নতুন কম্পিউটার বিল্ড
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৪শে ফেব্রুয়ারি, শনিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে ঠিকমতো নিজেকেই সময় দিতে পারছি না, এর মধ্যে ইউনিভার্সিটিতে নবীন বরণের একটা প্রোগ্রাম ছিল। আমাদের প্রাক্তন সিনিয়র এন্ড স্টুডেন্ট, আমার গুরু তিনি সবসময় ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রাম হ্যান্ডেল করত। কিন্তু কোন একটা কারণে এবার তিনি নারাজ।
এমত অবস্থায় ডিপার্টমেন্ট হেডের মনে হল এই ব্যক্তিকে ম্যানেজ করার মত একটা মানুষই রয়েছে সেটা আমি। আমি ইন্টার্নিতে রয়েছি তবুও এরকম একটা ঝামেলা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হলো। যাইহোক নিজের পড়াশোনা এবং বিনি পয়সার কাজ এগুলো ছাড়াও নবীন বরণের এই ঝামেলাটাও আমাকে কাঁধে পরল।
যাইহোক আসল কথায় ফিরে আসি, এত সাথে ঝামেলার মধ্যেও কিছু প্রিয় মানুষদের সাথে দেখা করতে ভালো লাগে। মাসখানেক ধরে আপু বলছিল তার ছোট বোনের জন্য একটা কম্পিউটার লাগবে, বেচারী পড়াশোনা করছে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সেকেন্ড সেমিস্টারে কিন্তু তার ভালো একটা কম্পিউটার নেই।
আপুর কম্পিউটারের সে আর ব্যবহার করতে চাইতেছে না। তাই আপু আমাকে বলল ৫০-৬০ হাজার টাকার মধ্যে কি মোটামুটি ভালো কম্পিউটার হবে? আমি বললাম হবে মানে দুর্দান্ত হবে। মোটামুটি ভালো একটা কনফিগারেশন এর মধ্যেই নিয়ে আসা যায়, গ্রাফিক্স কার্ড সহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার একটা কম্পিউটার আছে দেখিয়েছিলাম।
যেই দিন আমাদের নবীন বরণ সেদিন আপু কম্পিউটার কিনতে যাচ্ছিল কিন্তু আমি ব্যস্ত বলাতে আমরা একদিন আগে বের হলাম। এত ঝামেলার মধ্যেও একটা দিন ম্যানেজ করা একটু কষ্টসাধ্য ছিল তবে প্রিয় মানুষদের জন্য এতোটুকু তো করাই যায়।
চলে গেলাম আগারগাঁওতে আই ডি বি ভবনে চলে গেলাম রায়ানস শোরুমে, মজার বিষয় হচ্ছে আপু আমাকে নিয়ে গিয়েছিল সবকিছু দেখার জন্য, আমরা ছিলাম চারজন আপু যেহেতু কলেজের টিচার তার কলেজের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের একজন টিচার কেউ সাথে নিয়ে গেল। এতে বেশ ভালই হয়েছে কেননা আমার খুব একটা যাচাই-বাছাই করতে হয়নি, তিনি আমার থেকে বেশ ভালো বোঝেন।
যখন সেখানকার লোক আমাদেরকে মনিটরে দেখাচ্ছিলেন আমরা কি কি দিয়ে তৈরি করতে চাই আমাদের কম্পিউটারটি, আর স্যার যখন সব অপশন সিলেক্ট করছিল আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল আমিও একটা কম্পিউটার নিলে ভালো হতো। আমি মাত্র ৮ gb রেম দিয়ে চলছে, আর এখানে দেয়া হচ্ছে ৩২, এছাড়া প্রত্যেকটা জিনিস তো আপডেট হয়েছে।
যদিও আমার কম্পিউটার নিয়েছি ৬ বছরের মত হয়ে যাবে, পরবর্তীতে অনেক কিছু আপডেট করেছে হয়তো, তবে যেহেতু ডিভাইস প্রেমি আপডেট করে ও যেন মন ভরে না, আমার ডিভাইসটিও দিব্যি রকেটের গতিতে চলছে, কিন্তু ওই কম্পিউটারের কাছে মনে হচ্ছে মার খেয়ে যাবে যাবারই কথা, চাকরিটা কনফার্ম হয়ে গেলে চেঞ্জ করে ফেলব নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম।
আমাদের কম্পিউটার বিল্ড হয়ে গেলে আমরা বাহিরে আসলাম বেশ জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করলাম, তারপর বাসায় চলে আসলাম, আমাদের যে স্যার ছিলেন তিনি তখন এটা সম্পর্কে এক্সপার্ট তাই বাসায় এসে সব সেটআপ উনিই করলেন আমি একটু সাহায্য করলাম।
এই কেসিংটা আমি পছন্দ করেছিলাম, ইদানিং আরজিবিওয়ালা একুরিয়াম কেসিং গুলো খুব বেশি চলছে, তাই আমার পছন্দ মতোই নেয়া হলো, সেখানে আমাদের ছোট বোনও ছিল, সে বারবার বলছিল ভাইয়া তোমার যেটা পছন্দ সেটাই নাও। তাই স্যারের চয়েজের উপরেও আমি কিছু এডিট করেছিলাম।
যাইহোক নতুন একটা কম্পিউটার বিল্ড করা আনন্দের একটা বিষয় সেটা যারই হোক। প্রয়োজনীয় যে সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন সেগুলো ইন্সটল করা হলো, মোটামুটি আপনারা সবাই খুশি, ভালো একটা সময় কাটল এবং ছোট বোন একটা উপহার পেল তার বড় বোনের কাছ থেকে এসে খুশির মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরেছি এতেই আমি আনন্দিত।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার বোনের জন্য নতুন কম্পিউটার কেনার বিষয়ে পুরো পোষ্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ ভাই এটা ঠিক যে নিজের যে কোনো জিনিস পুরনো হলে অন্যের কিছু দেখলে ইচ্ছা হয় কিনতে ৷ যা হোক এটা আমার মধ্যেও ৷
সবমিলে নতুন কম্পিউটার কেনা সেটাআপ সবকিছু দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
তবে সর্বমোট কত টাকা লাগলো যদি বলতেন ৷
৬১ হাজার টাকার মতো খরচ করা হয়েছে। উপরে সবকিছু প্রাইস দেয়া হয়েছিল।