ক্যাপসিকামের স্বাদে পুষ্টিকর পাস্তা রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের রেসিপি হচ্ছে ক্যাপসিকামের স্বাদে পাস্তা রেসিপি। কিছুটা ভিন্ন স্বাদ পাওয়ার আশায় ক্যাপসিকাম দিয়ে পাস্তা রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আর সত্যিকার অর্থেই ক্যাপসিকাম দিয়ে তৈরি পাস্তাগুলো খেতে কিছুটা ভিন্ন স্বাদ পেয়েছিলাম। বর্তমান সময়ে পাস্তা কিংবা নুডুলস রেসিপি প্রতিটি পরিবারে খুবই কমন একটি রেসিপি হয়ে গেছে। যদিও বা এটি কমন একটি রেসিপি, তবে ভিন্ন স্বাদ পাওয়ার আশায়, কিছুটা ইউনিক করে রেসিপি তৈরি করে খেতে ভীষণ স্বাদ লাগে। আর তাই আমিও চেষ্টা করেছিলাম, তিন রঙের ক্যাপসিকাম, আলু ও গাজর দিয়ে সুস্বাদু পাস্তা রেসিপি তৈরি করতে।
যেহেতু এই পাস্তা রেসিপিতে আমি ক্যাপসিকাম, আলু, ও গাজর ব্যবহার করেছি, তাই নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে এটি খুবই পুষ্টিকর খাবার। আর পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় আমার ছেলে ও মেয়েকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে। আমার ছেলে ও মেয়ে পাস্তা খেতে ভীষণ পছন্দ করে। তাই আমি এই পাস্তা রেসিপিকে তিন রঙের ক্যাপসিকাম ব্যবহার করে কিছুটা কালারফুল করে তাদের খেতে দিয়েছিলাম। আর হ্যাঁ কালারফুল হওয়ার কারণে দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগছিল আমার তৈরি ক্যাপসিকাম এর স্বাদে পাস্তা রেসিপি। যার কারণে আমার পরিবারের সবাই খুবই তৃপ্তি সহকারে এই রেসিপি খেয়েছিল। যে কোন খাবার যদি দেখতে আকর্ষণীয় হয় এবং খেতে সুস্বাদু হয় তাহলে তা অনায়াসে সকলের কাছে পছন্দ হয়ে যায়।
আমি যখন এই ক্যাপসিকামের স্বাদে পাস্তা রেসিপি তৈরি করেছিলাম, তখন সেই রেসিপির সাথে টমেটো সস, ও শশা গ্রেট করে রেসিপিতে দিয়েছিলাম বলে খেতে কিন্তু খুবই মজার হয়েছিল। আর সেই মজার রেসিপি আমি আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। যাই হোক আমি কিভাবে ক্যাপসিকাম এর স্বাদে পাস্তা রেসিপি তৈরি করেছি, তার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস আপনারা যে কেউ ইচ্ছে করলে, আমার তৈরি রেসিপি অনুসরণ করে, খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন ক্যাপসিকামের স্বাদে পাস্তা রেসিপি। তো বন্ধুরা আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন, আমার তৈরি ক্যাপসিকামের স্বাদে পুষ্টিকর পাস্তা রেসিপির রন্ধন প্রণালীর ধাপগুলো দেখে নেয়া যাক।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পাস্তা | ২৫০ গ্রাম |
২ | ডিম | ২ টি |
৩ | ক্যাপসিকাম ৩ রঙের | পরিমাণ মতো |
৪ | গাজর | ২ টি |
৫ | আলু | ২ টি |
৬ | পেঁয়াজ | ৩-৪ টি |
৭ | কাঁচা মরিচ | ৫-৬ টি |
৮ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
৯ | লবণ | স্বাদমতো |
" ধাপ : ১ "
" ধাপ : ২ "
" ধাপ : ৩ "
" ধাপ : ৪ "
" ধাপ : ৫ "
" ধাপ : ৬ "
" ধাপ : ৭ "
" শেষ-ধাপ "
আশা করি আমার রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে ভাইয়া ক্যাপসিকামের সাথে এমন পাস্তা খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজার হয়েছিল।আসলে নিজের হাতে খাবারের তুলনা হয় না। নিজের হাতে তৈরি খাবারের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ থাকে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার তৈরি রেসিপিটি দেখে খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মিয়া ভাই এমন স্বাদের পাস্তা একা একা খেলেন। এই বোনটার কথা একবার ভাবলেনও না। কত মধুর সুরে মিয়া ভাই ডাকি। যাক যা করেছেন ভালোই করেছেন। তবে সত্য বলতে দোষ কিসের? বেশ সুস্বাদু একটি রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। দেখেই তো খেতে মনে চাইছে। খুব লোভনীয় মনে হলো। ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু, পাস্তা রেসিপি তৈরি করে আপনার মত প্রিয় বোনটির কথা ভীষণ মনে পড়ে গিয়েছিল বলেই তো রেসিপিটি শেয়ার করেছি। যেহেতু সামনাসামনি খেতে দিতে পারছিনা, তাই ভার্চুয়ালি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি হাহাহা। যাইহোক আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার সুন্দর এই রেসিপি তৈরি করা দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বেশ ভালো লাগলো উপকরণগুলো এক টেবিলে সাজিয়ে দেখিয়েছেন। এরপর ধাপে ধাপে রান্নার কৌশলটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর সব মিলে হয়েছে অসাধারণ একটি রেসিপি ব্লগ।
ভাই, আমার তৈরি পাস্তা রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পাস্তা খুবই পুষ্টিকর একটা খাবার,আমি মাঝে মধ্যে খাই খুবই ভাল লাগে।ক্যাপসিকাম দিয়ে পাস্তা রেসিপি করেছেন দেখে খুবই ভাল লাগলো।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই, ক্যাপসিকাম দিয়ে পাস্তা রেসিপিটি খেতে সত্যিই দারুন ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পাস্তা ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করে । খাবারে একটু ভিন্নতা আনতে এ ধরনের বাড়তি উপকরণ এড করাই যেতে পারে। ক্যাপসিকাম দিলে খাবারের স্বাদ আমার কাছেও অন্য রকম লাগে । আমি তো টমেটো সস দিয়েছি তবে শসা কখনো দেওয়া হয়নি । আর তিন রকমের ক্যাপসিকাম ব্যবহারের কারণে পাস্তার কালারটাই চেঞ্জ হয়েছে দেখতে ভালো লাগছে । আর যে কোন জিনিস দেখতে ভালো লাগলে সেটা মনে হয় খেতেও ভালো লাগে । ভালো লাগল আপনার রেসিপিটি ।
ঠিক বলেছেন আপু, যে কোন খাবার একটু ভিন্নভাবে তৈরি করলে খেতে ভীষণ স্বাদ লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই প্রায় প্রত্যেকটা পরিবারের এই এখন পাস্তা রেসিপিটি অনেক বেশি কমন হয়ে গিয়েছে। কেন জানি এই পাস্তা রেসিপিটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা এটা আরো বেশি পছন্দ করে। ক্যাপসিকামের সাদ এ পুষ্টিকর পাস্তা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনোই খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
ভাই, একদিন আমার তৈরি পাস্তা রেসিপি অনুসরণ করে তৈরি করে খাবেন ইনশাল্লাহ অবশ্যই ভালো লাগবে।
রেসিপি দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো। সকাল অথবা বিকেলের হালকা খাবারের পাস্তা রেসিপি খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। ক্যাপসিকাম দেওয়া রেসিপিটি খেতে আরো সুস্বাদু হয়েছিল আশা করি। রেসিপি ধরনটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে। লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আমার তৈরি রেসিপি দেখে খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো ভাই। আপনি আজ অনেক সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। রেসিপিটি খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই, আমার তৈরি রেসিপিটি দেখে আপনার কাছে ভাল লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সু - স্বাগতম ভাই।
লোভনীয় একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো।
এর আগেও আমি এরকম একটি রেসিপি প্রস্তুত করে খেয়েছিলাম।
রেসিপি প্রস্তুত এর ধাপগুলো ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন যে কেউ দেখলে সত্যি লোভে পড়ে যাবে খাওয়ার জন্য।
ভাই আমার তৈরি পাস্তা রেসিপি দেখতে যতটা লোভনীয় ছিল, ঠিক ততটাই খেতে সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।