সকলেই জানেন আমি একটা ছোট চাকরি করি। গার্মেন্টস সেক্টরের বাইংহাউস স্যামপল সেকশনে। আমাদের অফিসে একজন মেয়েকে নতুন হেলপার হিসাবে কাজে নেওয়া হয়। মেয়েটির নাম হচ্ছে সুমাইয়া। আর তার বয়স হবে ১৯-২০ এর মধ্যেই। প্রায় এক মাস সুমাইয়া মোটামুটি ভালো কাজ করতে শুরু করলো। তার কাজ দেখে আমরাও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে সুমাইয়ার বেতন একটু বেশি ধরা হলো। সুমাইয়াও অনেক খুশি হলো।

অল্প কিছু দিন পরে আমাদের সেকশন থেকে একজন তার পরিবারের অসুস্থতার কারণে চাকুরী থেকে রিজেন দিয়ে চলে যান। তার পরে আমরা তার কাজের জায়গায় অন্য একটি ছেলেকে নিয়ে নেই। ১ তারিখ থেকে ছেলেটি কাজে আসা শুরু করলো। ছেলেটির নাম হচ্ছে তারেক। সবার সাথে বেশ সুন্দর মিশতে পারে। খুব সহজ সরল ছেলেটি তবে আমার কাছে কেমন যেনো লাগে। ছেলেটির কাজ মোটামুটি ভালো তবে একটু সময় দিলে ভালো কাজ করতে পারবে।

একটা কাজ তৈরি করার জন্য তারেক আর সুমাইয়া কে এক জায়গায় কাজ করতে বলা হয়। তারা দুজন মিলে অনেক সুন্দর ভাবে কাজ করতে থাকে। এভাবে ৩-৪ দিন তাদের কাজ চলতে থাকে। তবে আমি তাদের দুজনের মধ্যে খেয়াল করলাম। তাদের দুজনের ভিতরে কিছু একটা চলতেছে। এভাবে চলতে চলতে কয়েক দিন পরে শুনতে পেলাম। সুমাইয়া আর তারেক নাকি প্রেম করে।

তারেক আর সুমাইয়া অফিস ছুটির পরে নাকি ঘুরতে যায়। বুঝতেই পারছেন নতুন নতুন প্রেমে পরলে যা হয় আরকি। এভাবে তারা দুজন প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। হঠাৎ করে একদিন শুনলাম তারা দুজন নাকি বেতন পাওয়ার পরে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। হঠাৎ তাদের দুজনের মধ্যে কি জানি হয় কয়েক দিন তারেক অফিস এ আসতেছে না। পরে আমরা সুমাইয়া কে ঢেকে বললে সেও কিছু বলে না। পরে অফিস ছুটির পরে আমরা অফিস থেকে কয়েক জন তারেক এর বাসায় গিয়ে দেখি তারেক বিছানায় শুয়ে আছে।

তারেক হাতে দেখতেছি বেলেট দিয়ে কাটা। পরে ওকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে। আমরা দুজনে বিয়ে করেছি তবে বিয়েতে সুমাইয়ার মত ছিলো এখন সে আমার সংসার করতে চায় না। এসব কথা শুনার পরে আমরা তারেক কে বললাম তুমি আগামী কাল অফিস এ আসো। পরের দিন তারেক আর সুমাইয়া অফিস এ এলো। এবার তাদের দুজনকেই অফিস রুমে ডেকে নেওয়া হলো। এবার তারেক আর সুমাইয়ার গার্ডিয়ান কে ফোন দিয়ে অফিস এ আনা হলো। তাদের কে সুমাইয়ার আর তারেক এর সব বিষয় খুলে বলা হলো। তারা শুনে রাগ হলো তবে কিছু বললেন না।

ছেলের মা পরে বললেন। ছেলে আমার যেহেতু বিয়ে করেছে। তাহলে ছেলের বউ কে মেনে নিতে রাজি আছে। পরে সুমাইয়া বলতেছে সে তারেক এর সাথে সংসার করেবে না। সে অনেক কান্নাকাটি শুরু করলো। আর বললো আমি আবেগে পরে বিয়ে করেছি। আপনারা সকলেই আমাকে ক্ষমা করে দেন। আর এদিকে ছিলেটি তাকে ভীষণ ভালোবাসতো। সেও কান্না শুরু করে দিলো। অবশেষে দুইদিন মেয়েকে সময় দেওয়া হলো সব কিছু বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে।

দুই দিন পরে আবার সবাইকে একসাথে ডাকা হলো। আবার ও মেয়ে বলতেছে তারেক এর সাথে সে কোন ভাবেই সংসার করবে না। ছেলে তো কোন ভাবেই রাজি না। তার সাথে সংসার করতে হবে। অবশেষে কাজী ডাকা হলো। কাজী আসলো কাজী ও ভালো ভাবে তারেক আর সুমাইয়া কে বোঝালো তবুও মেয়ে সংসার করতে রাজি না। এবার কি আর করার এবার কাজী কে দিয়ে আমাদের অফিসের স্যার তারেক আর সুমাইয়ার বিয়ে ভেঙে দেওয়া হলো। আর তারেক কে ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হলো। সে যেনো আর তার জন্য শরীরে আঘাত না করে। আর তারেক আর সুমাইয়া কে অফিস এ আস্তে না করে দেওয়া হলো। এর পরে সবাইকে বিদায় দেওয়া হলো।

আসলে জীবন অনেক ছোট হলেও জীবনের সিদ্ধান্ত গুলো ভেবে চিন্তেই নিতে হয়। কয়েক দিনের আবেগ এর ভালোবাসার যে বিয়ে করতে হবে এমন যেনো না হয়। বিয়ে যদি করতেই হয় তবে একজন আর একজনকে ভালো ভাবে বুঝে শুনে তার পরে প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করুন তাতে কোন সমস্যা নেই। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আপনাদের ভালোবাসার গল্প টি পরে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের সবার মতামত আসা করছি। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।

ছবির বিবরণ
বিভাগগল্প
ডিভাইজVivo Y12A
বিষয়একটি ভালোবাসার গল্প
লোকেশনবাংলাদেশ 🇧🇩
গল্প@limon88

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
💞 ধন্যবাদ 💞

divider-2461548__480.webp

আমার পরিচয়
1654188256412.jpg

আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টীমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং ফটোগ্রাফি মিউজিক রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো।

[("অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্ন এর কত কাছে চলে গেছেন")]

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

banner-abbVD.png


আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

"Please support Bangla Witness"

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

https://steemitwallet.com/~witnesses



VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...oir1T9XCqiGTh8bScur5DPK6L8ezK64pgqQkMoRLpnbMPpgM39QfD85m551fNjvVZABToby9FGtQTSDLritVkg3vFrE74djU36yesYz7VGsMpQkZ3P14kTotDL.png

Sort:  

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া যে কোন জিনিস খুব সহজে পেলে তার প্রতি তেমন কোন মায়া দরদ আকর্ষণ বলতে কিছুই থাকেনা‌ তাদের প্রেম-ভালোবাসাটা খুব তাড়াতাড়ি গড়িয়েছে, বিয়েতে পরিণত হয়েছে। তাই সে ভালোবাসার মর্ম বুঝে নাই। তবে এ ধরনের খেলার প্রেম ভালোবাসা না করাটাই ভালো। কারণ একজনের কারণে দশজনের বদনাম হয়। আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। তবে এভাবে সংসারটা না ভাঙলেও পারতো। এতো ভালোবাসা নয় যেন ছেলে খেলা। আমি মনে করি দুজনেই দুজনের পায়ে কুড়াল মারলো। সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

 2 years ago 

চমৎকার মন্তব্য করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

 2 years ago 

জি ভাইয়া আমিও শুনেছি গার্মেন্টসে এসব ঘটনার প্রতিনিয়তই ঘটে কারণ সেখানে যে সুন্দর সুন্দর মেয়ে থাকে তাতে তো যে কোন ছেলেই প্রেমে পড়ে যাবে৷ আসলে সবে বয়সের তারতম অনুসারে এসব ঘটনা ঘটে৷ এখানে মেয়েটির দোষ পুরোটাই সে যদি ভালো যদি না বাসো তাহলে বিয়ে কেন করলো ৷ আর ছেলেটারে বোঝা উচিত যেহেতু সে তার সংসার করবে না তাই তাকে শক্ত হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়াতে হবে৷

 2 years ago 

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

 2 years ago 

আপনার গল্পটা পড়ে একটু অবাক লাগলো অল্প কয়দিনের পরিচয় তারপর বিয়ে আবার তারপর বিচ্ছেদ । সত্যি অবাক করা কাহিনী । প্রত্যেকেরই উচিত ভালোভাবে আগে একে অপরকে বুঝে নেওয়া । তারপর বিয়ের সিদ্ধান্তে যাওয়া । এভাবে হুট করে কয়েক দিনের পরিচয়ে ভালোবাসা তারপরে বিয়ে করাটা ঠিক নয় । এত অল্প পরিচয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা জটিল হয়ে পড়ে । আপনার এই গল্পটির ক্ষেত্রে যেটি হয়েছে । এক্ষেত্রে মেয়েটিরই দোষ ছিল আমার মনে হয় , ছেলেটি তো সত্যিই ভালোবেসে ছিল । যাই হোক পড়ে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন আপু। ছেলেটি সত্যিই ভীষণ ভালোবেসে ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

আসলে যেকোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক বুঝে শুনে এগিয়ে যাওয়া উচিত, নাহলে খুব খারাপ পরিনতি হয়। এদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। তবে এখানে ভালোবাসার চেয়ে আবেগ বেশি কাজ করেছে। যাক গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছো পুরো বিষয়টি, ভালো লেগেছে আমার কাছে।

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন। আবেগ দিয়ে সব কিছু হয়না। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো তবে গার্মেন্টসে এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে।
সহজে কোন জিনিস পাওয়ার চেয়ে কষ্ট করে কোন কিছু পাওয়ার মধ্যে ভালোবাসাটা বেশি থাকে আমি মনে করি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.13
JST 0.033
BTC 63252.23
ETH 3035.50
USDT 1.00
SBD 3.73