ফটোগ্রাফি পোস্ট- জাদুঘর হতে রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা? গরমের তীব্রতায় বেশ নাজুক পরিবেশের মধ্যে যদিও আমাদের সময় গুলো পার হচ্ছে, তবুও এরই মাঝে আমাদের কে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যাতে করে আমরা অসুস্থ হয়ে না পড়ি। তাই আমাদের কে বেশী বেশী করে পানি পান করতে হবে। সাথে সাথে নিজেকে দিতে হবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তাহলেই আমরা হয়তো পাবো একটি সুস্থ জীবন। আর নিজেকেও এই অস্থিকর পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবো।
প্রতিদিনের মত করে আজও কিন্তু আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। চলে আসলাম নতুন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। এখন তো মাঝে মাঝে নিজেকে একজন ফটোগ্রাফার মনে হয়। যেই হারে ফটোগ্রাফি করি তাতে তো মানুষজন হা করে চেয়ে থাকে মুখের দিকে। আর মাঝে সাজে তো ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে মানুষের চোখ রাঙানোও দেখতে হয়। হি হি হি। তাই বলে কি থেমে থাকে এ দুটো হাত? না থাকে না। তাই তো আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আরও একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি সোনাগাঁ জাদুঘরের কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঘুরে বেড়াতে কে না ভালোবাসে? তবে আমার মনে হয় আমি একটু বেশীই পছন্দ করি। আর পছন্দ করি মানে এমন পছন্দ করি সুযোগ পেলেই ছুটে যাই পছন্দের কোন জায়গায় নিজেকে একটু সতেজ করার জন্য। আমার কাছে কিন্তু বিনোদনের মানে ভিন্ন রকমের। আমার কাছে বিনোদন মানে প্রকৃতির ভালোবাসায় নিজেকে উজার করে দেওয়া। আর প্রকৃতির কাছ থেকে ভালোবাসা নিয়ে মনের কষ্ট গুলো কে মুছে ফেলা। তাই তো তো সময় আর সুযোগ কে কাজে লাগাতে ভুল করি না। সেই সাথে ভুল করি না প্রকৃতিকে নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে। এই যেমন বেশ কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ জাদুঘর হতে প্রায় ৩০০টির উপর ফটোগ্রাফি মোবাইলে বন্ধী করে নিয়েছিলাম। সুযোগের অভাবে সেগুলো আর শেয়ার করা হচ্ছে না। কেমন করে হবে? এত এত ফটোগ্রাফি তো ৫ বছরেও শেয়ার করে শেষ করা যাবে না।
জাদুঘরের ভিতরে পরিবেশ করলে এমন সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়বে যে, যে কোন মানুষ দেখলে সেখান থেকে আসতে চাইবে না। জাদুঘরের প্রবেশ মুখে ঘাট বাঁধানো পুকুর, কবুতরের আধাঁর খাওয়া আর প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ গুলোর প্রকৃতির সাথে আনন্দ আর উল্লাসে সময় পার করার দৃশ্য গুলো কে কেন জানি ক্যামেরা বন্দী করে নিতে মনে চাইলো। ভাবলাম আস্তে আস্তে এ সমস্ত ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিবো। আপনাদের অবশ্যই বেশ ভালো লাগবে।
জাদুঘরের ভিতরে সংরক্ষিত পুরানো সব ঐতিহ্য গুলো কিন্তু মনের ভিতর কেমন যেন একটা আবেগের সৃষ্টি করে। মাটির কলস বা মুটকী দেখার সুযোগ কিন্তু আমার হয়নি। তবে টিভিতে অনেক দেখেছি। আর সেই জিনিস গুলো যদি এমন করে চোখের সামনে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায় তাহলে কি আর ফটোগ্রাফি না করে পারা যায়? তাই এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি মোবাইলে নিয়ে নিলাম।যাতে করে আপনারাও দেখতে পারেন।
গ্রাম বাংলার যে ঐতিহ্য, তা এখন আর চোখে পড়ে না। এখন সব কিছুতেই শহরের ছোঁয়া। আর শহরের ছোঁয়ার কারনেই ঢাকা পড়ে গেছে গ্রামের প্রকৃত চিত্র। এ যুগের ছেলেমেয়েরা মনে হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কে তেমন করে চিনতে পারেনি। কারন তারা তো আর গ্রামের সেই পুরানো দিনগুলো দেখেনি। আর তাদের জন্যই জাদুঘরে গ্রামীন ঐতিহ্য কে স্থান করে দিয়েছে। সেই পুরানো দিনের ঢেকি, মাটি আর বাশেঁর তৈরি জিনিস পত্র সব কিছুই এখন জাদুরে সাজিয়ে রাখার বিষয়বস্তু হয়ে গেছে। আর আমিও সেগুলো তুলে নিয়ে আসলাম আপনাদের জন্য।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO |
মডেল | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | সোনারগাঁ, বাংলাদেশ |
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্যি বলতে মাঝে মাঝে আমাদের সবারই সময় করে এমন প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় ঘুরে বেড়ানো দরকার। যাতে করে আমরা আমাদের পুরানো ঐতিহ্য কে ভুলে না যাই।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
ফটোগ্রাফার হতে হলে মানুষের চোখ রাঙানো একটু সহ্য করতেই হবে। এসব ব্যাপার না মানুষ কত কিছুই বলবে। যাই হোক সোনারগাঁ জাদুঘর থেকে ৩০০+ ছবি ক্যাপচার করেছেন জেনে অবাক হলাম। এত ছবি আসলেই শেয়ার করা সম্ভব না। তবে কিছু শেয়ার করলে এই জাদুঘর সম্পর্কে ভালো একটা আইডিয়া পাবো। গ্রামের ঐতিহ্যের এই জিনিসগুলো দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জাদুঘর থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর রেন ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন এবং সেই ফটোগ্রাফি গুলো আজকের পোস্টের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। এমন অজানা অচেনা জায়গার ফটো দেখার মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক ধারণা পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। খুব ভালো লাগলো রেনডম আকারে এই সমস্ত ফটো গুলো দেখে যা জাদুঘর থেকে আপনি ধারণ করেছেন। আসলে জাদুঘরের মধ্যে অনেক কিছু সংরক্ষণ করে রাখা হয় যেগুলো আমরা পূর্বে কখনো দেখিনি এমন অনেক জিনিস থেকে থাকে। আপনার এই পোস্ট দেখার মধ্যে বেশ অনেক কিছু দেখার সুযোগ হলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।