শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি- শৈশবের আনন্দময় গ্রীষ্মকাল II written by @maksudakawsar II
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? বেশ অস্থিরতার মধ্যে দিন যাচেছ তাই তো। আর অস্থিরতায় যাবেই না বা কেন। চারদিকে যে গরম পরছে। তার মধ্যে তাপদাহে পুড়ছে পুরো দেশ। মানুষ এখন একটুখানি ঠান্ডার পরশ পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ছে। একটুকু বাতাস যেন মানুষের কাছে সোনার হরিণ। চারদিকে মানুষ গুলো এখন সামান্য বৃষ্টির জন্য অস্থির হয়ে আছে।
বন্ধুরা আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা নিয়ে কিছু স্মৃতি শেয়ার করার জন্য। আসলে শৈশব আমাদের জীবনের সাথে এমন করে মিশে আছে যে আমরা হাজার চাইলেও সেই শৈশব কে ভুলতে পারি না। পারি না শৈশব কে দূরে ঠেলে দিতে। শৈশব আমাদের কে বার বার হাতছানি দেয়। চোখের সামনে মেলে ধরে হাজারও স্মৃতি। আর সেই শৈশব কে আকঁড়ে ধরে আজও আমরা বেঁচে আছি।
বাবা সরকারী চাকুরী করায় শৈশবটা কেটেছে একটি বড় গন্ডির মধ্যে। আসলে অনেক গুলো পরিবার একসাথে থাকায় বেশ আনন্দের কেটে গেছে আমাদের শৈশবটা। আর তাই তো কোন ভাবেই ভুলতে পারিনা ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলো। বারে বারে ফিরে আসে জীবনের বাকে বাকে।
এই যেমন এখন যে তীব্র গরম চলছে ছেলেবেলায় এমন গরমের সময়ে সন্ধ্যে হলেই খুব তাড়াতাড়ি স্কুলের পড়াশুনা শেষ করে মায়ের সাথে নীচে নেমে যেতাম। এটা শুধু আমি নয় আরও অনেকেই এমন করতো। কারন আমাদের কোয়াটারে ছিল এক সু বিশাল মাঠ। আর সেই মাঠে বসলেই বুঝা যেত যে বাতাসের তীব্রতা। তাই একটু আরামের জন্য মা আমাদের কে নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মাঠে বসতো।
মাঝে মাঝে হয়তো বিদুৎ চলে যেত। আর তখন আরও বেশী মজা হতো। কারন তখন দলে দলে মানুষ নিচে নেমে আসতো। আর সমস্ত মাঠ তখন মানুষে ভরে যেত। সবাই দল দল করে গল্প করতো। কেউ করতো ভূত বা রাক্ষসের গল্প। কেউ বা গান করতো। আর কেউ বা বাংলা সিনেমা আর নাটক নিয়ে গল্প করতো।কিন্তু এখন হাজার চেষ্টা করলেও সেই দিন গুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে। আবার মাঝে মাঝে আইসক্রীমও খেতাম। কি যে মজা ছিল সে সমস্ত দিনগুলো।
আরও বেশী মজা হতো যখন দেখতাম প্রখোর রোদের পর আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নেমেছে। তখন আমরা সবাই নেমে যেতাম সেই বৃষ্টির পানিতে গোসল করতে। দল বেধেঁ বেধেঁ কোয়াটারের রাস্তায় হাটতাম আর বলতাম আয় বৃষ্টি ঝেপে, ধান দিবো মেপে। খুব মজা হতো তখন। মায়ের হাজার ডাক তখন কিছুতেই কানে পৌঁছতো না। ভাবতাম বৃষ্টি শেষ হলে তারপর বাসায় যাবো। আর এমন করে কেটে যেত অনেক সময়। তারপর যখন জ্বর বাধাঁতাম তখন তো আব্বা মাকে খুব বকা দিতো। কেন মা আমাদের কে সামলে রাখতে পারে না।
আর এখন গরমের তীব্রতায় সময় কাটে খপরি বাধাঁ ঘরের মাঝে। সেখানে নেই কোন বাতাস আর নেই কোন আনন্দ। তাই তো এখনও ভুলতে পারি না শৈশবের সেই দিনগুলো।
শেষ কথা
শেষ কথা
আমরা চাইলেও কিন্তু আমাদের অতীত কে জীবন থেকে মুছে ফেলতে পারবো না। আর তাই তো আজ আবার জীবন থেকে কিছু স্মৃতি আপনাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিলাম। আশা করি আমার শৈশবের এমন ঘটনা আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আপনি পোস্টটা দুবার করে ফেলছেন।
দাদা পোস্টটি ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে উপদেশমূলক মন্তব্যের জন্য।
শৈশবের স্মৃতি স্মরণ করতে আমারও খুবই ভালো লাগে আপু। অনেক সুন্দর স্মৃতিময় অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার এই স্মৃতি পড়তে গিয়ে আমিও আমার ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। যেন অনেক কিছু এক মুহূর্তে স্মরণ করতে পারলাম।
আসলে তাই ছেলেবেলার এমন কিছু গল্প শুনলেই মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য যেন সেই ছেলেবেলায়া চলে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
Tweet
খুব সুন্দর করে ছেলেবেলার গ্রীষ্মকালের বর্ণনা আর স্মৃতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যি কিন্তু আজও ভুলতে পারিনা ছেলেবেলার সেই দিনগুলি। আমার মনে হয় সরকারি কোয়াটারে থাকাতেই আমরা এমন সুন্দর সময় কাটাতে পেরেছিলাম।
সত্যি আমার ও আপনার মতই মনে হয়। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।