লাইফস্টাইলঃ দিনের শুরুটা সন্তানের
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। দেখতে দেখতে আমার সন্তান আবু রায়হানের বয়স প্রায় পাঁচ মাস হতে চলেছে। ৫ মাস বয়স এখনো পূর্ণ না হলেও তার মানসিক বৃদ্ধি হয়েছে এক বছরের শিশুদের মত। এক কথায় এক বছরের শিশু যতটা জ্ঞান বুদ্ধি অর্জন করে তা আমি আমার এই মাত্র সাড়ে চার মাস বয়সের সন্তানের মধ্যে দেখতে পাই। তাকে দেখে কেউ বলতে পারবে না যে এই ছেলেটার বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস।
বর্তমান সময়ে আমার দিনের শুরুটা হয় আবু রায়হানের সাথেই। যেহেতু মর্নিং স্কুল হবার কারণে আমাকে সকাল ছয়টা ত্রিশ মিনিটে স্কুলে চলে যেতে হয় তাই আমাকে প্রত্যেকদিনই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়। আর আমি প্রত্যেকদিন সকালেই চেষ্টা করি দিনের প্রথম সময়টা আমার সন্তানকে দিতে। আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি যেহেতু আমি সকাল সকাল স্কুলে চলে যায় তাই আবু রায়হান ও খুবই সকালে ঘুম থেকে উঠে যেন আমার সাথে সময় অতিবাহিত করতে পারি। আমি সকালে ঘুম থেকে উঠেই তাকে নিয়ে আমাদের বাড়ির আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা একটু ঘুরে বেড়াই। যেহেতু আমাদের এলাকায় এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি তাই গরমের পরিমাণটা কিছুটা কমলেও এখনো রয়ে গিয়েছে। আর এই গরমের কারণেই আমি প্রথমের দিকে থাকে সকালে বাইরে একটু ঘুরতে নিয়ে যেতাম। আর সকালের এই ঘুরতে যাওয়াটা এখন যেন তার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি সকাল হলেই আমি ঘুমিয়ে থাকলেও আবু রায়হান আমার গায়ে হাত দেয় যেন আমার ঘুমটা ভেঙে যায়। আসলে তার গায়ে হাত দেবার প্রধান কারণটা হচ্ছে তাকে নিয়ে এখন ঘুরতে যেতে হবে। দিনের শুরুতে সে আমার সাথে ঘুরতে খুবই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আর সত্য কথা বলতে চাকরি করার কারণে তো তাকে নিয়ে খুব একটা সময় অতিবাহিত করার সুযোগ হয় না তাই এই সময়টা সে আমার সাথে খুবই দারুণভাবে উপভোগ করে।
আমিও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি শত কষ্ট হলেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে কারণ সন্তানের সাথে সময় অতিবাহিত করতে বাবাদের আমাদের অনেক ভালো লাগে। আর যদি সেটা হয় প্রথম সন্তান তাহলে তো আগ্রহের পরিমাণটা আরো বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। আপনারা যারা বাবা হয়েছেন তারা অবশ্যই আমার এই আনন্দের মুহূর্তটা উপলব্ধি করতে পারছেন। কারণ আপনারা ও যখন প্রথমবারের মতো বাবা হয়েছিলেন এমন আনন্দ উপলব্ধি আপনারা নিজেরাও করেছিলেন।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার ছেলেকে নিয়ে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার ছেলেকে দেখে বোঝার যাচ্ছে না যে এত ছোট। এত অল্প বয়সে আপনার ছেলের এত পাকা পাকা বুদ্ধি কিভাবে হলো আপনাকে সকাল বেলায় গায়ে হাত দিয়ে ডেকে দেয়। এমনিতেই ছোট ছেলেমেয়েরা সকালবেলায় ঘরের মধ্যে আটকা জায়গায় থাকতে চায় না সেজন্য হয়তো আপনার ছেলে বাইরে বের হতে চাই। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সে বয়সে ছোট হলেও তার আচরণ বড়দের মতই।
আমার বাবুরও একই অবস্থা ভাইয়া। সারাদিন শুধু বাইরে যাতে চায়। আর সত্যিই ওদের মুখের দিকে তাকালে সব কিছু ভুলে যেন ওকেই আদর ও ভালোবাসতে ইচ্ছা করে। আর আপনার বাবুটাও মাশাআল্লাহ অনেক কিউট। ওর সুস্থতা কামনা করছি।
দোয়া করবেন আপু সে যেন সুস্থতার সাথে জীবন যাপন করতে পারে।
প্রথমে ছেলের জন্য দোয়া ও ভালবাসা রইল। আসলে এখনকার যুগে ছোট ছেলেরা বেশ বুদ্ধিমান। এদের বুদ্ধিমত্তা দেখলে নিজের কাছে বেশ অবাক লাগে। অল্প বয়সে তাদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয় এরা অনেক বড় হয়ে গেছে। বাচ্চারা কথা না বলতে পারলেও তারা ইশারায় অনেক কিছু বোঝাতে চাই যেট বাবা মা বুঝে নেয়া উচিত।
এটা ঠিক কথা বলেছেন এখনকার যুগে ছেলেরা যেন অনেক বেশি বুদ্ধিমান হচ্ছে।
প্রতিটি মা-বাবার কাছেই তার প্রথম সন্তান খেলনার মত। বাচ্চারা তার প্রিয় খেলনা টাকে যেমন যত্ন করে রাখে তার থেকেও বেশি যত্ন এবং আদরে রাখে প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানকে। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের বাচ্চাটাকে দেখে একটু বেশি অ্যাডভান্স মনে হয়। আবু রায়হান এর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল আল্লাহ যেন তাকে সবসময় সুস্থ রাখে।
আসলেই ছেলে মেয়েরা এখন অনেক এডভান্স তারা সবকিছুই অল্প বয়স থেকেই বুঝতে শিখে যাচ্ছে।
জী ভাইয়া বাচ্ছারা যখন একটু বড় হয় তখন সকাল বেলা ঘুমে থেকে উঠেই বাহিরে যেতে চাই। সকালের আবহাওয়াটা ঠান্ডা হওয়ার কারনে বাচ্ছারা বাহিরে বের হয়ে ভালোই আনন্দ পায়। আপনার ছেলে আপনার সাথে ভালোই মিশে গেছে। আবু রায়হান বাবাকে অনেক কিউট লাগছে। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু সে তো এখন সকাল হলে আর ঘরে থাকতে চায়না।
দেখতে দেখতে আপনার ছেলেটা অনেক বড় হয়ে গেছে। দিনের শুরুটা সন্তানের সাথে শুরু করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। সন্তানকে সময় দেয় এমন বাবা পাওয়া আজকাল অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। বয়সের থেকে আপনার ছেলে বুদ্ধিমত্তায় অনেক এগিয়ে গেছে সেটা যেনে বেশ ভালো লাগলো। শুধু আপনার ছেলের ক্ষেত্রে নয় এখনকার বাচ্চারা অনেক এগিয়ে সব দিক থেকে। আপনার সন্তানের জন্য দোয়া রইল সে যেন সুস্থ থাকে আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুক।
এটা ঠিক কথা সন্তানকে সময় দেয়ার মত সময় এখন বাবার আর হয় না ব্যস্ততার কারণে।
হ্যা ভাই সেটাই।