অনুগল্প "ভালোবাসার রঙ"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)


Copyright Free Image Source : PixaBay


পাড়ার ছেলে অর্ণব । সদ্য সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বাড়িতেই বসে আছে । কিচ্ছু করে না । চাকরি করা ঘৃণার চোখে দেখে । পড়াশোনা করেছে শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য, এই ভাষণে সবাইকে জ্বালিয়ে মারে শুধু । তাই, মা-বাবা, দাদারা কেউ পারতপক্ষে আর চাকরি নিয়ে তার সাথে কথা বলে না । দাদারা ভালো চাকরি করে, বাবা সরকারি বড় অফিসার ছিলেন, এখন রিটায়ার্ড । অর্থের কোনো অভাব নেই । তাই, অর্ণব বেকার ।

ঠিক, বেকার বলা যাবে না তাকে, ফেসবুকে কবিতা লেখে সে রাত জেগে । আর সারাদিন টো টো করে পাড়ায় ঘুরে বেড়ায় । বাউন্ডুলে ছন্নছাড়া তার জীবন ।

নিনি ওরফে নির্ঝরিণী এই পাড়ারই মেয়ে । গাঙ্গুলি বাড়ি । বাপ বিশাল বড় ব্যবসায়ী । এই পাড়ার মধ্যে সব চাইতে বড় বাড়িটা ওদেরই । বিশাল সাদা রঙের প্রাসাদোপম বাড়ি । নিনির দাদার শৈশবের বন্ধু অর্ণব । আড্ডা মারতে তাই প্রায়ই ওদের বাড়ি যায় । দুই বন্ধু একই সাথে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বাড়িতেই বসে আছে । পার্থক্য শুধু একটাই । নিখিল ফ্রীল্যানসিং করে । প্রচুর ক্লায়েন্টস ওর । অর্ণব রাত জেগে কবিতা লেখে আর নিখিল রাত জেগে সফটওয়্যার ডেভেলপ করে ।

নিনি অর্ণবকে দেখলেই পিছে লাগে । তার লেখা কবিতাগুলো হাসির খোরাক বানিয়ে ফেলে । অথচ, সব কবিতা নিনিকে উদ্দেশ্য করেই লেখে অর্ণব । এ এক অব্যক্ত প্রেম । নিনিকে ভালোবাসে অর্ণব । কিন্তু, আজ পর্যন্ত মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারেনি সে । বয়সের পার্থক্যটা তাকে কিছুটা ভাবায় । তার পড়াশোনা শেষ, আর নিনি সামনের বছর মাধ্যমিক দেবে । সদ্য কিশোরী সে । বয়সের তুলনায় যথেষ্ঠ সপ্রতিভ সে । পড়াশোনায় তুখোড় ।

গতবছর পুজোর সময় বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়েছিল সে । পুজো মণ্ডপে তাকে হঠাৎ দেখেই ভীষণ ভালো লেগে যায় অর্ণবের । যেন সদ্য প্রস্ফুটিত সাদা একটি ফুল । ভীষণই আদুরে, ভীষণই দামী সে । প্রথম শাড়ি পরেছিলো নিনি সেদিন । লজ্জা করছিলো তার ভীষণ । মুগ্ধ চোখে অনেক্ষন ধরে তাকে দেখছিলো অর্ণব ।

এর আগে কোনোদিন নিনিকে এভাবে দেখেনি সে । বন্ধুর ছোট বোন, তাই নিনিকে ছোট বোনের মতোই দেখে এসেছে এতকাল ধরে । আজ এ কি হলো ? কোনোদিনও কোনো মেয়ের প্রেমে না পড়া অর্ণবের মনে আজ এ কিসের ঢেউ লাগলো ? অসম্ভব ভালো লাগার আমেজ তাকে বেশ কিছুক্ষন ধরে একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে দিলো । বন্ধুদের বার বার তাড়নায় অবশেষে সম্বিৎ ফিরে পেয়ে কাজে হাত লাগালো । অঞ্জলি শুরু হবে এখুনি ।

শেষ রাত্রে ঘুমোতে এসে অর্ণব আর ঘুমোতেই পারেনি । অশ্বিনের শেষ রাতে এখন হালকা হিম পড়ে । সেই ঠান্ডা বাতাসে ছাদে দাঁড়িয়ে নিনিদের বাড়ির দিকে নির্নিমেষে তাকিয়ে থাকা । কোথা দিয়ে যে রাত কেটে প্রভাত হয়ে গেলো, টের পেলো না । শুধু, একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো বুক চিরে ।

এরপর থেকে যতবারই নিনির কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেছে নিনি উল্টো বুঝেছে । তার ছোটবেলা থেকেই অর্ণবের পেছনে লাগা অভ্যাস । জ্বালিয়ে মারে সে অর্ণবকে । তার ইয়ার্কি ফাজলামিতে অর্ণবের পাগল হওয়ার দশা । ইশারা ইঙ্গিতে বোঝাতে চেয়েছে নিনিকে সে ভালোবাসে । আর নিনি উল্টো বুঝে ঠাট্টায় ঠাট্টায় তার জীবন বিষময় করে তুলেছে ।

অর্ণব কবিতা লেখে । খুব, একটা খারাপ লেখে না । যদিও নিজের কাছে তার খুবই ফালতু মনে হয় । কিন্তু, ইতিমধ্যে তার একটা ফ্যানবেজ তৈরী হয়ে গিয়েছে । প্রচুর তরুণী হিয়া উদ্বেলিত হয় তার কবিতা পড়ে । টুং, টুং করে প্রচুর মেসেজ আসে তার মেসেঞ্জারে । শুধু যার কাছে থেকে সীমাহীন প্রত্যাশা তার কাছ থেকে আসে সীমাহীন অবজ্ঞা আর ঠাট্টা ।

নিনি অর্ণবের প্রেমের কবিতাগুলোর প্যারোডি করে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে ফান শর্ট রিলে করে ছেড়ে দেয় ফেসবুকে । বিপুল জনপ্রিয়তা পায় সেই ফানি শর্ট ভিডিও গুলো । আর বুকের মধ্যে একটা কষ্ট ঘুরপাক খায় অর্ণবের । দিনে একবার করে হলেও নিনির সাথে তার দেখা হওয়া চাইই । তাই বিকেলের দিকে চা খেতে নিনিদের বাড়ি আসে অর্ণব । নিনি এই সময়টাতে স্কুল থেকে ফিরে চায়ের সরঞ্জামে বৌদিদের হেল্প করে ।

অর্ণবের সাথে দেখা হলেই বলে - "কি খালবাবু, আজকে চায়ের সাথে কি খাবেন আপনি ?"

অর্ণব মানে সমুদ্র, নিনির মতে অর্ণব মোটেও সমুদ্রের মতো হয়নি, বড়জোর ওকে খাল বলা যেতে পারে । অবশ্য বাইরে সবার সামনে অর্ণবদা বলেই ডাকে । তারপরে জিজ্ঞেস করে আজকে খাল থেকে কি চুনো মাছ ধরলে ? তারমানে অর্ণবের কবিতাগুলোকে মিন করছে ।

অর্ণবের আরেকটা নাম হলো রাঙামুলো । এটাও নিনির দেওয়া । দোষের মধ্যে অর্ণবের গায়ের রং বেশ ফর্সা । নিনির গায়ের রং বেশ চাপা, শ্যামলা । কই, তা বলে তো নিনিকে কোনোদিনও কালো জাম বলে ডাকেনি সে ।

নিনিকে আগে তুই তুই করে ডাকতো অর্ণব । হঠাৎ, যেদিন তুমি বলে ডাকলো সেদিন নিনির রিএকশনে বেশ কষ্ট পেয়েছিলো অর্ণব । নিনি বলেছিলো তাকে -

"তোমার মতলব কি অর্ণবদা ? হঠাৎ বড় যে তুমি তুমি করে বলছো ? প্রেম ভালোবাসার কোনো মতলব থাকলে ছাড়ো । ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেব প্রেম ।"

-"না, না, তুমি বড় হয়ে যাচ্ছ তো তাই, আর তুই করে ডাকা ভালো দেখায় না । তাই, তুমি করে বলা আর কি !", অর্ণব আমতা আমতা করেছিল সেদিন ।

-"দেখো, আমি অতো বোকা মেয়ে না, সেদিন পুজো মণ্ডপে অমন লুচ্ছার মতো তাকিয়েছিল কেন আমার দিকে ? কিছু বুঝি না না ?"

এর উত্তরে কিছু না বলে শুধু একটা শুকনো ঢোঁক গিলেছিলো অর্ণব । সেদিন সে মুগ্ধ অবাক বিস্ময়ে নিনিকে দেখছিলো । তার চাউনিতে শুধু মুগ্ধতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না সেদিন । অথচ মেয়েটা কি কঠিন কথা শুনিয়ে দিলো সেদিন ।

সপ্তাহ খানেক আর যায়নি নিনিদের বাড়ি অর্ণব । কিন্তু, রবিবারের এক সকালে অর্ণবদের বাড়িতে এসে নিনি হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে গেলো অর্ণবকে । আজ যে হোলি । রঙ খেলা । সেদিনটা খুবই উপভোগ করেছিল নিনির সাথে । আগেকার দুঃখ ভুলতে পেরেছিলো । ভীষণ এনজয় করেছিল দোলের দিনটা ।

এ ভাবে কেটে গেলো বেশ কয়েকটা দিন । বছর ঘুরে আবার এলো পুজো । এই এক বছরে অর্ণব পুড়েছে অনেক । এবং, এও উপলব্ধি করতে পেরেছে তার প্রেম অব্যক্তই থেকে যাবে । প্রকাশিত হবে না কোনওদিন । নিনি হয়তো অন্য কাউকে ভালোবাসে । তবে, অর্ণব শুধু তাকেই ভালোবেসে যাবে ।

সপ্তমীর সকাল । অঞ্জলীর সময় এখন । অর্ণব দূর থেকে দেখতে পেলো একটি সাদা শাড়ি পরে শুভ্রা রাজহংসীর মতো যেনো ডানা মেলে নিনি আসছে । গতবছরের কথা মনে পড়ে গেলো অর্ণবের । আস্তে করে সরে গেলো সে সেখান থেকে । বাড়ি চলে এলো লুকিয়ে । বাড়ি পুরো ফাঁকা । সবাই পুজো প্যান্ডেলে । নিজের ঘরে বেডে উপুড় হয়ে শুয়ে মোবাইলে একটা রবীন্দ্রসংগীত চালিয়ে দিয়ে চোখ বুজে তন্ময় হয়ে গেলো -

"যদি জানতেম, আমার কিসেরও ব্যথা
তোমায় জানাতাম, যদি জানতেম
কে যে আমায় কাঁদায়
আমি কী জানি তার নাম"

সহসা পিঠে যেন কার নরম একটা হাত স্পর্শ করলো । নতুন শাড়ির খস-খস শব্দ, প্রসাধনীর মিষ্টি একটা গন্ধ আর পায়ের মলের হালকা একটা রিনঝিন শব্দ ।

দ্রুত, চিৎ হলো অর্ণব । নিনি । কখন জানি চুপটি করে এসে বসেছে তার পাশে । কপালে হালকা ঘামে ভেজা দু'চারটি চূর্ন কুন্তল । নাকের দু'পাশে হালকা ঘামের একটি দুটি বিন্দু । চোখ ছল ছল । নিঃশ্বাস ভারী । হালকা প্রসাধনীতে শ্যামলা রঙ উজ্জ্বল চাঁপা ফুলের মতো ফুটে উঠেছে । রক্ত লাল লিপস্টিকে ওষ্ঠদ্বয় রঞ্জিত ।

কেউ কোনো কথা বললো না খানিক্ষন । এরপর নিনিই নীরবতা ভঙ্গ করলো প্রথম -

"তোমাকে কত খুঁজলাম প্যান্ডেলে । পেলাম না ।"

-"ভয়ে পালিয়ে এসেছি নিনি । যদি তুমি আবার ভুল বোঝো সেদিনের মতো, তাই চলে এসেছি ।"

-"তুমি বোকা না হলে সেদিনই বুঝতে পারতে কেন আমি রাগ করেছিলাম !"

-"কেন ?"

-"সেদিন আমার সাথে আমার বান্ধবীও শাড়ী পরেছিলো । তোমার ওই রকম তাকানিতে সে এখনও তোমার প্রেমে হাবুডুবু খায় । আমার কেমন লাগে বোলো ?"

-"আর আমার কবিতা ?"

-"তোমার কবিতা শুধু আমার একার । কেন অন্য মেয়েরা পাগল হবে ? তাই আমি ফানি ভিডিও বানাই তোমার কবিতা নিয়ে ।"

অর্ণব আর কিছুই বলতে পারে না । দুজনেই দুজনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে । দু'জন দু'জনের চোখের তারায় সহসা জীবনে বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পায় । অর্ণব ধীরে ধীরে হাত বাড়িয়ে নিনির কোমল হাতখানা ধরে ফেলে । ফিস ফিস করে বলে -

"নিনি ..."

অশ্বিনের প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোয় দুটি নর-নারী সারাজীবন এক সাথে থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে । অর্ণবের মোবাইলে তখন বাজছে -

"বধু কোন আলো লাগলো চোখে ।।
বুঝি দীপ্তি রূপে ছিলে সুর্যলোকে
ছিল মন তোমারই প্রতীক্ষা করি
যুগে যুগে দিন রাত্রি ধরি"

Sort:  

Thank You for sharing Your insights...

 2 years ago 

অর্ণবের আর বলতে হয়নি কিছু। নিনি নিজে থেকে এসেই তার ভালবাসার প্রকাশ করেছে। সেবারের পুজোটি অর্ণবের কাছে চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে। ভালবাসা পূর্ণতা পেলে ভাল লাগে। গল্পটি খুব খুব খুব ভাল লেগেছে দাদা। আপনার জন্য ভালবাসা অবিরাম।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 2 years ago 

পৃথিবীতে পবিত্র বলতে আজকাল খুব কম জিনিষ পাওয়া যায়।কারণ সৃষ্টিকর্তার তৈরি পবিত্র সবকিছুতেই আমরা কেনো একটা অপবিত্রতা ছড়াই।তাও সব খারাপের মাঝেও এমন ভালো কিছু পবিত্র ভালোবাসা থাকে।যে ভালোবাসায় কোনো খাদ থাকেনা,থাকেনা কোনো অপবিত্রতা।আজকে লেখক সে পবিত্র প্রেম তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তাই মনে হলো আমার।
নিনি সত্যিই খুব ভাগ্যবতী।দারুণ লিখেছেন দাদা।😻😻

 2 years ago 

জানি পুজো অনেক দিন বাকি তবে কেন যেন অর্ণব-নিনির কথা গুলো পড়ে শারদীয়া পুজো সংখ্যার কথা বারবার মনে আসছে। দারুন লেগেছে আমার দাদা।

অব্যক্ত ভালোবাসা গুলো প্রেমে পরিণতি পাক। 🤗🧡

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

চমৎকার লিখেছেন দাদা। গল্পটি পড়ে প্রথমদিকে ভাবছিলাম হয়তো অর্ণবের ভালোবাসাটা অব্যক্ত রয়ে যাবে ।নিনির আচরণে হয়তো কোনদিন সে বলতেই পারবেনা ।কিন্তু শেষ পরিণয় টা বেশ ভাল লাগল ।অবশেষে নিনিই তাকে ভালোবাসার কথা বলল ।প্রথমদিকে আমার ও দু একবার মনে হয়েছিল নিনিও হয়তো ভালোবাসে কিন্তু প্রকাশ করে না ।মেয়েরা এমন করলে বুঝতে হবে সেও ভালোবাসে।পরে অবশ্য দেখলাম সেটাই হলো ।সবকিছু মিলিয়ে বেশ চমৎকার ছিল ।এরকম রোমান্টিক গল্প পড়তে বেশ ভালো লাগে। এরকম প্রেমের গল্প গুলো পড়লে মনে হয় যেন আরও একবার প্রেমে পড়ি।

 2 years ago 

ভালবাসলে বুঝি এমনই হয় অন্য কেউ নজর দিলে হিংসা হয়।আর যদি অন্য কেউ প্রেমে হাবুডুবু খায় তাহলে তো কোন কথাই নেই,।। তবে আজকের শেষটা কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। কয় জনই বা এভাবে ভালোবেসে কবিতা লিখতে পারে।বেঁচে থাকুক ভালোবাসা।ধন্যবাদ

 2 years ago 

দাদা প্রথমেই বলবো গল্পের শুরু এবং শেষ দারুন আর মাঝের টুকু তো কথাই নেই। গল্পের ভেতরে যে ঢুকবে সে পুরটা না পড়ে বের হতে পারবে না। হৃদয় ছোয়া দিয়ে যাওয়া কথা গুলো খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। নির্ঝরিণী যখন অর্ণবের ঘরে নিশ্চুপ ভাবে ঢুকলো তারপর নির্ঝরিণীর রুপের যে বর্ননা দারুন লেগেছে। গল্পের মাঝে রবীঠাকুরের গানের কলি গুলো অসাধারন মিশ্রন আমি মনে করি।


আপনার গল্প পড়ে মনে পড়লো পূজোর চাঁদার রশিদের পেছনে লিখে দিয়েছিলাম যদি শাড়ী পড়ে পূজা মন্ডপে আসো তবে বুঝবো ভালোবাসো। সেদিনে সে শাড়ী পরে কথা রেখেছিল। হা হা । ভাল থাকবেন দাদা শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।

 2 years ago 

দাদা আমি যদিও রোমান্টিক গল্প খুব একটা পড়িনা, তবে আপনার এই গল্পটি সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এত সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্প লিখতে পারেন আপনি জানা ছিল না। এতদিন জানতাম আপনি শুধু কবিতাই লিখতে জানেন প্রেমের গল্প লেখাতেও আপনার হাত যে চমৎকার সে কথা কি কেউ পনাকে বলেছে? যাইহোক বেশি প্রশংসা বাঙালির জন্য ক্ষতিকর। তাই আজ আর কিছু বললাম না। পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 71443.06
ETH 3660.17
USDT 1.00
SBD 3.73