চাঁদরাত

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আপনাদের সাথে হয়তো শেয়ার করেছিলাম যে, চাঁদ রাতে খুব একটা কাজ করা হয়নি। অর্থাৎ ঈদের দিনের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম। কারণ যেহেতু আম্মু কিছুটা অসুস্থ ছিলো।কিন্তু টুকিটাকি কাজ কিছু করেছিলাম। অর্থাৎ ঘর গোছানো, মেহেদি দেওয়া ইত্যাদি। যদিও আমি খুব কমই মেহেদী দিয়েছিলাম। কারণ এতো গরম লাগছিলো যে, ইচ্ছেই করছিলো না মেহেদি দিতে।

যাইহোক, চাঁদ দেখা গিয়েছে এটা ঘোষণা করার পরেই আমার বান্ধবী আমার বাসায় এসেছিলো। মেহেদী লাগিয়ে দেওয়ার জন্য। এবং মেহেদির কোণটি একটু ঠিকঠাক করার জন্যে যখন কাঁচি নিয়ে কাজ করছিলাম। তখন এমন ভাবে হাত কেটেছে যে বেশ খানিকক্ষণ রক্ত পরেছে । আর ছবিটা তুলেছিলাম খালামণিকে পাঠাতে।কারণ উনার সাথে তখন ফোনে ফাজলামো করছিলাম।যাই হোক কাজ কম করলে যা হয় আর কি।

এরপরে ফ্রেন্ড এর দুই হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিলাম। সেদিন বেশ অনেকদিন পরেই মেহেদি লাগাচ্ছিলাম। আর দুই ফ্রেন্ড চা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছিলাম।

এরপরে মেহেদি লাগানোর পরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। আসলে মেহেদি লাগানোর পরে ফটোগ্রাফি টা তো একেবারে মাস্ট তাইনা।

এরপরে আমরা তিন ভাই বোন মিলে একটু ঘর গোছাচ্ছিলাম এবং ঘর গোছানোর টাইমে দেখলাম যে শোকেজের একটা কোনায় একটি নসিলার গ্লাস পরে আছে অর্থাৎ নসিলার গ্লাস গুলো যেমন হয় আরকি, সেটাই। তো তখন আসলে আমরা তিন ভাই বোন মিলে দুষ্টামি করছিলাম যে এটা দিয়ে কিছু বানানো যায় কিনা। কিন্তু তখন পর্যন্ত ব্যাপারটা নিয়ে ততোটা সিরিয়াস ছিলাম না।

তো এরপরে আমি আমার ছোট ভাইকে বললাম যে চলো একটা কাজ করি। এরপরে আমি প্রথমে ওই গ্লাসটাতে কিছু পানি ঢাললাম এবং তার উপরে কিছু তেল দিলাম। কারণ স্বাভাবিকভাবে তেল আর পানি তো মিক্স হয় না।

কিন্তু আমার ছোট ভাই রুহআফজা একেবারে পছন্দ করে না এবং কিছুটা রুহআফজা বোতলে তখনও ছিলো। তো সে আমাকে বললো যে রুহআফজা গুলো পানিতে ঢেলে দিতে। কারণ তার আবার রুহআফজা একেবারেই মজা লাগে না।তাই আমিও রুহআফজা গুলো পানির সাথে মিক্স করে দিয়েছিলাম।

এরপরে উপরে একটা মোমবাতি দিয়ে দিয়েছিলাম। যাতে দেখতে সুন্দর লাগে। এর পরে দেখলাম যে ফাইনাল লুকটা সত্যিই বেশ সুন্দর এসেছিলো। তো এরপরে আমরা তিন ভাইবোন একটু আড্ডা দিয়ে সেদিনকার মতো ঘুমিয়ে পরেছিলাম। কারণ ভাইদের আবার ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া ছিলো।আর এর পরের দিন তো সেহেতু তাড়াতাড়ি উঠতে হতো সে কারণেই।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।