ভ্রমণঃ ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ষষ্ঠ পর্ব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গত কয়েকদিন যাবত আমি আপনাদের মাঝে ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের মুহূর্তগুলো শেয়ার করছি। আজকেও আমি আপনাদের মাঝে ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের আরো একটা পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। জায়গাটা এতটাই সুন্দর যে কারণে আমি চাইলেও অল্প কয়েকটা পর্ব তৈরি করতে পারছি না। যেহেতু জায়গাটা সুন্দর তাই আমি আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটা পর্বের মাধ্যমে বিষয়গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করছি না হলে জায়গাটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আপনাদেরকে দেয়া সম্ভব হবে না। আমি ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ করে একটা জিনিস খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম সেখানে বৃক্ষরোপণকে খুবই সুন্দরভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সেই বৃক্ষরোপণগুলো ও করা হয়েছে খুবই সুন্দর পদ্ধতিতে জানতে সেটা দেখতে সুন্দর দেখায়।
সেখানে যাবার পরে একটা জিনিস দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল সেটা হচ্ছে আলাদিনের সেই আশ্চর্য প্রদীপ। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ দেখার পরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল এমনকি আমি সেটাতে ঘষা দিতে শুরু করেছিলাম। আমি মজা করে বলতে ছিলাম যে দেখো আমি এখন এই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ এই ঘষা দেবো আর এখনই একটা জিন বের হয়ে আসবে।
এরপরে আমরা কিছু দূর এগোতেই দেখতে পেলাম দুইটা বড় আকৃতির উটপাখি। উটপাখি এর উপরে খুবই সুন্দরভাবে কিছু ফুলের গাছ লাগানো হয়েছিল।
এই জিনিসটা দেখার পরে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। আপনারা যদি লক্ষ্য করে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে এমন প্রক্রিয়াতে গাছ লাগানোর উদাহরণ হয়তোবা অন্য কোথাও খুঁজে পাবেন না। একটা সুন্দর ঘর যেখানে সুন্দর সুন্দর কিছু সিঁড়ি রয়েছে আবার সেখানে গাছও লাগানো রয়েছে।
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ করে আরো একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছিলাম সেটা হচ্ছে গাছের গুড়ির মধ্যে আবারো সুন্দর কিছু গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। আসলে এই পরিবেশটা প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সৌন্দর্য রেখে তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেহেতু এটা প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে তাই এটা দেখতেও খুবই সুন্দর লাগছিল। ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণের এই পর্বটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবে নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
শ্রেণী | ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
W3W | https://w3w.co/elevated.wins.profound |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তাহলে তাদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানানো উচিত। তাছাড়া আপনি যেহেতু সেখানে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ দেখতে পেয়েছিলেন তখন দৈত্যর কাছে বেশি বেশি বৃক্ষ রোপনের আবদার করতে পারতেন হা হা হা।
আমিও মনে মনে চিন্তা করেছিলাম যে আলাদিনের দৈত্য চলে আসলে তাকে কিছু বৃক্ষরোপণ করতে বলে দেব।