রেসিপিঃ কাঁচা আম মাখানোর লোভনীয় পদ্ধতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার,৩ মে ২০২৪
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে লোভনীয় একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। এমন জিনিস দেখার পরে প্রত্যেকের জিভে জল চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু ছুটির দিন ছিল তাই এমন একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। আসলে এমন একটা লোভনীয় জিনিস দিয়ে খেতে পারব সেটা আমি নিজেই চিন্তা করেছিলাম না। ছুটির দিন থাকার কারণে একটু যখনই বাইরের দিকে গেলাম দেখলাম গ্রামের ছেলেরা আম মাখানোর ব্যবস্থা করছে। তারা আমাকে দেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা চাইলেও যেন আরো ভালোভাবে আম মাখাতে পারে। সে তো অনেকেই সাথে ছিল তাই আমিও রাজি হয়ে গেলাম তাদেরকে কিছু টাকা দিলাম এবং প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো তারা দোকান থেকে কিনে আনলো। এই লোভনীয় আম মাখানো খাবার সময় উপস্থিত ছিল আপনাদের সকলের প্রিয় @kibreay001। এটা খাবার পরে যে আমরা কতটা মজা পেয়েছিলাম তা আপনাদেরকে বলে বোঝানো সম্ভব হবে না।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | কাঁচা আম |
২ | মরিচের গুঁড়া |
৩ | লবণ |
৪ | আচার |
৫ | ইস্পি |
আম মাখানোর জন্য প্রথমে আমরা আমগুলোকে খুবই সুন্দরভাবে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।
এই যে আম মাখানোর জন্য আমরা এই বাড়তি উপকরণ গুলো ব্যবহার করব অতিরিক্ত স্বাদ নিয়ে আসার জন্য।
একই সাথে কাঁচা আম মাখানোর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে লবণ এবং মরিচের গুঁড়া। আমরা আগে থেকেই মরিচের গুঁড়া এবং লবণ সংগ্রহ করে নিয়েছিলাম।
এরপরে আমরা লবণ এবং মরিচের গুঁড়া গামলার মধ্যে দিয়ে দিলাম।
এরপরে আমরা আচার এর প্যাকেট থেকে আচার গুলো বের করে গামলার মধ্যে দিতে শুরু করলাম।
এই ধাপটিতে আম মাখানোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ গামলার মধ্যে দিয়ে দেয়া হয়ে গিয়েছিল।
এরপরে আমরা খুবই ভালোভাবে সকল উপকরণগুলো মাখিয়ে নিলাম। মাখানোর কাজ শেষ হয়ে যাবার পরেই শুরু হয়ে গেল খাওয়ার পর্ব।
এই যে দেখুন আম মাখানো খাওয়ার জন্য কতজন সদস্য উপস্থিত ছিল। সকলে মিলে একত্রিত ভাবে এই জিনিসটা খেতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আম এভাবে মাখিয়ে খেতে আপনাদের কাছে কেমন লাগে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আম মাখানোর ক্ষেএে আমরা সাধারণত পাকা তেতুল ব্যবহার করি এবং কাসুন্দি ঝাল এগুলো ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো এইরকম আচার বা ইস্পি ব্যবহার করি না। এটা একটু অন্যরকম ছিল। আম মাখানো দেখে দারুণ লাগছে। দেখে জিভে পানি চলে আসছে। দারুণ তৈরি করেছেন। বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
কাসুন্দি ব্যবহার করলে এটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়।
কাঁচা আমের রেসিপি দেখিয়ে আমাদেরকে লোভ দেখাচ্ছেন। আমরা যদি গ্রামে থাকতাম তাহলে আমরাও এমন লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে খেতাম। এলাকার সব ভাই বন্ধুরা মিলে এরকম আম মাখা রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই গ্রামে থাকলে চাইলেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয়।
কাঁচা আম মাখানো লোভনীয় একটি পদ্ধতি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে আম মাখানোর মধ্যে যে আচার ব্যবহার করা যায় এটা আমার জানা ছিল না এর আগে আমি কখনো আচার ব্যবহার করিনি। আপনার রেসিপিটা দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল।
বিষয়টা আমার অজানা ছিল না ছোটরা আমাকে বলল তাই আমরা শুরু করে দিলাম।
কাঁচা আম খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। সেটা যদি বেশি লোভনীয় পদ্ধতিতে মাখানো যায় তাহলে ভালো লাগে। আপনি বেশ দারুণ দক্ষতায় সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। দেখতেও ভীষণ ভালো লাগতেছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া ধাপে ধাপে এই লোভনীয় রেসিপিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
লোভনীয় সব খাবারগুলো সবাই মিলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর এরকম সুন্দর সুন্দর মুহূর্তগুলো সব সময় ভালো লাগে। কাঁচা আম মাখা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যেহেতু গ্রামে বসবাস করি তাই সকলে মিলে এভাবে খাওয়া হয় মাঝে মাঝেই।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি লোভনীয় পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে গরমের দিনে দুপুরবেলায় আম মাখিয়ে খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। তবে যখন আমগুলো কেটে গামলার মধ্যে মাখানো হয়েছিল তখন সত্যি লোভে আমার জিভে জল চলে এসেছিল। আসলে এর আগে কখনো এতগুলো জিনিসের সমন্বয়ে আম মাখিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে সবাই মিলে আম মাখিয়ে খাওয়ার সময় বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সকলে ছিলাম একত্রিত ভাবে তাইতো সবাই মিলে ভালোভাবে মজা করতে পেরেছিলাম।
সবাই মিলে এভাবে একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। কাঁচা আম মাখানো খেতে ভীষণ মজা লাগে। ছুটির দিন থাকার কারণে বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছেন। গ্রেমের ছেলেরা যেভাবে আনন্দ করে শহরের ছেলেরা পারে না। এধরনের দৃশ্য গুলো দেখলে ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে যায়। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এটা ঠিক কথা বলেছেন সবাই মিলে একসাথে এমন জিনিস খাবার মজাটাই অন্যরকমের।
পোস্টের টাইটেলটি পড়তেই জিভে জল চলে এলো।
তাছাড়া অনেক পুরাতন স্মৃতিও মনে হয়ে গেল।
হাই স্কুল এবং কলেজ লাইফে থাকতে বন্ধুদের সাথে এরকম গরমের দিনে আম বাগানে বসে আমাকে খাওয়ার কত স্মৃতি রয়েছে।
আপনার আম মাখানার পদ্ধতিটা আমার কাছে বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু ছিল।
কি আর করবেন ভাই এটা তো লোভ লাগার মতই একটা রেসিপি।
আপনি তো একেবারে পারফেক্ট সময়ে গিয়েছেন । সময় মত গিয়ে মজাদার আম মাখায় শামিল হলেন । এরকম করে কখনো আম মাখা খাইনি তবে দেখে সত্যি আমার জিভে পানি চলে আসছে । আচার তারপরে মরিচের গুঁড়া লবণ সবকিছু দিয়ে কত মজা করে মাখিয়েছেন । তবে টুকরো গুলো একটু বড় রেখেছেন এগুলো খেলে দাঁত টক হয়ে যাবে তারপরও দেখে খেতে ইচ্ছা করছে ।
ঠিক কথা আপু একটু দেরি হয়ে গেলেই হয়তোবা আমি আর খেতে পারতাম না।
ছুটির দিনে দারুন করে জিভে জল আসার মতো আম মাখা খেয়েছেন ভাইয়া।অসাধারণ হয়েছে আম মাখা গুলো।খুব সুন্দর ও লোভনীয় করে আম মাখা রেসিপিটি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ছুটির দিন ছিল আর সেই সাথে সকলেই একত্রিতভাবে ছিলাম তাই তো এমন লোভনীয় রেসিপি তৈরি করতে পেরেছিলাম।