জেনারেল রাইটিংঃ তীব্র তাপদাহের অবসান
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কিছুদিন আগে থেকে সারাদেশে তাপদাহ এর অবসান হতে শুরু করেছে। অন্যান্য বছরগুলোতে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছিলাম এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও ঝড় বৃষ্টি হবার কারণে সেই তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কিন্তু এই বছরে যেহেতু এপ্রিল মাসে কোন ঝড়-বৃষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি তাই তাপমাত্রা হয়ে গিয়েছিল মাত্রাতিক। আমরা লক্ষ্য করে দেখেছিলাম দেশের বিভিন্ন জায়গাতে এই বছর তাপমাত্রা প্রায় ৪৫° সেলসিয়াস এর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। আমি লক্ষ্য করে দেখেছিলাম আমাদের এলাকাতে এই তাপদাহ এর মধ্যে তাপমাত্রা চলে গিয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা অন্যান্য সকল বছরে থেকে সর্বোচ্চ। আর এই অসহনীয় গরমের মধ্যে সকলের জীবনধারণ করাটা হয়েছিল কষ্টকর। যদিও পরশুদিন রাতের বেলায় আমাদের এলাকাতে হালকা পরিমাণে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছিলাম কিন্তু তা ছিল অতি সামান্য।
আজকে বিকেলের দিকে হঠাৎ করে লক্ষ্য করে দেখলাম আকাশ আস্তে আস্তে কালো মেঘে ছেয়ে আসতে শুরু করল। তখনই মনে হল যেন আজকে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পাব।
এরপরে আস্তে আস্তে বৃষ্টি শুরু হল। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম কয়েকটি গরু দৌড়ে বাড়ির পথে যেতে শুরু করেছে এই বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। যেহেতু মেঘ হয়েছিল তাই আমি অন্য দিনের মতো বাইরে না যেয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলাম।
এরপরে আমি লক্ষ্য করে দেখলাম যে আমাদের বাড়ির পিছনে থাকা একটা পুকুরে এই সামান্য বৃষ্টির পানিতে হাঁসগুলো অনেক মজা করে খেলা করছে। বিষয়টা দেখার পরে আমি হাঁসের সেই ছবি ধারণ করার জন্য ভিজতে ভিজেই সেখানে চলে গেলাম।
যদিও আজকেও খুব একটা বেশি বৃষ্টি হলো না কিন্তু পরিবেশটা কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসার কারণে জীবনধারণ করাটা একটু সহজ হয়ে গিয়েছে। আজকে আর আমি আপনাদের মাঝে বেশি কিছু শেয়ার করছি না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই যদিও তাপদাহের অবসান কিছুটা ঘটেছে কিন্তু পরিবেশে আরো বেশি পরিমাণে বৃষ্টির প্রয়োজন। আপনার পোষ্টের মধ্যে দেখতে পেলাম বৃষ্টির মধ্যে হাঁস গুলো অনেক সুন্দর করে আনন্দ করছে। আসলেই আজকে লক্ষ্য করে দেখলাম অল্প সময়ের মধ্যেই আকাশ যেন কালো মেঘে ঢেকে গেল।
এ বছর যেন আমাদের এলাকাতে বৃষ্টির লক্ষ্যই করতে পারছি না।
আপনাদের ওই দিকে অল্প বৃষ্টি হয়েছে ভাই, আর আমাদের এদিকে তো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে বিগত দুদিন ধরে। তবে যাই হোক পরিবেশটা তো একটু ঠান্ডা হয়েছে। তবে আশা করা যায় এখন থেকে টুকটাক নিয়মিত বৃষ্টি হবে। তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও বোঝা যাচ্ছে যে খুব অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে আপনাদের ওদিকে।
আপনাদের এলাকার মত যদি আমাদের এলাকাতেও মুষলধারে বৃষ্টি হতো তাহলে কতই না ভালো লাগতো।
যাক এই গরমের মধ্যে সামান্য হলেও বৃষ্টির দেখা পেলেন শুনে খুশি হলাম। আসলে যে পরিমানে গরম পড়েছে এখনো যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে উপায় নেই। আর আমাদের এইদিকে আল্লাহর রহমতে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছে। এখন পুরো পরিবেশই বলতে গেলে শীতল।
খুব একটা রক্ষা পেলাম না আপু গরমের হাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে না তো।
হ্যাঁ দীর্ঘদিন প্রচন্ড রোদ গরম ছিল। এখন সে রোদ গরম দূর হয়ে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে শীতল বাতাস হইছে। বেশ স্বস্তি খুঁজে পেয়েছে মানুষে। যাই হোক এ বিষয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে সাজিয়ে দেখিয়েছেন এবং উপস্থাপন করেছেন তাই খুবই ভালো লাগলো। আশা করি আবহাওয়া সকলের অনুকূলে থাকবে এখন।
এই বৃষ্টিটার ফলে রোদের তাপ কিছুটা কমে গিয়েছে।
আজকে আবারো কিন্তু একটু বৃষ্টি আমাদের এখানে হয়েছে। গত রাত্রে যে বৃষ্টিটা হয়েছিল সেটা একটু বেশি ছিল। তবে এভাবেই কিন্তু ধীরে ধীরে বর্ষা চলে আসবে এটা নিশ্চিত। তবে প্রচন্ড রোদ গরমে যে ভোগান্তির শিকার হয়েছিলাম সেখান থেকে সকলের কিন্তু কম বেশি রক্ষা পেয়েছি।
বর্ষ কালকে দেখাই যাচ্ছে না বৃষ্টি তো হতে চেয়েও যেন হচ্ছে না।
তীব্র তাপদাহ মানুষ অপেক্ষায় ছিল কখন একফোঁটা বৃষ্টি আকাশ থেকে জমিনে পতিত হবে। জেনে ভালো লাগলো আপনাদের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে এবং প্রচন্ড তাপদাহ থেকে একটু হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। আশা করছি আস্তে আস্তে সব এলাকায় বৃষ্টিপাত ঘটবে এবং মানুষের হতাশা দূর হবে।
আমাদের এলাকার মানুষের মনে হয় সেই অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হবে না।
আশা হারানো যাবে না নিয়তি বাধা থাকে কর্মের উপরে। খুব দ্রুতই এর অবসান ঘটবে।
জী ভাইয়া অবশেষে টানা তিন দিন বৃষ্টি হয়েছে। আজকে সকালেও এক ঘন্টার মত বৃষ্টি হয়েছে। এখন গরমটা পুরোপুরি ভাবে কমে গেছে। এখন আবার মশার উপদ্রপ শুরু হয়েছে। একটা না একটা ঝামেলা আছেই। ধন্যবাদ।
টানা তিনদিন বৃষ্টি হয়েছে তাহলে তো আপনারা অনেক মজা তে রয়েছেন ভাই।
আসলে সব কিছুরই একটি শেষ রয়েছে। তেমনি এই গরমের তাপদাহের শেষ হয়েছে বৃষ্টির মাধ্যমে৷ এই বৃষ্টির ফলে সকল জায়গাতেই অনেকটা ঠান্ডা নেমে এসেছে এবং গরমের যে তাপ এতদিন সকলের মধ্যে অনুভূত হচ্ছিল এবং মানুষজন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিল তার একটি অবসান ঘটার মাধ্যমে এই বৃষ্টি এসেছে৷ এর মাধ্যমে পরিবেশ অনেকটাই ঠান্ডা হয়েছে৷
সব জায়গা বৃষ্টির ফলে ঠান্ডা হয়ে গেলেও আমাদের এলাকাতে সেটা হলো না।