ঈদে গ্রামে যাওয়ার আগের প্রস্তুতি !!!
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। গরম তীব্র হলেও ভালো থাকতেই হবে। এই গরমের শেষ কবে জানিনা একদমই। সবাই একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন। বাইরে যতটা সম্ভব কম বের হবেন। বাইরে গেলে রোদ এর জন্য আরো বেশি সমস্যা হয়ে যেতে পারে। তো ঈদের আগের কিছু ঘটনা শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে ।
আমার আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো এবার ঈদ এ বাড়ি যাবো বাইক নিয়ে। হোক সেটা চালিয়ে হোক সেটা লঞ্চ এ করে। তবে বাইক নিবোই আমি। আগে থেকেই ঠিক ছিলো সাথে আম্মু যাবে। তাই খুব খুশি লাগছিলো। তো হিসাব করে দেখলাম লঞ্চ করে বাইক নিলে আমাদের দুজনের যেতে খরচ পরে যাবে অনেক। যেমন বাইক লঞ্চ এ তুলতে দুই ঘাটে দিতে হবে ৪০০ টাকা, লঞ্চ এ বাইকের বুকিং ৫০০ টাকা। আম্মুর আর আমার টিকিট বাবদ খরচ যাবে আরো ৫০০। অর্থাৎ প্রায় ১৫০০ টাকার মতন । সেখানে আমি ৫০০ টাকার ফুয়েল লোড করলে ইজিলি ঢাকা-চাঁদপুর যেতে পারবো সাথে আরো ফুয়েল থেকে যাবে। আর সময় ও বাঁচবে। গাড়ি তো আগে ভাগেই সার্ভিসিং করে রেখেছিলাম। তো সেদিন সার্ভিসিং এর সময় দেখেছিলাম পেছনের চাকায় পেরেক ঢুকেছিলো। যেহেতু লং জার্নি করবো তাই এটা রিস্ক নিয়ে চালাতে চাইনি। ২৯ রোজার দিন অর্থাৎ যেদিন আমাদের অফিস এর শেষ দিন ছিলো সেদিন টায়ার লিক সারায় এমন দোকানে গেলাম। সেখানে পেরেক বের করার পর লিক অটোমেটিক বন্ধ হয়ে গেলো। কারণ চাকাতে জেল ভরা ছিলো। এরপর সার্ভিস সেন্টারে চলে আসলাম। সন্ধ্যার দিকে দুইটি হর্ণ ও একটি রিলে নিয়ে আসলাম। আমার আগের হর্ণের সাউন্ড খুব কম শোনা যেতো। যেটা হাইওয়ে এর জন্য পর্যাপ্ত নয়।
হর্ণ আর রিলে মিলিয়ে ৮০০ টাকা লেগেছিলো। এরপর দুজন টেকনিশিয়ান কাওসার ভাই ও বাবু ভাই লেগে গেলেন আমার বাইকে নতুন দুই হর্ণ ও রিলে ইন্সট্রল করতে। এইদিকে কিছুক্ষন পর আমাদের স্যার এসে পরলেন। তিনি আমাদের কিছু বোনাস এর টাকা দিলেন। আমরা তো সবাই খুশি। আমার প্ল্যান ছিলো এই টাকা পেলেই আমার বাইক এর ফুল টাংকি ফুয়েল লোড করবো। তো স্যার ছোট্ট একটি মিটিং করে আমাদের ছেড়ে দিলেন। এরপর আমার বাইকের কাজ সম্পূর্ণ হলে দুজন হেল্পার কে বললাম আমার বাইক খুব সুন্দর করে একটা ওয়াশ করে দিতে। তো দুজন মিলে আমার বাইক খুব সুন্দর করে ওয়াশ করে দিলো। এবার আমি অফিস এর কয়েকজন কে বোনাস দেওয়া শুরু করলাম। হেল্পার কাওকে বাদ রাখিনি। সবাইকে এক সমান ঈদ সালামি দিলাম। এরপর দারুণ এক মুহূর্তের সৃষ্টি হলো। সবার কাছ থেকে বিদায় নেওয়া শুরু করলাম। সবার সাথে কোলাকুলি করে বিদায় নিচ্ছিলাম। যেনো আজই আমাদের ঈদ। সবার কাছ থেকে হাসি মুখে বিদায় নিয়ে আমি বাইক বের করে রাস্তায় নিলাম। এবার হাতিরঝিল দিয়ে বের হওয়ার আগে এক দোকানে নেমে বাইকের দুই চাকায় হাওয়া দিলাম।
হাওয়া দেওয়া শেষ হলে রউনা দিলাম আবার। ধিরে ধিরে বাইক চালিয়ে চলে আসলাম মহাখালির ক্লিন ফুয়েল ষ্টেশন এ। অনেক যায়গায় শুনেছি এখানের ফুয়েল ভালো। চুরি করেনা খুব একটা। ফুয়েল নেওয়ার জন্য লাইন ধরলাম। ৩ টা বাইকের পরেই আমার সিরিয়াল আসলো। তখন আমার বাইকের এক কাটা ফুয়েল ছিলো। এবার ফুয়েল লোড করার পর ১০৫০ টাকার ফুয়েল ঢুকলো। এবার আমি টাকা দিয়ে একটু সামনে যেয়ে ছবি তুলে রাখলাম। যেহেতু ফুল ট্যাংক লোড করেছি সেহেতু মাইলেজ ক্যালকুলেশন অনেক সহজ হবে। এরপর বাসায় এসে ফোনে স্যালুন এ সিরিয়াল দিলাম। এরপর গিয়ে চুল দাড়ি কেটে আসলাম। এরপর তো সেদিন সেহরি খেয়ে রউনা দিয়েছিলাম। যা সামনে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাড়ি যাওয়ার জন্য দেখছি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। লং রুটে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়া আমার কাছে খুবই রিস্ক মনে হয়। তারপরেও যেতে যেহেতু হবে আপনি গাড়ির পুরো সার্ভিসিং এবং সবকিছু ঠিকঠাক করে নিয়ে ভালো করেছেন। তাছাড়া ক্লিন ফুয়েল স্টেশনের তেল সবথেকে ভালো। আমাদের গাড়ির তেল আমরা সব সময় ওখান থেকেই লোড করি। অন্য কোথাও থেকে খুব একটা নেয়া হয় না। যাইহোক ভাইয়া পরবর্তীতে নিশ্চয়ই ভালো মতোই পৌঁছাতে পেরেছিলেন।
ঠিক বলেছেন আপু। সত্যি দারুণ এক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে রিস্ক রয়েছে আসলেও। কিন্তু আল্লাহর রহমতে খুব ভালো ভাবেই পৌঁছে ছিলাম।
ঈদ করার জন্য বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতিটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে বাইকে লং জার্নি করার না করাই ভালো বিশেষ করে ঈদের সময়। কারণ এই সময় রাস্তাঘাট কিংবা লঞ্চ যাতে যান না কেন সব জায়গাতেই জ্যাম। সাথে আপনার আম্মু ছিল এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনি যে ১৫০০টাকা খরচ বাঁচিয়ে। বাইকে করে আপনার গন্তব্য স্থানে পৌছাইছেন এটা শুনে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে খুব একটা লং জার্নিও না। সব মিলিয়ে ১২০ কিলোমিটার এর মতন রাইড করেছিলাম।