গ্রাম বাংলার কিছু নৈসর্গিক দৃশ্যাবলীsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year


গ্রাম বাংলা আসলেই নৈসর্গিক দৃশ্যের এক স্বর্ণখনি । এর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দু'চোখ ভরে শুধু নয়, হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে ভালো খুব । একবার গ্রাম বাংলার এই অসাধারণ দৃশ্যাবলী উপভোগ করার পর আর শহরের ইট কাঠ লোহার খাঁচায় ফিরতে ইচ্ছে করে না ।

তবু সেই ফিরতেই হয় । গ্রাম যতই ভালো লাগুক না কেন আমাদের যাবতীয় কাজ সেই শহর কেন্দ্রিক । তাই, কাজের সুবিধার্থেই স্বর্গ ফেলে সেই নরকেই থাকতে হয় । গ্রামের অকৃপণ প্রকৃতি, মুক্ত উদার আকাশ আর খোলা বাউল বাতাস মানুষকে স্বার্থপর আর লোভী হওয়া থেকে বিরত রাখে ।

আমি সারাদিন গ্রামে টো টো করে ঘুরছি আর এর অপার সৌন্দর্য আমাকে বারে বারে বিমোহিত করছে । আজকে গিয়েছিলাম ধান আর সবজি খেতে । লেবু তুলেছি, ধানের শীষ থেকে ধান ছিঁড়েছি, বেগুন ক্ষেত থেকে এক ব্যাগ ভর্তি বেগুন তুলে এনেছি । কাল বেগুন পোড়া, বেগুন ভাজা আর বেগুনের ঝোল খাবো পুঁটি মাছ দিয়ে ।

ঘুরতে ঘুরতে ছোট্ট একটা খালের কাছে এসে পড়েছিলাম । খালের উপরে ছোট্ট একটা পুল । পুলের দু'ধারে নেট দিয়ে ঘেরা কিছুটা জায়গা । পুঁটি, ট্যাংরা, খলসে আর চিংড়ি প্রভৃতি ছোট ছোট সব মাছ ধরা হয় এই খাল থেকে । খাল থেকে ফিরে দেখলাম একটা গাছে প্রচুর বাতাবি লেবু ফলে আছে । টিনটিন বায়না ধরলো তাকে লেবু পেড়ে দিতে হবে । শেষমেশ গোলটুর আবদারে গাছের মালিক নিজে এসে বেশ বড় সাইজের দুটো বাতাবি লেবু পেড়ে গোলটুর হাতে দিলো ।

তো চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের ফোটোগ্রাফি - "গ্রাম বাংলার কিছু নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী" ।


গাছগাছালিতে ছাওয়া গ্রামের রাস্তার দু'ধারে ঘুঁটে দেওয়া হয়েছে সার সার ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


ধান পেকে গেছে, কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষা শুধু ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৪০ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


রাস্তার দু'ধারে গাছ গাছালির ফাঁক দিয়ে পাকা শষ্যে ভরা ক্ষেত দেখা যাচ্ছে ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


আর থাকতে না পেরে ধান ক্ষেতে ঢুকে গেছিলাম । ধানের শীষ থেকে পাকা ধান ছিঁড়েছি । ধানের খোসা কিছুটা ধারালো আছে দেখলাম ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


রাস্তার দুই সাইডে প্রচুর তাল আর খেঁজুর গাছের সারি রয়েছে । দারুন লাগে দেখতে ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


ছোট্ট একটা খালের পাড়ে বট, অশ্বথ, তাল, খেঁজুর, কলা প্রভৃতি গাছের সারি ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ০৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


গোলটু বাবুর ফোটো উইথ নেচার ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


গ্রাম বাংলার শীতকালীন সবজি ক্ষেত ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ২০ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


কিছু random ফোটোগ্রাফি - আকন্দ ফুল, বুনো ফুলের ঝোপ, লতা-গুল্ম আর কলার মোচা ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡


Sort:  
 last year 

দাদা একদম ঠিক বলেছেন গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, খোলা বাতাস আর শীতল হাওয়া মানুষকে স্বার্থপর আর লোভী হওয়া থেকে বিরত রাখে। নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য গ্রামের সৌন্দর্য ঘেরা স্বর্গ ফেলে ইট পাথরে ঘেরা নরকে ফিরে আসতেই হবে। যাই হোক আপনার ঘুরাঘুরি আর গ্রামের এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক দিন পর গ্রামের খুব সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখতে পেরেছি। পাকা ধানের ক্ষেত দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এছাড়া রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সারিসারি গাছগুলো দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে। সবশেষে টিনটিন সোনার রাস্তায় দাঁড়ানো ফটোগ্রাফি আরও বেশি সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ দাদা গ্রামের এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য সত্যি হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয় ।হৃদয় দিয়ে অনুভব করলেই এর সৌন্দর্যটা উপলব্ধি করা যায়। বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি। আসলে গ্রামে অনেকদিন ঘোরাঘুরির পর শহরের যেয়ে কেমন যেন লাগে। তার পরেও শহরে সবাইকে ফিরতে হয় ।প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো ছিল ।পাকা ধান গুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে।টিনটিন খুব আনন্দে আছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন।

এই গ্রামাঞ্চলের দৃশ্যগুলি কেবল অত্যাশ্চর্য এবং দেখার জন্য একটি আনন্দ, ধন্যবাদ

 last year 

দাদা গ্রাম বাংলার এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে অনেক ভাল লাগে।গ্রামের মানুষ অনেক সহজ-সরল।শহরের মানুষের মত এত জটিল না।আপনি তো ক্ষেত থেকে বেশ কিছু সবজি নিলেন বেগুনের ঝোল খাবেন পুঁটি মাছ দিয়ে বেশ মজার হবে।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো মন ছুঁয়ে গেলো দাদা।

 last year (edited)

গ্রাম বাংলা আসলেই নৈসর্গিক দৃশ্যের এক স্বর্ণখনি ।

আমি আপনার কথার সাথে একমত দাদা। গ্রামের মুক্ত সুন্দর পরিবেশ দেখলে প্রানটা জুড়িয়ে যায়। আর শহরে আসতে ইচ্ছে করে না। দাদা টিনটিন সোনাকে কিন্তু প্রকৃতির মাঝে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। আর সত্যি বলতে গ্রামের প্রতিটি ছবি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে সবজি ক্ষেত আর ধান ক্ষেত আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর খাল বিল দেখলেই ইচ্ছে করে যদি একটু নেমে মাছ ধরতে পারতাম। দাদা ছবিগুলো ভীষণ ভালো লাগলো।

 last year 

গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় কিছু ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করলেন, প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে,টিনটিন বাবুর ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ।

 last year 
গ্রামে গেলে মন একদম ভাল হয়ে যায়। এত সুন্দর প্রকৃতির দৃশ্য, পাখির কিচিরমিচির ডাক, মুক্ত বাতাস পেলে ভাল না লেগে উপায় আছে? আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন দাদা। নিজেই সবজি পেরে নিয়ে এসেছেন জেনে ভাল লাগল। টিনটিন সোনাকে অনেক কিউট লাগছে। ওর নিশ্চয়ই অনেক ভাল লাগছে খোলা পরিবেশ পেয়ে । আমার কেন জানি বাংলাদেশের গ্রামের মত লাগছে জায়গাগুলো। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মনোরম গ্রামের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
 last year 

আমার তো প্রায় সব সময়েই মনে হয় গ্রামে চলে যাই । গ্রাম বাংলার অপুরূপ রূপে নিজেকে রাঙিয়ে তুলি নতুন করে। এখানে গ্রাম বাংলা অপরূপ রূপ বৈচিত্র। আর আমাদের টিনটিন বাবু যেন একাকার হয়ে গেছে সেই রূপের সাথে।

What a beautiful area is it filled nature and simplicity, and also Tintin baba look like a part of that, because of his cute and innocent look.

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.13
JST 0.033
BTC 67205.80
ETH 3112.68
USDT 1.00
SBD 3.71