ঈদ শপিং ২০২৪(পর্ব - ১)||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে যে বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমাদের মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর সামনে। ঈদকে সামনে রেখে শুরু হয়ে গিয়েছে সবার শপিং।ঠিক তেমনি আজকে আমরাও গিয়েছিলাম ঈদের শপিং করতে।ছোট খাটো শপিং আমি নিজে করলেও এই ঈদের শপিং বরাবর আব্বুর সাথে গিয়েই করি।কেননা এই ঈদের সময় মার্কেট গুলোতে প্রচুর ভিড় সেই সাথে ঠকে যাওয়ার একটা চান্স তো থাকেই ।আজকে যেহেতু শুক্রবার আব্বুর অফিস বন্ধ থাকায় চলে গিয়েছিলাম নিউ মার্কেটে।আমাদের এখানে সব শপিং করার কেন্দ্র স্থল ফরিদপুর নিউ মার্কেট।আজকে ১১ রমজান অনেকটা আগেই মার্কেট করা হলো বলা যায়।আমাদের মেয়েদের ড্রেস গুলো আবার টেইলার্স গুলোতে তৈরি করতে দিতে হয় এজন্য কিছুদিন আগে অর্ডার না দিলে ঈদের আগে পাওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
তাই আজকে সকাল দশটার দিকে বেরিয়ে পড়েছিলাম।যেহেতু শুক্রবার ছিল আজ ছুটির দিন তাই মার্কেটে সব দোকান খুলেছিল না ।প্রথমেই আমরা থ্রিপিস যে দোকান থেকে সাধারণত কিনে থাকি সেখানে গেলাম।আমাদের কাঙ্খিত দোকানটি খোলা ছিল।এই দোকান এর কিছু রুলস আছে সবসময় সিরিয়াল মেইন্টেইন করে তারা ড্রেস দেখায়।কাস্টমার যিনি আগে যাবেন তাকে আগে ড্রেস দেখিয়ে বিদায় দিয়ে দ্বিতীয় জনকে দেখাবে এটা এখানকার নিয়ম ।আমরা যেহেতু অনেক সকালে গিয়েছিলাম তাই প্রথম কাস্টমার আমরাই ছিলাম।তাই নিরিবিলি ড্রেস দেখে একবারে তিনটি থ্রিপিস নিলাম।আমার আর বোনের জন্য পাকিস্তানি জর্জেট আর আম্মুর জন্য একটি সুতির থ্রিপিস।বর্তমান মার্কেট গুলোতে ইন্ডিয়ান আর পাকিস্তানি থ্রিপিস গুলোর চাহিদা বেশি।তবে এই দোকানটি মার্কেটে বেশ ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন থ্রিপিস রাখে তাই এখানেই যাওয়া হয় আমাদের।আর এখানে দামদর করার খুব একটা সুযোগ নেই যা চাইবে তার থেকে সামান্য কমবেশি করা যায়।আমাদের তিনটি থ্রিপিস ৬,৫০০ টাকা পড়েছিল।
ঈদের সময় সাধারণত সব জিনিসপত্রের দাম একটু বেশিই থাকে।তাছাড়া ব্যাবসায়ীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকে এই সময়টার জন্য। সারা বছরের লাভ এই সময়টায় তারা করে থেকে।টেইলার্স গুলোতেও এখন মজুরি ডাবল রাখা হচ্ছে।অবশ্য এখানে তাদেরও খুব একটা দোষ দেওয়া যায়না।আমাদের দেশে টাকার মান এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে ।বর্তমান ১০০ টাকা পূর্বের ৫০-৬০ টাকার সমান ।তাছাড়া ফরিদপুর শহর বেশ ব্যয়বহুল শহর এখন অনেকটাই উন্নত ঢাকার পর।।তারপর আমার ভাই এর জন্য পাঞ্জাবি কিনতে গেলাম।কয়েকটি পাঞ্জাবি দেখার পর এই ডার্ক মেরুন কালারের পাঞ্জাবিটি ভাই এর পছন্দ হয় ।তারপর এটি নেওয়া হয়।পাঞ্জাবিটি ১২০০ টাকা পড়েছিল।ভাই এর জন্য আরো কিছু শপিং করা হয়েছিল পরবর্তী পর্বে বাকি শপিং গুলো শেয়ার করবো বন্ধুরা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | ফরিদপুর |
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 22th March,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
ঈদ শপিং ২০২৪ এ আপনি কিছু পর্ব করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। প্রথম পর্বটি অনেক ভালো লাগলো আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলো আরও বেশি ভালো হবে। এ পর্বে আপনি অনেক কিছুই কিনেছেন তার মধ্যে বারোশো টাকা দিয়ে পাঞ্জাবি কিনেছেন সুন্দর হয়েছে। ভাইয়ার জন্য আরো কিছু কেনাকাটা করেছেন সেটি পরবর্তী পর্বে দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপু।
আপু আগে শপিং করে ফেলেছেন জেনে খুশি হলাম। আসলে আগে আগে করলে ঝামেলা কমে যায়। থ্রিপিস গুলো ভালো ছিলো। তাড়াতাড়ি টেইলার্স এ কাটতে দিন না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। আপনার লেখা গুলো পরে ভালো লাগলো। রমজানের শুভেচ্ছা রইল ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈদের অনেক আগে আগে শপিং করে নিচ্ছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এই শপিং এ গিয়ে আপনি খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দর জামা কাপড় নিয়েছেন৷ একটি কথা আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন যে টাকার মান এখন একেবারে কমে গিয়েছে৷ পূর্ব সময় যে ৫০ ৬০ টাকা ছিল তা এখন ১০০ টাকার সমান হয়ে গিয়েছে এবং প্রতিনিয়তই টাকার মান কমে যাচ্ছে৷
জি এখন অর্ধেক হয়ে গেছে টাকার মান,ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইদের সালামি হিসেবে এমন একটা পাঞ্জাবী আমাকেও পাঠান আপু। দোকানে এমন রুলস এর কথা এর আগে শুনি নি।যখন কাস্টমার এর ভির বেশি হয় তখন তারা কিভাবে সামাল দেয়? হ্যা টাকার মান কমে যাওয়াতেই এই সমস্যা টা হয়েছে,সেই সাথে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও ঈদের সুযোগে দাম অত্যধিক বাড়িয়ে দেয়। ভাল লাগল আপনার শপিং এর অভিজ্ঞতা পড়ে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দুই বছর যাবৎ ওনারা এরকম নিয়ম করেছে,ধন্যবাদ ভাইয়া।