ভ্রমণ-মেলায় ভ্রমণ (শেষ পর্ব)||আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। যদিও বেশ কিছুদিন আগে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আজ হঠাৎ করে ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে কিছু ফটোগ্রাফি সামনে চলে এলো। তাই ভাবলাম মেলায় ভ্রমণের সেই সুন্দর দৃশ্য গুলো সবার মাঝে তুলে ধরি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
মেলায় ভ্রমণ (শেষ পর্ব):
Location
Location
মেলা মানে ভিন্ন রকমের আয়োজন। মেলা মানে চারপাশ একেবারে সাজানো গোছানো বিভিন্ন রকমের দোকান থেকে শুরু করে খেলার ব্যবস্থা। সবকিছু বেশ সাজানো গোছানো। বড়রা কেনাকাটা করতে ব্যস্ত থাকে আর ছোটরা বিভিন্ন রকমের খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে। আমি যখন মেলায় গিয়েছিলাম তখন খুব একটা বেলা হয়নি। দুপুরের আগেই গিয়েছিলাম। তাই তো বাচ্চাদের আনাগোনা খুবই কম ছিল। সেই সুযোগে আমিও সুন্দরভাবে ঘোরাঘুরি করতে পেরেছি। আর ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি। প্রথমে কিছু কেনাকাটা করেছি এরপর সামনে গিয়ে চোখে পড়ে চড়কি আর উপর। চড়কিটা দেখে তো বেশ ভালো লেগেছে। যদিও কখনো চড়কিতে ওঠার সাহস করে উঠতে পারিনি। তবে দেখতে ভালোই লাগছিল।
Location
Location
মেলায় ঘুরাঘুরি করছিলাম আর হঠাৎ করে চোখ গেল মাটির তৈরি করা বিভিন্ন জিনিসপত্রের উপর। কেন জানি মাটির তৈরি করা জিনিসপত্র দেখতে আমার বেশি ভালো লাগে। আর সব সময় এগুলো কেনার চেষ্টা করি। বিশেষ করে আমার বেশি ভালো লাগে ফুলের টব। প্রত্যেকবার মেলায় গেলে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের ফুলের কিনতে ভালো লাগে। এবার বড় সাইজের ফুলের সবগুলোর দাম অনেকটাই বেশি ছিল। তাই আর নেওয়া হয়নি। অবশেষে ৫০ টাকা দিয়ে ছোট একটি ফুলের টব নিয়েছিলাম। আমার কাছে তো বেশ ভালো লেগেছিল। আর ছোট ছোট খেলনা গুলো দেখে ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলাম।
Location
বাচ্চাদের খেলার জন্য তারা বিভিন্ন রকমের আয়োজন করেছে। ট্রেনের মত একটি খেলা ছিল। বাচ্চারা সেখানে উঠে ঘুরাঘুরি করছিল। আমার কাছে এই দৃশ্যটা দেখে ভালো লেগেছিল। সত্যি কথা বলতে বাচ্চারা এই জায়গা গুলোতে গেলে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। আর অনেক সুন্দর সময় কাটানোর চেষ্টা করে। সেই সাথে পরিবারের বড়রা তাদেরকে সেই সুযোগ করে দেয় এবং বাচ্চাদের আনন্দের মুহূর্তগুলো উপভোগ করে। আমিও সেই সময়টা উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। আর এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতে ভালো লেগেছে।
Location
এক পাশে দেখলাম ঘোড়ার মত ছোট ছোট খেলনা। যেগুলোর উপর বাচ্চারা উঠে বসে আনন্দ করছিল। আর সেই দৃশ্যগুলো দেখতেও ভালো লাগছিল। ঘোড়ার উপর বসতে কোন কোন বাচ্চা ভয় পাচ্ছিল প্রথমে। এরপর যখন সুন্দর করে ঘুরছিল তখন তারা বেশ উপভোগ করছিল। আসলে যখন এই সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখি তখন ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে যায়। আর আমিও নিজের মতো করে সেখানে সময় কাটানোর চেষ্টা করেছি এবং সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখার চেষ্টা করেছি। সেই সাথে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
Location
যেহেতু সকাল সকাল গিয়েছিলাম তাই অনেকগুলো জায়গায় ফাঁকা ছিল। তখনও সেভাবে মানুষজন আসেনি। বিকেলের দিকে ভিড়ের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। আমি সেজন্যই সকাল সকাল গিয়েছিলাম। বিকেলে গেলে কেনাকাটা করা কিংবা ঘোরাঘুরি করা অনেক বেশি মুশকিল হয়ে যায়। আমি যেহেতু অন্য একটি প্রয়োজনে বাহিরে গিয়েছিলাম তাই সেই সুযোগে মেলায় ঘুরার সুযোগ হয়েছিল। আর প্রয়োজনে টুকটাক কিছু কেনার চেষ্টা করেছিল। সত্যি কথা বলতে মেলায় ঘোরাঘুরি করতে ছোট বাচ্চাদের বেশি ভালো লাগে। জানিনা মেলায় ভ্রমনের এবারের পর্বটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। যেহেতু বেশ কিছুদিন আগে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম তাই আপনাদের মাঝে সেই মুহূর্তগুলো এবং ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরলাম।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
মেলায় ভ্রমণের শেষ পর্বটিও অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। ভালো লেগেছে আমার। বরাবরের মতই ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। মেলা মানেই ভিন্ন রকমের আয়োজন একদম ঠিক বলেছেন। আমিও চেষ্টা করি বিভিন্ন মেলায় যেতে। নতুন নতুন পণ্যের সমাহার দেখতে ভালই লাগে। তবে মেলায় শিশুদের রাইড গুলো বাচ্চাদের বেশ আনন্দ দে্য-বাচ্চারা উপভোগ করে,দেখতে ভালই লাগে। লেখাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মেলায় ভ্রমণের শেষ পর্ব আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। সত্যি আপু বাচ্চাদের খেলনা গুলো দেখে আবারো ভালো লেগেছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যাঁ আমিও ছোটবেলায় মেলায় গেলেই সর্বপ্রথম মাটির তৈরি জিনিসগুলো দেখতাম আর সবশেষে বাড়িতে ফেরার পথে মাটির তৈরি ব্যাংক কিনে নিয়ে বাড়িতে আসতাম। মেলায় গিয়ে সুন্দর সময় কাটানোর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আমিও মাটির তৈরি করা জিনিসগুলো বেশিরভাগ সময় কেনার চেষ্টা করতাম। আমার তো বেশ ভালো লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি দুপুরের আগ মুহূর্তে গিয়েছেন এজন্য বাচ্চাদের পেলেন না আপনি। আমরা গিয়েছিলাম সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে কিছুদিন আগে। এত বেশি বাচ্চা ছিল আমার বাচ্চাটাকে কিছুতে খেলনা গুলোর মধ্যে তুলতে পারতেছি না। পোস্টটা এখনো করা হয় নাই। খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মেলার মুহূর্তগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এটাই ঠিক বলেছেন মেলার চারিপাশ খুবই পরিপাটি থাকে। মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালোভাবে কাটিয়েছেন আপু আপনি।
দুপুরের আগ মুহূর্তে গিয়েছিলাম তাই তেমন মানুষজন ছিল না। অল্প কিছু বাচ্চা খেলছিল। আমিও সুযোগ পেয়ে ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি শুধু আমাকে বলেন। আপনি তো দেখছি আমাকে ছাড়া এমন সুন্দর একটি মেলায় ঘুরে এসেছেন। আবার বেশ চমক লাগানো কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। আপনার মেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে তো আমার ছুটে যেতে মন চাইছে এমন সুন্দর মেলার প্রাঙ্গনে। দারুন ছিল আপনার আজমের ফটোগ্রাফি গুলো।
সত্যি আপু একা একা মেলায় যেতে ভালোই লাগেনি। আগে জানলে তো আপনাকে ডেকে নিতাম আপু। অনেকদিন আগে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
মেলায় গেলে ছোটদের কাজ নানা রকম খেলাধুলার রাইডে ওঠা এবং খেলাধুলা করা। আর বড়দের কাজ কিছু জিনিস কেনাকাটা করা। আপনার আজকের মেলার শেষ পর্বে ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেলায় গেলে ছোটরা আনন্দ করার জন্যই এরকম ধরনের খেলায় খেলাধুলা করে। আর তারাও অনেক সুন্দর সময় কাটানোর চেষ্টা করে।
ঠিক বলেছেন আপু, মেলায় গেলে ছোটরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করে, আর বড়রা কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কেনাকাটা করতে পছন্দ করে। আপনি তো দেখলাম একটি ফুলদানি কিনলেন। কিছুদিন আগে আমরাও মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে এখন ও আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। আসলে বিভিন্ন রাইডগুলোতে উঠলে অনেক ছোট বাচ্চারা ভয় পায়। তবে আবার দেখা যায় অনেক আনন্দ করে। আপনার ঘোরাঘুরির পোস্টটা দেখে ভালো লাগলো।
সত্যি আপু মেলায় গেলে কেনাকাটা করার পাশাপাশি ছোটরা অনেক আনন্দ করে। আমিও অনেক ঘুরাঘুরি করেছি আর ছবিগুলো তুলেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনি মেলাতে গিয়ে বেশ ভালোই মজা করেছেন। বিশেষ করে আপনি ওখানে গিয়ে মাটির জিনিসের দিকে প্রথমে আপনার চোখ যায় এবং ওখান থেকে আপনি ৫০ টাকা দিয়ে একটা টপ কিনেছিলেন। এ ধরনের মেলা আমিও অনেক পছন্দ করি । অনেকদিন যাবত এমন জিনিস দেখা হয় না এই পোস্টটা দেখে সত্যিই পুরনো স্মৃতিগুলো আবার মনে পড়ে গেল আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেলায় গিয়ে ভালোই মজা করেছি। আর মাটির তৈরি ফুলের টব কিনতেও ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ ভালো লাগে। যদিও ছোটবেলায় দেখতাম যে মেলার মধ্যে শুধুমাত্র নাগরদোলা এবং বিভিন্ন ধরনের দোকান থাকতো। কিন্তু এখন মেলায় গেলে দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের রাইড থাকে বাচ্চাদের জন্য। এতে করে বাচ্চাদের মেলায় যাওয়ার আগ্রহ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। যাইহোক মেলায় গিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন। মাটির তৈরি জিনিসপত্রগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ছবি তুলতেও ভালো লাগে। আর ছোটদের খেলনা গুলো দেখে নিজেরও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
শিশু পার্ক ভ্রমণের সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। মাঝেমধ্যে পার্কে ঘোরাঘুরি করার মজা আলাদা আর বাচ্চাদের বেশি ভালো লাগে এই সমস্ত পার্কগুলো। কারণ এখানে অনেকের সাথে তাদের দেখা হয় এবং আনন্দ করতে পারে।
ভাইয়া আমি মেলায় ভ্রমণ করেছিলাম। সেখানে বাচ্চাদের খেলার বিভিন্ন জায়গা ছিল। আর সেগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।