ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, এপ্রিল ২২/২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। যদিও আমি ভালো আছি তারপরও এই ভালো থাকাটার মধ্যেও যেন অনেক কষ্ট লুকিয়ে রয়েছে। আর সেই কষ্টের সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে তাপ প্রবাহ। বর্তমানে বাংলাদেশের উপর দিয়ে তাপ প্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে যার কারণে মানুষের টিকে থাকাটা অনেক কষ্টের হয়ে গিয়েছে। আমরা হয়তোবা অনেকেই লক্ষ্য করে দেখেছি যে বর্তমান সময়ে তাপমাত্রার পরিমাণ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপরে চলে গিয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের সব থেকে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গা জেলাতে তাই আমাদের জেলাতে ও তাপমাত্রার পরিমাণটা অনেক। আসলে আমাদের জেলাটা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা যার কারণে এখানে তাপমাত্রার পরিমাণ অন্যান্য জেলার থেকে অনেক বেশি থাকে। আজকে দুপুরের পরে আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলাম যে আজকে আমাদের এখানে তাপমাত্রার পরিমাণ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাহলে বুঝুন যে এই ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে মানুষের জীবনযাপন করাটা কতটা কষ্টের। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহতে সবথেকে বেশি কষ্টের মধ্যে রয়েছে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষেরা। তারা এক বেলা কাজ না করলে অন্য বেলা খাবার খেতে পারে না তাই এই গরমের মধ্যে ও তাদেরকে পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
আমরা এই গরমের মধ্যে লক্ষ্য করে দেখেছি বেশিরভাগ মানুষেরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি হসপিটাল গুলোতে ও এই গরমের কারণে অসুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
শুধু যে এই তীব্র গরমের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে তা কিন্তু নয় এর সাথে যুক্ত হয়েছে আরো একটা বড় সমস্যা। সেই বড় সমস্যাটার নাম হচ্ছে লোডশেডিং। যেহেতু গরমের দিনগুলোতে মানুষেরা বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করে তাই এই সময়টা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানিগুলো মানুষের সঠিক চাহিদা পূরণ করতে পারেনা। আর এই কারণেই বিভিন্ন এলাকাতে লোডশেডিং করানোর প্রয়োজন পড়ে। একে তো তীব্র গরম তারপরে লোডশেডিং এতে করে মানুষের জীবনধারণের বিষয়টা আরো কষ্টের হয়ে গিয়েছে। যদি আমার নিজের কথাই বলি তাহলে আমি নিজেও এই তীব্র গরম এবং লোডশেডিং এর কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বাড়িতে থাকতে পারি না। প্রায় প্রত্যেক দিন এই আমি রাত এগারোটার পরে ঘরে প্রবেশ করি। আর এই দীর্ঘ সময় আমাকে অতিবাহিত করতে হয় আমাদের গ্রামের খেলার মাঠে। যেহেতু জায়গাটা একটু ফাঁকা আর রাতের বেলায় এই ফাঁকা জায়গাতে কিছুটা বাতাস থাকে। মূলত এই কারণটার জন্যই আমাকে রাতের বেলায় বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতে হয়। কিন্তু যারা বাইরে যাবার সুযোগ পায় না তারা কতটা কষ্টে আছে একবার ভেবে দেখুন। বিশেষ করে বৃদ্ধ এবং শিশুরা এই গরমের কারণে সব থেকে বেশি অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন এই তীব্র গরম খুব দ্রুত কমে যায় এবং মানুষেরা আবার তাদের সামনে জীবনে ফিরে আসতে পারে। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ভাবতেই অবাক লাগছে ভাইয়া। এই গরমে টিকে থাকা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার। তীব্র গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তবে রাতে বাহিরে ঘোরাঘুরি করলে একটু ভালো লাগে। কি আর করার সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।
আমাদের এলাকাতে প্রতিদিন যেন তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।
আসলে প্রচন্ড গরমে মানুষের অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া দিন দিন তাপমাত্রা শুধু বেড়েই চলেছে। অতিরিক্ত গরম পড়ায় অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যাই হোক আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।
পরিবেশের এমন অবস্থা কোনভাবে তাপমাত্রা কমছে না।
শুধু চুয়াডাঙ্গা না চুয়াডাঙ্গার আশপাশের জেলাগুলো যেমন কুষ্টিয়া মেহেরপুর এসব জেলায়ও তাপমাত্রা অনেক বেশি। তার উপর লোডশেডিং রাতে ঘুম না হওয়া অন্য সব কারণে মানুষের শরীরের অবনতি ক্রমেই হচ্ছে। এমন একটা অবস্থা খুব দ্রুতই অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম। এখন একটাই চাওয়া কবে আকাশ থেকে সেই প্রশান্তির বৃষ্টি টা নামবে।
এটা ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার আশেপাশের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা এবার অনেক বেশি।
গরমের জন্য কোন কিছু ভালো লাগতেছে না। ইচ্ছে তো করছে এমন কোথাও যাই যেখানে প্রচুর ঠান্ডা। এত বেশিও না বরাবর হলেই হলো। প্রত্যেকটা মানুষের জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এই গরমের জন্য। দিন দিন তো গরমের তাপমাত্রা অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর একে একে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তেছে। গরম যেরকম রয়েছে তেমনি লোডশেডিং রয়েছে। লোডশেডিং এর জন্য আরও বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জীবনটা। আপনি পোষ্টের মধ্যে যে লেখাগুলো লিখেছেন এগুলো একেবারে সত্য।
এই গরমে প্রত্যেকটা মানুষেরই জীবন ধারণ করাটা অনেক কষ্টের হয়ে গিয়েছে।
গরমের কারণে কিছুই ভালো লাগছে না৷ প্রতিনিয়তই গরমের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ একইসাথে যেভাবে প্রতিনিয়ত গরম বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষজন বিভিন্নভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এবং অনেকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে৷ তার পাশাপাশি লোডশেডিং তো আছেই৷ গরম থেকে যত বেশি না কষ্ট পাচ্ছে মানুষ তার থেকেও বেশি কষ্ট পাচ্ছেন এখন লোডশেডিং হয়৷ আপনার পোষ্টের মধ্যে যে কথাগুলো বলেছেন সবগুলো একেবারে সত্য এবং সবগুলোর সাথে আমি একমত৷