স্মৃতিচারণঃস্মৃতির পাতা থেকে বন্ধুদের সাথে আম চুরি করার গল্প //পর্ব-২
আসলে আমার বন্ধুর রনি গাছ থেকে পড়ে গিয়ে হাঁটুতে অনেক বেশি ব্যথা পেয়েছিল। তাই আমি আর বড় ভাই মাঠের ভিতরে রনিকে নিয়ে এসে অনেকক্ষণ পানি ঢাললাম। আর পানি ঢালার পরে ওর ব্যথাটা কমে গেল। অনেকটাই কমে গিয়েছে, এবং তখন বড় ভাই বলল ওকে নিয়ে বাড়ি যা। বাড়ি আসার বাড়ি আসবো তখনই দেখতে পেলাম, স্কুলের এক কোণে আমার বন্ধু যে আম নিয়ে পালিয়েছিল,সে চুপ করে বসে রয়েছে। আসলে ও অনেক বেশি ভয় পেয়েছিলো,মনে হয়েছিল আজকে ধরা পড়বে, আর ধরা পড়লে ওকে তো গাছপালা মারবে, বেশি ভয় পাওয়ার কারণ ওর বাবা এগুলো পছন্দ করেনা। চুরি করতে গিয়েছিল এটা জানে ওকে অনেক বেশি মারধর করবে।
তারপর বড় ভাই বলল তোরা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাহ,সন্ধ্যা নেমে এসেছে। আমিও চলে গেলাম। তখন বড় ভাই চলে গেল আমরা তিন বন্ধু মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি। রনি বলল বন্ধু তুই খুব ভয় পেয়েছিস, আসলে আমার জন্যই তোর এই ভয়টা হলো। তুই যেতে চাসনি, তখন বলল যে আমি বাবার জন্য খুব ভয় পেয়েছিলাম। যে গাছওয়ালা হয়তো আমাদের দেখেছে, আর বাবাকে বলে দিলে, তো আমার অবস্থা খারাপ করে দিবে তাই খুব ভয়ে পালিয়ে এসেছি।তখন রনব বললো কোন সমস্যা নেই। ঐটা বড় ভাই ছিল, আর বড় ভাই আম চুরি করে, তুই কোন চিন্তা করিস না। চল আমাদের বাড়িতে যাই, বাড়িতে গিয়ে বলবো আমি ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছি।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার যে বন্ধু পালিয়ে ছিল সেই বন্ধু মাস্টারের ছেলে ।মাস্টারের ছেলে হয়ে চুরি করবে এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না ।এর আগে আপনার বন্ধু লিচি চুরি করছিল বলে তার বাবা তাকে গাছে বেঁধে মেরেছিল। এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে বন্ধুদের সাথে আম চুরির গল্প আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে রয়েছে। এই চুরি করে আম খাওয়ার মুহূর্ত গুলো যেন অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনার গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। তবে আপনার বন্ধু কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভয় পেয়েছিল, তার বাবার জন্য, আসলে আমাদের সমাজে যারা মাস্টার তারা সন্তানদের এইসব কাজ থেকে বেশিরভাগই বিরত রাখতে চাই। যাই হোক আপনাদের গল্পটি আমার কাছে ভালো লেগেছে, শেষমেষ আপনারা আমগুলো খেয়েছিলেন যেনে ভালো লাগছে।
আপনাদের তিন বন্ধুর আম চুরির চমৎকার শৈশবের কথাগুলো জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম স্মৃতি আমাদের সকলের জীবনেই জড়িয়ে রয়েছে। আর চুরি করা আম ঝালের গুড়া ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতে অসাধারণ মজাদার লাগে। যাহোক আম চুরির চমৎকার একটি শৈশবের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অনেক মধুর হয়ে থাকে যা মনে করতেও ভালো লাগে ।আবার পড়তেও ভালো লাগে। আজ আপনার ছোটবেলার আম চুরির ঘটনাটা পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। চুরি করার ক্ষেত্রে মা-বাবার বকুনি তো খেতেই হবে ।যাই হোক শেষমেষ সবাই মিলে চুরি করা আম মাখিয়ে খেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।