বাংলাদেশের গ্রামে পুজোর শপিংsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

_6c983b15-25c0-4e56-a238-b3692b2173b8.jpeg


গতকাল বিকেলে একবার পুজোর শপিং সেরে এসেছি । বাংলাদেশের গ্রামের শপিং সেন্টারে এটাই আমাদের প্রথম পুজোর কেনাকাটা । মূলত ঘুরতেই বেরিয়েছিলাম এদিন । এখানকার গ্রামের রাস্তাঘাট পাকা, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সবই আছে । কোনো কোনো বাড়িতে গ্যাসেই রান্না হয় । ইঞ্জিন চালিত ভ্যান রিকশা আর ব্যাটারী চালিত টোটো এখানকার গ্রামের রাস্তাঘাটের একমাত্র যানবাহন ।

মোবাইলে চার্জ না থাকায় এদিনের ঘোরাঘুরির কোনো ছবিই তুলতে পারিনি । তবে আজ থেকে ছবি তোলা শুরু করবো । তনুজা অবশ্য তুলেছিল ছবি । চারিদিকে এতো সবুজ গাছগাছালি আর জল টলটলে পুকুর দেখে টিনটিন খুশিতে একেবারে যাকে বলে আত্মহারা । তো, আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরে রোদ পড়ে এলে সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম । এদিককার টোটোগুলো যথেষ্ঠ বড় । ড্রাইভার সুদ্ধ মোট ১০ জন যাওয়া যায় একত্রে । আমরা ছিলাম মোট পাঁচ জন । ৭০০ টাকা দিয়ে ঘন্টা তিনেকের জন্য টোটোটা রিজার্ভ করে নিলুম ।

গ্রাম থেকে শপিং সেন্টার প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে । যেতে প্রায় মিনিট তিরিশেক লেগে গেলো । এই জায়গাটা মূলত একটা গঞ্জ টাইপের । বড় বড় অনেকগুলো ইলেট্রনিক্স পণ্যের শো রুম আছে এখানে । আর আছে প্রচুর পোশাক-আষাকের দোকান, মনিহারি দোকান, পাইকারি মাছের আড়ৎ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, মিষ্টি ও নানান খাবারের দোকান । এছাড়াও রয়েছে একটি বৃহৎ কাঁচা বাজার, মাছের বাজার ও মাংসের বাজার । কয়েকটি ব্যাংকের শাখাও রয়েছে দেখলাম । রীতিমত যাকে বলে জমজমাট এক গঞ্জ ।

সর্বপ্রথম আমাদের ঢুকতে হলো টিনটিনবাবুর খেলনা কেনার জন্য একটা দোকানে । এরপরে ড্রেস কেনা স্টার্ট হলো । আমি একটা টি-শার্ট কিনলাম । তনুজা অনেকগুলো শাড়ি বেছে বেছে ঢাকাই মসলিনের একটা শাড়ি পছন্দ করলো । দাম যা হাঁকলো দোকানদার শুনে আমি ফিট । যাই হোক বিস্তর দরাদরি করে (যেটা আমি একদমই পারি না) ১৭০০ টাকা কমাতে পারলাম । এরপরে আমার ভাইয়ের জন্য আরেকটা টি-শার্ট কিনলাম , Allen Solly । গ্রামের গঞ্জে এই ব্র্যান্ডটা পেয়ে যাবো সেটা আশাই করিনি ।

কেনাকেটা শেষে ভাবলুম সবাই মিলে একটু বাংলাদেশী স্ট্রীট ফুডের টেস্ট নিই । সেই মতো কিনলাম সিঙ্গাড়া, সামুচা, পিঁয়াজি, বেগুনি, আলুর চপ আর ডাল পুরি । একটু বেশি পরিমাণেই কিনলাম সবগুলি । এরপরে আবার টোটোতে চেপে বাড়ি ফিরে এলাম তখন সবে সন্ধ্যা উৎরেছে । গরম গরম চা সহযোগে স্ট্রীট ফুডগুলো চাখা শুরু করলাম । শেষ করার ঘন্টা খানেক পর থেকেই পেটে মোচড় মারতে শুরু করলো । আর কী, রাতে বার দু'য়েক একটু দৌড়াদৌড়ির পরে গেলো । এরপরে পেট ভরে গরামগরম ভাত, ডাল, মাছের ঝোল আর হাঁসের মাংস সেঁটে ঘুম দিলাম । সকালে উঠে দেখি পেট একদম ফিট ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Sort:  
 7 months ago 

দাদা প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক স্বাগতম জানাই। বাংলাদেশে এসেছেন এটা জেনেই কেমন যেন ভালোলাগা কাজ করছে। যদিও যেখানে রয়েছেন সেখান থেকে আমরা অনেক দূরে হতে পারি। তবে একই দেশে আছি এটা ভাবতেও ভালো লাগছে। তবে দাদা আপনার ব্লগটা পড়ে হাঁসতে হাঁসতে অবস্থা শেষ। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্ট্রিট ফুড খাওয়ার যে শখটা ছিল সেটা মনে হয় দ্বিতীয়বার ঘটবে কিনা জানিনা।কারণ একবার খেয়েই পেট মোচড় দেওয়া শুরু করেছে। আসলে দাদা স্ট্রিট ফুড গুলো দেখতে খুব আকর্ষণীয়। কিন্তু এগুলো ভাজা পোড়ার জন্য যে তেল ইউজ করা হয় সেগুলো ভালো কোন তেল নয়। যাইহোক গ্রাম্য বাজারে টি-শার্ট, বৌদির জন্য শাড়ি, বাকিদের জন্য আরো কেনাকাটা ভালই চলছিল তাহলে। তবে আপনার পরিচিত ব্র্যান্ড এর শার্ট টি সেখানে পেয়েছেন এটি জেনে খুব ভালো লাগলো। আর রাত্রিবেলায় হাঁসের মাংস খেয়েছেন যেটা আমার খুবই প্রিয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা বাংলাদেশ ভ্রমণের পরবর্তী পোস্টগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 7 months ago 

আপনি যে গঞ্জের বর্ণনা দিয়েছেন সেটা পড়ে তো মনে হলো রীতিমতো কোন শহর। সেখানে শহরের কোনো সুযোগ সুবিধার কমতি দেখছি না। যাইহোক সময়টা যে আপনার ভালো কেটেছে সেটা আপনার পোস্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে। শুধু পেট খারাপ হওয়ার অংশটুকু বাদে। স্ট্রীট ফুড খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে আরো সাবধান হতে হবে দাদা। যাদের অভ্যাস নাই তাদের পক্ষে এগুলো হজম করা একটু মুশকিল হয়ে পড়ে। আমাদের অবশ্য কোন সমস্যা হয় না। যতোখুশি খেতে পারি। আপনার পরবর্তী পোস্টগুলির অপেক্ষায় রইলাম।

 7 months ago 

বাহ্ দাদা কবে আসলেন বাংলাদেশে? তাহলে আপনিও পড়লেন স্ট্রিট ফুড খেয়ে পেট হালকা করার দলে? সে যাই হোক তবে কিন্তু বেশ মুখরোচক খাবার দাদা। আর আপনি তো দেখছি বিস্তর দামাদামি করতে পারেন। ১৭০০ টাকায় শাড়ীর দফারফা শেষ করে দিলেন। আবার রাতেও তো খেলেন বেশ। এদিকে আবার টিনটিন বাবুর আনন্দ। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই যাবে মনে হয়।

 7 months ago 

দাদা বাংলাদেশে স্বাগতম।
আপনার দিনগুলো অনেক ভালো কাটুক এই কামনা করছি। দাদা এখনকার গ্রাম অনেক উন্নত হয়ে গেছে, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, পাকা রাস্তা আর বড় বড় দোকান কি নেই।
আপনার পেট কিছুটা সমস্যা করলেও এখন খেয়ে দেয়ে ফিট আছেন জেনে ভালো লাগলো।
দোয়া রইলো পুরো পরিবারের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

বাংলাদেশের যানবাহন আসলেই এগুলো দাদা।আর পোশাক এর দাম ইন্ডিয়া থেকে তুলনামূলক অনেকটা বেশিই এখানে।মাত্র ১৭০০ টাকা কমাতে পেরেছিলেন শাড়ি তে। ফোনে চার্জ না থাকার কারণে ছবি তুলতে পারেননি,আগামীতে নিশ্চয় ভালো ভালো ফটো দেখতে পারবো আমরা।স্ট্রিট ফুডের টেস্ট নিয়ে তো আবার ঝামেলায় পড়লেন।যাইহোক চায়ের সাথে মজা করেই খেয়েছিলেন তো মনে হয়।তারপর রাতে মজাদার খাবার খেয়ে ঘুমালেন।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

সুস্বাগতম দাদা। বাংলাদেশে আগমন হয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করেই কেনাকাটার পুরো গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। পথের পাশে খাবারগুলো চোখের ঝলক আনলেও পেটের বারোটা বাজিয়ে দেয়।যাক অল্পের মধ্যে দিয়ে গেলো আরকি।অনেক শুভকামনা রইলো দাদা পরিবারের সকলের জন্য।

 7 months ago 

দাদা প্রথমে জানাই বাংলাদেশে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি বাংলাদেশে সবাইকে নিয়ে এসেছেন। হ্যাঁ দাদা এখানকার গ্রামগুলো প্রায় শহরের মতো হয়ে গেছে এখন এখানকার গ্রামেও সবকিছু পাওয়া যায়। সবাই মিলে ভালোই কেনাকাটা করেছেন। ভাজাপোড়া খেয়ে পেটের অবস্থা খারাপ হয়েছে জেনে একটু খারাপ লাগলো দাদা তবে রাতে খাবার খেয়ে ঘুম দেওয়ার পরে এখন আবার সুস্থ আছেন যেন ভালো লাগছে। পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে আপনার সময়টা ভালো কাটুক এই কামনা করি দাদা। আপনাদের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 7 months ago 

হাহাহা!! দাদা খুব হাসি পাচ্ছিল আপনার পেটের অবস্থা শুনে। হঠাৎ করে স্ট্রিট ফুড খেয়ে বিপাকে পরে গেলেন। তবে ভালো করেছেন রাতে গরম গরম ডাল ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে। দাদা, গ্রাম কিন্তু এখন অনেক উন্নত হয়েছে। মোটামোটি ভালো কাপড়চোপড় পাওয়া যায়। আপনি বাংলাদেশে ভালো সময় কাটাতে পারবেন আশা করছি 🌼

 7 months ago 

স্বাগতম দাদা বাংলাদেশে। বাংলার গ্রামে গ্রামে এখন সব সুবিধাই আছে।ডিস ,ইন্টারনেট বিদ্যুৎ ,যদিও বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে সমস্যায় ফেলে। আর রাস্তাঘাট ও বেশ পাকা অনেকটা। আর প্রায় গ্রামে এখন কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন দোকানও রয়েছে। বেশ সুন্দর সময় কাটুক আপনার বাংলাদেশে এই কামনা করি। বাংলাদেশে আপনার ভ্রমন শুভ হোক।

 7 months ago 

দাদা আপনি বাংলাদেশে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জ গুলো এখন বেশ উন্নত হয়েছে। সব জায়গায় পছন্দের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকাই মসলিন শাড়ি সবার কাছেই অনেক পছন্দের। আর সিঙ্গারা, পিয়াজু, কিংবা গরম গরম তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে অনেক সময় পেটের সমস্যা হয়ে যায়।

Coin Marketplace

STEEM 0.26
TRX 0.13
JST 0.032
BTC 61035.98
ETH 2886.89
USDT 1.00
SBD 3.67