|| রেসিপি : রায়তা ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি মূলত রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন একই ধরনের পোস্ট করতে আসলে ভালো লাগে না, আর সেই পোস্ট গুলো অন্যদের পড়তেও আসলে ভালো লাগে না। তাই পোষ্টের মধ্যে একটু ভ্যারিয়েশন আনার চেষ্টা করি। প্রতি সপ্তাহেই একটি করে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। আজকে আমি মূলত খুবই চটজলদি আর সহজ একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। তবে এটি গরমের অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। যে হারে গরম পড়েছে , তাতে এই তাপমাত্রার মধ্যে দিয়েও নিজেদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারী খাবার খাওয়াই প্রয়োজন। আমি তো মাছ মাংস বাদ দিয়ে এই প্রচন্ড পরিমাণ গরমে প্রতিনিয়ত এই ধরনের খাবার গুলো খাচ্ছি, তাতে কিছু সময়ের জন্য হলেও একটু স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। আজকে আমি টক দই আর শশার সংমিশ্রণে রায়তা তৈরি করেছি। যেটি এই গরমে খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু লাগছে। শশা আসলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর টক দই ও গরমের খুবই কার্যকরী একটি খাবার। প্রতিদিনই শশা আর টক দই আলাদা করে খাওয়া পড়ে, তাই আজ সন্ধ্যে বেলায় মোমো কিনে নিয়ে এসেছিলাম, সন্ধ্যের টিফিনের জন্য। তখন দেখলাম এর সাথে শুধু শুধু টক দই না খেয়ে শশা আর টক দই এর মিশ্রণে রায়তা তৈরি করা যাক। আর চটজলদি বানিয়েও ফেললাম। যাইহোক, বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শশা | ৭ টি |
টক দই | ২ গ্লাস ( ৫০০ গ্রাম ) |
গোলমরিচের গুঁড়ো | সামান্য |
বিট লবণ | ১ চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - শশা, টক দই, গোলমরিচের গুঁড়ো আর বিট লবণ।
শশা গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। তারপর সেগুলোকে কুড়িয়ে নিয়েছি। এটা আসলে ছোট ছোট করে কেটেও তৈরি করা যায়, যেহেতু একজন বয়স্ক মানুষ ছিল, তাই তার সুবিধার জন্য কুড়িয়ে দিয়েছিলাম।
এরপর একটা পাত্রের মধ্যে টক দই ঢেলে দিয়ে, সেটাকে হ্যান্ড হোইস্ক এর সাহায্যে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিলাম।
এরপর তার মধ্যে কুড়িয়ে রাখা শশা গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর আবারও ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে, দিয়ে দিলাম এক চামচ বিট লবণ।
এরপর সব উপকরণ আবারও ভালভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল রায়তা। এরপর বাটিতে সেটাকে নামিয়ে নিলাম।
সবশেষে রায়তার উপরে গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে সেটিকে মোমোর সাথে পরিবেশন করে নিলাম।
পোস্ট বিবরণ | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1782839516207968273?t=gEIeKjbR3dKsEFLi-T1dbg&s=19
নতুন একটি রেসিপি সাথে পরিচিত হলাম আপু। খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। রেসিপিটা আমার কাছে বেশ তুমি অনেক মনে হয়েছে। কারণ এমন রেসিপি আমি তৈরি করতে কখনো দেখিনি কাউকে। যাই হোক ভালো লাগলো সুন্দর এক রেসিপি দেখে।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আজ আমি ইউনিক একটি রেসিপি এর সাথে পরিচিত হলাম।রেসিপিটির নাম হচ্ছে রায়তা এ ধরনের রেসিপি খাওয়া তো দূরে থাক এই প্রথমবার আমি নাম শুনলাম রায়তা রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন অনেক ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল ধন্যবাদ।
আপনি দেখছি রেসিপিটির সাথে প্রথমবার পরিচিত হলেন ভাই। গরমের অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার এটি। খেয়ে দেখবেন এই রেসিপিটি,আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে।
প্রচন্ড এই গরমের দিনে আমাদের শসা খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। এটা আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে আপু। আপনি কিন্তু নতুন একটা ইউনিক রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। এমন রেসিপি আমি কোনদিন তৈরি করিনি তৈরি করতে জানিনা। তবে বেশ ধারণাও পেয়ে গেলাম আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে।
পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রায়তা রেসিপি আজকে প্রথমবারের মতো দেখলাম। রেসিপিটা দেখেই তো আমার মনে হচ্ছে এটা অনেক বেশি লোভনীয়। মোমোর সাথে মনে হচ্ছে এটা খুবই মজা করে খেয়েছিলেন। এই রেসিপিটা আজকে প্রথমবারের মতো আমি দেখলাম। কখনো তৈরি করিনি, তবে আপনার কাছ থেকে রেসিপিটা তৈরি করা শিখতে পেরেছি এখন খুব ভালো লাগতেছে। এই গরমে এটা খাওয়া আসলেই কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এত সুন্দর করে ইউনিক রেসিপি টা তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
রেসিপিটা আপনি প্রথমবারের মতো দেখলেন আর এটা শিখতে পেরে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। আসলেই গরমে এটি খেলে আপনার ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
দিদি আপনার কাছ থেকে ইউনিক রেসিপি দেখে অনেক ভালোই লাগতেছে আমার কাছে। ইউনিক খাবার খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। দেখলেই তো খেতে ইচ্ছে করে, এই ধরনের লোভনীয় রেসিপি গুলো। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মনে হচ্ছে রেসিপিটা তৈরি করা সম্ভব, আর বেশি উপকরণেরও প্রয়োজন হয় না। যেভাবে পরিবেশন করেছেন ইচ্ছে করছে প্লেট নিয়ে এসে খেয়ে ফেলি। রেসিপিটা খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার ছিল।
হ্যাঁ ভাই,খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আর খুবই অল্প উপকরণ দিয়ে এই রেসিপিটা তৈরি করা সম্ভব। সেই জন্য আমি প্রায় প্রতিনিয়তই এটি তৈরি করে থাকি।
এই গরমে শসা, টক দই এগুলো প্রতিনিয়ত খাচ্ছো তার মানে তুমি যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন দিদি। তবে রায়তা কিন্তু আমার নিজেরও অনেক পছন্দের একটি খাবার। আমিও এটি তৈরি করতে টক দই ব্যবহার করি কিন্তু গোলমরিচ দেই না, তার পরিবর্তে হালকা চিনি মিশিয়ে দেই। এতে করে টেস্ট আরো বেশি লাগে আমার কাছে। যাইহোক, তোমার রায়তা বানানোর স্টাইলটা আমার কাছে একটু ভিন্ন রকম মনে হলো। তাছাড়া তোমার উপস্থাপনাও অনেক সুন্দর ছিল দিদি।
আমি আবার মাঝে মধ্যে টক দই শুধু শুধু গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়েও খেয়ে থাকি,আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে চিনি দিয়ে একবার খেয়ে দেখব দেখি কেমন লাগে খেতে, আশা করছি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
রায়তা সম্পর্কে অনেক শুনেছি। তবে কখনো এই রেসিপি তৈরি করা হয়নি এবং খাওয়া হয়নি৷ আপনার কাছ থেকে প্রথম এরকম একটি রেসিপি দেখতে পারলাম এবং এই প্রথম এরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ যেভাবে আপনি এই রেসিপি এখানে তৈরি করেছেন তা একেবারে অসাধারণ দেখা যাচ্ছে এবং ইচ্ছে করছে এটিকে যেন এখনি এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলি৷
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।