হারণ সাহেবের সফলতার গল্প
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
হারণ সাহেবের সফলতার গল্প
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে।আসলে আজ এসেছি একটি বাস্তব গল্প নিয়ে। আসলে গল্প মানেই আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা। আমি সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার জন্য। সেই চেষ্টা থেকে আজ ও একটি গল্প নিয়ে এসেছি । আসলে ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তের সৃষ্টি। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো ছোট হোক কিংবা বড় হোক যেকোন কাজ ধরে রাখলে সফলতা একদিন আসবে অবশ্যই। তবে এই ধরে রাখাটা অনেক কষ্টের, সবাই সব কিছু পারে না। আর যারা র্অর্ধেক পথে এভাবে ঝরে পড়ে তারা কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না। আর সফলতার জন্য দরকার ধৈর্য্য আর পরিশ্রম। আমরা যা কিছু করি না কেন তার জন্য আমাদের ধৈর্য্য ধরতেই হবে।যারা ব্যর্থ হয়ে যায় তাদের জন্য সফলতা কখনো সম্ভব না। আর সফলতা পেতে হলে অনেক কষ্ট স্বীকার করে আসতে হয়।
হারুণ সাহেব যখন ক্লাস নাইনে পড়তো তখন সে ঢাকায় চলে গেল। আসলে পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিল না। তাই বাসা থেকে অনেক চাপ দিত, সেটা সহ্য না করতে পেরে হারুণ সাহেব পড়ালেখা বাদ দিয়ে পালিয়ে ঢাকায় চলে গেল। ঢাকা গিয়ে দীর্ঘদিন বাবা-মার সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনি। তবে ঢাকায় তার দূর সম্পর্কের এক মামাতো ভাইয়ের বাসায় উঠেছিল। মামাতো ভাই তাকে একটা গার্মেন্টসে ঢুকিয়ে দিল। প্রথম দিকে হারুণ সাহেব তার মামাতো ভাইয়ের সাথে থাকতো। কিছু দিন থাকার পরে সেখান থেকে হারুণ সাহেব মেসে চলে গেল। প্রথম অবস্থায় হারুণ সাহেবের অনেক কষ্ট হলো।তবে হারণ সাহেব এর জেদ ছিল সে পড়াশোনা না করেই টাকা পয়সা ইনকাম করবে। তবে সে যতোটা মনে মনে ভাবে ততোটা করতে পারে না।
গার্মেন্টসে কয়েক মাস থাকার পরে সেখান থেকে পালালো। তারপর হারুণ সাহেব অন্য কিছু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সে তো তেমন পড়াশোনা করে নাই তাই গার্মেন্টস ছাড়া আর কিসে চাকরি করবে।যাইহোক এভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল। একদিন হারুণ সাহেব এর সাথে এক বয়স্ক চাচার দেখা হলো। তখন চাচা হারুণ সম্পর্কে সকল কিছু জানলো। তবে হারুণ সাহেবকে দেখে চাচার অনেক মায়া হলো।তারপর চাচা হারণ সাহেবকে নিয়ে চাচার বাসায় রাখল।তবে চাচা ভালো থাকলেও চাচি তেমন ভালো ছিল না। চাচা হারণ সাহেবকে তার কাপড়ের দোকানে বসিয়ে দিল। মানে চাচা হারণ সাহেবকে কাছে রেখে ব্যবসা শিখায়। তবে বিনিময়ে তাকে শুধু পেটে ভাতে রাখে কোন টাকা পয়সা দেয় না।
কিছু দিন যাবার পরে হারুণ তার বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করলো।চাচার কাছে এক বছর থাকার পরে হারুণ সাহেব বেশ ভালোই ব্যবসা শিখে গেছে।তখন চাচা তাকে মাসে দুই হাজার করে টাকা দেওয়া শুরু করলো। হারুন সাহেব এক হাজার টাকা বাবা মাকে দেয় আর এক হাজার জমিয়ে রাখে। তারপর যখন হারুণ সাহেব এর চোখ খুলে গেল তখন হারুণ চাচাকে বলে অন্য দোকানে যাবে। কিন্তু চাচা তাকে ছাড়বে না তখন হারুণ সাহেব চাচাকে বললো আপনি আমাকে কিছু টাকা দেন আমি আপনার দোকানে থাকবো।চাচা তখন পাঁচ হাজার করে টাকা দেয়। এভাবে পাঁচ বছরের টাকা জমিয়ে রেখেছে হারুণ সাহেব। তারপর চাচার দোকানে থেকে নিজের জন্য দোকান খুঁজছে। খুঁজতে খুঁজতে একটা দোকান পেয়ে গেল। [চলবে]
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হারুন সাহেব যেহেতু চাচার কাপড়ের দোকানে থেকে ব্যবসা শিখেছে এবং কিছু টাকা জমিয়েছে, তাহলে আশা করা যায় হারুন সাহেব সফলতার মুখ দেখতে পাবে। যদিও এই পর্যন্ত আসতে হারুন সাহেবকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু। (আপু টাইটেলে হারুন বানানটা ঠিক করে নিবেন।)
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মানুষ চেষ্টা আর পরিশ্রমী হলে অনেক উপরে উঠতে পারে তবে সৎ থাকলে একটু কষ্ট হয় তবে এর ফল অনেক মিষ্টি। হারুন সাহেবের গল্প পড়তে শুরু করলাম আর দেখলাম শষ হয়ে গেলো।ভালো লাগলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ
জি আপু সৎ থেকে উপার্জন করা অনেক কঠিন , ধন্যবাদ আপু।