ফটোগ্রাফি || এলোমেলো ভাবে তোলা সাতটি ফটোগ্রাফি [২৯ এপ্রিল ২০২৪]
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। ফটোগ্রাফি করা একটি শখের কাজ। এই শখ হয়তো আমাদের অনেকেরই রয়েছে। আমি যখন আমার প্রথম স্মার্ট ফোন কিনেছিলাম, তখন থেকেই ফটোগ্রাফি করার প্রতি আমার একটা আলাদা নেশা ছিল। এই ফটোগ্রাফি গুলো হয়তো তখন কোন কাজে লাগতো না, তবে ফটোগ্রাফি গুলো করলে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করত। যাইহোক, আমাদের কমিউনিটিতে কাজ করার পর থেকে এই শখের কাজগুলো আমি সবার সাথে শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি করে রাখা হয়। আর বিভিন্ন সময়ে সেগুলো তোমাদের সাথে শেয়ারও করে থাকি। আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি, তোমাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। আজকের ব্লগেও সেরকম কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। যাইহোক, তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো নিচে দেখে নেওয়া যাক।
স্থান : বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
প্রথম এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো, সুন্দর এক প্রাকৃতিক দৃশ্য। শহরে কিন্তু এই ধরনের দৃশ্য দেখার কোন সুযোগ হয় না। আমি এরকম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের একটি জায়গায় চলে যাই। সেখানে গেলে চাষের জমি এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ দেখার সুযোগ হয়। যাইহোক, বেশ কিছুদিন আগে এরকম একটি জায়গায় গিয়ে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
স্থান : বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
দ্বিতীয় এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো, একটি দেশি ছাগল। তোমরা কিন্তু এই ছাগল দেখে কেউ মটন রেসিপির করার কথা ভেবে নিও না। হি হি হি..🤭🤭 যাইহোক, দেশি ছাগলগুলো দেখতে কিন্তু বেশ দারুনই লাগে। আমি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে, বিলের মতো একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সবুজ ঘাসের মাঠের উপরে এরকম একটি ছাগলকে বসে থাকতে দেখেছিলাম। আমার বেশ ভালোই লাগছিল ছাগলটিকে দেখতে, সেই জন্যই এই ফটোগ্রাফিটি আমি করেছিলাম।
স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
পূর্বে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো যে জায়গা থেকে তোলা, এই ফটোগ্রাফিটিও সেই জায়গা থেকে তোলা। এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো তিলের ক্ষেত। এরকম তিলের ক্ষেত যদিও শহরবাসীদের দেখার কোন সৌভাগ্য হয় না। তবে যারা গ্রামে থাকে তারা এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখতে পায়। যাইহোক, তিলের ক্ষেত দেখতে গিয়ে সেদিন সাদা তিলের ফুল এবং সবুজ রঙের তিলও দেখতে পেয়েছিলাম। এগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আমি যেখানে গেছিলাম, ওইখানের অনেক জায়গায় এই তিলের চাষ করা ছিল। প্রতি বছরই ওইখানকার স্থানীয় কৃষকেরা এই তিলের চাষ করে থাকে। যাইহোক, এই তিল থেকে যে তিলের তেল হয় তা কিন্তু আমাদের জন্য অনেক উপকারী।
স্থান : মধ্যমগ্রাম ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এই ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো অনেক ধরনের সফট টয়। "সফট টয়" ভালোবাসে না, খুঁজলেও হয়তো এরকম কাউকে পাওয়া যাবে না। বাচ্চা থেকে বড় সবাই এই সফট টয় গুলোকে ভালোবাসে। এগুলো দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগে। আমি বেশ কিছুদিন আগে আমাদের নিকটবর্তী একটি শপিংমলে শপিং করতে গেছিলাম, সেখানে গিয়ে আমি একটি শপে এগুলো দেখতে পেয়েছিলাম। এগুলো দেখে আমি ওই শপটির কাছে যাই এবং এগুলোর দাম-দরও একটু জিজ্ঞেস করি, সেখানে থাকা লোকদের কাছে। এগুলোর বেশ ভালই দাম চাইছিল তারা । যাইহোক, কিনতে না পারলেও সেখান থেকে বেশকয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম, সেগুলোর থেকে একটি ফটোগ্রাফি তোমাদের সাথে এখানে শেয়ার করলাম।
স্থান :বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এই ফটোগ্রাফিটিতে তোমরা একটি ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখতে পাচ্ছো। এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে একটি ইলেকট্রনিক্স ঢাক এবং ঘন্টা। যেগুলো সুইচ দেওয়ার মাধ্যমেই কারেন্টের সাহায্যে অটোমেটিক ভাবে বাঁজতে থাকে। দিন দিন প্রযুক্তির অনেক উন্নতি হচ্ছে এবং মানুষ কত কিছুই না তৈরি করছে। মানুষের তৈরি এইসব জিনিসগুলো দেখলে সত্যিই সারপ্রাইজ হতে যেতে হয়। গত বছর কালী পুজোর সময়, পুজোর কোন একটি প্যান্ডেলের সামনে থেকে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এই ফটোগ্রাফিটিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো পিটুনিয়া ফুল। এই ফুলের গাছগুলো কিন্তু মানুষ শখ করে নিজেদের বাড়িতে লাগিয়ে থাকে। গত বছর আমাদের বাড়ি ছাদেও এই ফুল গাছ লাগিয়েছিলাম। তবে এই ফটোগ্রাফিটি আমি আমাদের বাড়ির ছাদ থেকে তুলিনি। অনেকদিন আগে আমি আমাদের নিকটবর্তী একটি নার্সারিতে গেছিলাম কিছু ফুলের গাছ কেনার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি এই পিটুনিয়া ফুল গাছগুলো রয়েছে। সেই সব গাছে কিছু ফুলও ফুটেছিল, সেখান থেকে মূলত আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। এই ফুলগুলো বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। তাছাড়া মিশ্র কালারেরও হয়ে থাকে।
স্থান : বারাসাত ,নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এইখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছো পাতিহাঁস। হাঁস কিন্তু অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। তবে আমরা সব থেকে বেশি এই পাতিহাঁস গুলোকেই দেখতে পাই। এই হাঁসগুলো আকারে একটু ছোট হয়ে থাকে। যাইহোক, এই ফটোগ্রাফিটি আমি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের একটি জায়গা থেকেই তুলেছিলাম। সেখানে একটু বিলের মত জায়গা ছিল। সেখানকার স্থানীয় লোকেরা এই হাঁসগুলো নিজেদের ডিমের চাহিদা এবং মাংসের চাহিদা পূরণের জন্য পালন করে থাকে।
🍂🍂পোস্ট বিবরণ🍂🍂
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে ছাগলটি দেখে মাটন রেসিপির কথা অনেকেরই মনে পড়বে। বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে ইলেকট্রিক ঘন্টা টা সুইচ দিলে অটোমেটিকলি বাজতে থাকবে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে।
আমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো চোখের শান্তি দেয় এবং মনের প্রশান্তি দেয়।ছাগলের শিয়ে থাকার দৃশ্যটা খুব করে মনে গেথে গেছে আমাদের ছাগল আছে আমি মাঝে মাঝে মাঠে নিয়ে যায় সেও এভাবে থাকে বসে বসে ঘাস খায়।দারুন ছিল সব গুলো ফটোগ্রাফি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি আপনার কাছে দারুন লেগেছে, জেনে খুব খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমিও যখন প্রথম স্মার্ট ফোন কিনেছিলাম যে কোন কিছু দেখলেই তার ফটোগ্রাফি করে নিতাম।যদিও সেগুলো কোন কাজে লাগতো না।তবে এখন আমার বাংলা ব্লগে জয়েন করার পর থেকে ফটোগ্রাফি গুলো কাজে লেগে যাচ্ছে। দেশী ছাগল টা দেখে কিন্তু আমার সবার প্রথমে মটন রেসিপিটার কথাই মনে পড়েছে ভাই, হি হি হি। সফট টয় গুলো আসলেই খুব সুন্দর হয়, যে কেউ এগুলোকে খুব পছন্দ করে। সব মিলিয়ে দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল আপনার।
যে ভয় পাচ্ছিলাম, সেটাই হলো যা দেখছি দিদি! হিহি..🤭🤭
আপনি আজকে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর করে প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করেছেন। আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফী শেয়ার করেন। আশা করছি আপনি সব সময় আমাদের কে এত সুন্দর সুন্দর উপহার দিবেন।
আমার শেয়ার করা এলোমেলো এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, জেনে খুব খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ, আপনার এই প্রশংসামূলক মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এলোমেলোভাবে তোলা ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার হয়েছে ভাইয়া। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সব সর্বশেষ ফটোগ্রাফি পাতি হাঁসের। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ বেশ চমৎকার সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তো। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দৃশ্য, ছাগল,তিলের ক্ষেত আর পিটুনিয়া ফুল সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। একদম ঠিক বলেছেন এই দৃশ্য গুলো কখনো শহরে দেখা যাবে না। আপনি বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা সবগুলো ফটোগ্রাফি যে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং সেই সাথে এইগুলোর বর্ণনা আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে, জেনে খুব খুশি হলাম আপু। আপনার সুন্দর এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার তোলা সব কয়টি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির গোছানো বর্ণনা গুলো পড়ে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার শেয়ার করা এইসব ফটোগ্রাফির গোছানো বর্ণনা গুলো পড়ে আপনার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে, এটা আমার জন্য সত্যিই আনন্দের বিষয় ভাই। ভালো লাগলো, আপনার প্রশংসা মূলক এই মন্তব্যটি পড়ে।
প্রথম ফটোগ্রাফি টা সুন্দর ছিল। এইরকম দৃশ্য শহরে কোথাও পাওয়া যাবে না। এরজন্য কিন্তু গ্রামেই যেতে হবে। সাদার উপর কালা বেশ দারুণ লাগছে কিন্তু ছাগল টা। সফট টয় গুলো বেশ চমৎকার লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
সব মিলিয়ে আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে দারুণ লেগেছে, জেনে খুব খুশি হলাম ভাই । আপনার এই মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।