বাসন্তী পূজা। পর্ব: ০৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বাসন্তী পূজার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু এই পুজো উপলক্ষে অনেক দোকান মাঠের আশে পাশে ছিল। আর যেহেতু আমি কোথাও যদি আমার গিন্নীকে নিয়ে যাই তাহলে আমার যে মেলা দেখতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে সেই মেলা দেখতে আমার দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগে। কারণ সে প্রতিটা দোকান একদম নিখুঁতভাবে সবকিছু ঘেঁটে ঘেঁটে দেখে। যদিও সে সামান্য পরিমাণ জিনিস ক্রয় করে। কারণ সে যেসব জিনিস ক্রয় করে তার বেশিরভাগ জিনিসই আমাদের ঘরে রয়েছে। তাইতো সে যখন কোন জিনিস কিনতে যায় তখন আমি একটু রাগারাগি করি। এটা শুধুমাত্র আমার গিন্নির ক্ষেত্রে নয়। প্রায় সকল মেয়েরাই মেলাতে বিভিন্ন কসমেটিক্সের দোকান ঘুরতে অনেক বেশি পছন্দ করে।
কারণ এসব কসমেটিক্সের দোকানে বিভিন্ন ধরনের মেয়েদের পণ্য পাওয়া যায়। আর এটি সবচেয়ে আমার একটি বিরক্তের জিনিস। কারণ কোন দোকানের সামনে যদি দশ মিনিট করে সময় পার করি তাহলে একটা মেলা দেখতে কত সময় লাগবে তা আপনারা অনুমান করে বলুন। আসলে এজন্য আমি যে কোন এক জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি এবং আমার গিন্নি চারিদিকটা আস্তে আস্তে ঘুরতে শুরু করে দেয় এবং আমি তার পিছন পিছন গাধার মতো বোঝা বইতে শুরু করি। যাইহোক সে প্রতিটা জিনিস অনেক নখ দর্পণ করে ক্রয় করে।
আসলে আমি চারিদিকটা দেখছিলাম। কারণ আমার এইসব দোকান থেকে বেশি জিনিস ক্রয় করতে মোটেও ভালো লাগেনা। তাইতো আমি মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সব সময় দেখছিলাম। আমার মত আরো কয়েকজন ছেলেকে আমি দেখতে পেলাম যারা একই রকম তাদের গিন্নীদের পিছন পিছন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ আবার বাচ্চা কোলে নিয়ে গিন্নির পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। যাইহোক ব্যাপারগুলো দেখতে দেখতে আমার সময় চলে যাচ্ছে।
আসলে আপনারা আজকে আমার পোস্টে দেখতে পাবেন যে এইসব বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন কর্মকান্ড। এছাড়াও আপনার অবশ্যই দেখতে পেয়েছেন যে একটা লোক তার বাচ্চা কোলে নিয়ে চুপচাপ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবার কিছু কিছু মহিলাকে দেখতে পেলাম যে যারা মাঠের এক কোণে বসে বসে বিভিন্ন ধরনের গল্প করছে এবং বাদাম খাচ্ছে। আসলে প্রতিটা পরিবার থেকে লোকজন আসে একটু সময় কাটানোর জন্য। কারণ আমাদের এই বাসন্তী পূজার পরপর আর তেমন কোন বড় পূজা নেই।
আসলে এভাবে ফাঁকা সময় গুলোতে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে সবারই ভালো লাগে। যদিও আমি কাজ থেকে এসে অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম তবুও কিন্তু আমি আমার গিন্নিকে সময় দিচ্ছিলাম। কারণ এত কাজের ফাঁকে তাকে খুব একটা বেশি সময় দেওয়া হয় না। আর এজন্য আমি আর বেশি রাগারাগি না করে তার মনের মত করে চলার চেষ্টা করলাম। কারণ এইসব দোকানে অর্থাৎ এইসব মেলাতে আসলে আমাদের অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে হয়। কারণ সেই অল্প জিনিস কিনব কিন্তু এই অল্প জিনিস কেনার জন্য এত ঘাঁটাঘাটি করতে মোটেও আমার পছন্দ নয়।
ও আরেকটা জিনিস তো ভুলেই গেছে। আমি যেহেতু প্রথমে খাবারের দোকানগুলো ঘুরে ফেলেছি তাই সেই দোকান থেকে কিছু বাদাম কিনে নিয়েছিলাম। আর যখন আমি কোন জায়গায় একা একা দাঁড়িয়ে থাকি তখন প্যাকেট থেকে দুই একটা করে বাদাম খেতে শুরু করে দিলাম। আসলে আস্তে আস্তে এই মেলার মাঠের ভিড় বৃদ্ধি পেতে শুরু করল। যেহেতু আমরা প্রায় সকাল সকাল অর্থাৎ অন্ধকারের একটু আগে এই পুজো দেখতে এসেছিলাম। তখন কিন্তু এত ভিড় ছিল না। এরপর থেকে যতই সময় যেতে শুরু করল ততই লোকজনের ভিড় বাড়তে শুরু করল।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 16/04/2024
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনাদের বাসন্তী পূজোর পর আর বড় কোন পূজো নেই এইজন্য মানুষ এখানে উপস্থিত হয় এবং বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ড এখানে দেখতে পাওয়া যায়। এভাবে বাদাম খাওয়াটা কিন্তু এক প্রকার নেশা। আমারও ভালো লাগে দাদা। যাইহোক আপনাদের বাসন্তী পূজা সম্পর্কে অনেক কিছু দেখতে পারলাম ও জানতে পারলাম।