হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রচন্ড গরমের দিনে কিছুটা স্বস্তি পেতে বিকেল মুহূর্তে ফসলের মাঠে ঘুরাঘুরি।
ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। এখন ধানের সময়। কিছুদিনের মধ্যে ধান পাকা শুরু হয়ে যাবে এবং কাটা শুরু হয়ে যাবে। দেখে বুঝতে পারছেন যথেষ্ট ধান পেকে গেছে। কিন্তু প্রচণ্ড রোদ গরমের কারণে কৃষক ভাইয়েরা ঠিক ভাবে ধান কাটতে পারছে না। কিছুদিন আগে মিডিয়ায় লক্ষ্য করলাম ধান কাটা নিয়ে অনেকেই বেশ শংকিত। অনেকেই নাকি রাতে ধান কাটার প্লান করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যাই হোক আমাদের এলাকায় ধান খুবই কম। যতটুকু রয়েছে আবহাওয়া একটু অনুকূলে আসলেই খুব সহজেই কেটে ফেলতে পারবে। তবে কিছুদিন আগে সারাদিন প্রচন্ড রোদ গরমের শেষে বিকেলে একটু স্বস্তির বাতাস অনুভব করলাম। আর্থিক সেই মুহূর্তে চলে গেলাম পুকুরপাড়ে মাছের খাবার দিতে। মাছের খাবার দেয়ার মুহূর্তে প্রচন্ড রোধ আর গরম ছিল। এরপর আস্তে আস্তে সময় সন্ধ্যার দিকে এগিয়ে গেল। রোদের তেজ কমতে থাকলো।
আমিও এদিকে আমাদের পুকুরের পাশে ফসলের জমির দিকে নেমে আসলাম। প্রত্যেকটা ফসলের নিজস্ব ঘ্রাণ রয়েছে। ঠিক তেমনি এক ব্যবসা গরমের সাথে ধানক্ষেতের সুবাস অনুভব করলাম। পাশাপাশি মনে করলাম ছোটবেলা থেকে অতীতের অনেক স্মৃতি। আমাদের এখানে এখন যে সমস্ত পুকুরগুলো হয়েছে আগের পুকুর তো ছিল না। ২০০৮-১০ সালের দিক থেকে এ সমস্ত পুকুর গুলো খনন করা হয়েছে। আগে এখানে প্রচুর পানি বেধে থাকতো। তাই বিলের জমিগুলো আস্তে আস্তে পুকুরে রূপান্তর হয়ে এখন সবই পুকুর হয়ে গেছে। যাইহোক অল্পসংখ্যক এই ফসলের মাঠ রয়েছে। সেখান থেকেও কিছুটা সুন্দর সময় কাটানোর চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে।
সারাদিনের প্রচন্ড গরমের পর যখন হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে ঠান্ডা, তখন খুবই ভালো লাগছিল ফসলের মাঠে। আমার বেশ মনে রয়েছে ছোটবেলায় এই সময় ঘুড়ি তৈরি করা হতো। ফসলের আইনের উপর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দুইজন মিলে ঘুড়ি উড়ানোর চেষ্টা করতাম। একজন নাটাই ধরে টেনে নিয়ে যেতাম, আর একজন ঘুড়ি উঠিয়ে দিতাম। এরপর ধান কাটা হয়ে গেলে ফাঁকা মাঠে ঘুড়ি উড়াতাম। ক্ষণিকের জন্য ফসলের মাঠে উপস্থিত হয়ে কত স্মৃতি যে মনে আসতে থাকল তার নেই শেষ। আগে ফসলের মাঠের এই আইলগুলোর উপর ছাগলের জন্য ঘাস কেটেছি অনেক। আর দশ বছর হয়ে গেল এমন ঘাস কাটা হয় না আর। আগে ফসলের জমি ছিল এমন জমি থেকে নিজেও নিজেদের ধান সংরক্ষণ করেছি। সব সময় এর ব্যবধান।
তবে এখানে উপস্থিত হয়েছে কত সুন্দর অনুভূতি খুঁজে পেয়েছিলাম তা বলে বোঝাতে পারবো না। মাঝে মাঝে প্রশান্তির খোঁজে ছুটে চলতে হয় অনেক জায়গায়। আমি তো এই কয়টা দিন বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত হচ্ছি শুধুমাত্র প্রশান্তির খোঁজে। সারাদিনের গরম শেষে বিকেল মুহূর্ত যেন আর থেমে থাকতে মন চায় না। গত কয়েকদিন আগে রাত্রে উপস্থিত হয়েছিলাম দূরের এক গ্রামে, রাস্তার পাশে টাইলসের সিটে বসে সময় পার করেছিলাম। এরপর স্কুল মাঠে বসেছি এক রাতে। এরপর দিনের বেলায় বসেছি এক পুকুর পাড়ের মেহগনি গাছের নিচে। তবে সকল কিছুর মধ্যে আমার ভালো লেগেছিল ধানের জমিতে উপস্থিত হয়ে। যেন একের পর এক অতীতের অনেকগুলো স্মৃতি মনে করতে পেরেছিলাম। আর অতীতের স্মৃতি বলতে বুঝতে পারছেন মধুর অনুভূতি। যাইহোক এভাবেই কিছুটা সময় ফসলের মাঠে পার করেছিলাম। আর বেশ ভালো লেগেছিল সারাদিনের তাপদাহর মধ্যে একটু প্রশান্তি পেয়ে।
বিষয় | প্রশান্তি খোঁজে ফসলের মাঠে |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মাঠে ঘাটে সোনালী ধান ক্ষেতে ভরপুর। আপনি বিকাল বেলা ধান ক্ষেতের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে ধান ক্ষেতের মধ্যে ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। বাতাসের মধ্যে যখন ধান গাছ গুলো দোলা দেয় তখন আরো বেশি ভালো লাগে। আপনি বিকাল বেলার প্রশান্তি ময় সময় টি ধান ক্ষেতের মধ্যে কাটিয়েছেন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন।
আসলে এরকম সুন্দর ফসলের মাঠে কিছুটা সময় কাটালে মানসিকভাবে প্রচন্ড শান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে পাকা ধানের সুগন্ধে মনটা ভরে ওঠে। যাহোক তোমার লেখা গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই আমাদের এখানেও অসংখ্য জমিনের মধ্যে রাতে ধান কেটেছিল। আমি নিজেও দেখেছিলাম। দিনে প্রচুর রোদ থাকার কারণে দিনের ধান কাটা সম্ভব হয় না। যার কারণে সবগুলো কাজে রাতে করতে হয়। আপনাদের ওখানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে তার জন্য হয়তো সম্ভব হচ্ছে। সন্ধ্যার সময় পুকুর পাড়েও খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। এ সময় গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে, কিন্তু বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে এত বেশি বাইরে যেতে পারি না। খুবই ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন আপনি।
হ্যাঁ নিউজে শুনেছিলাম
গরমের কারণে অনেক কৃষক দিনের বেলা ধান কাটতে পারে নাই। তবে গরমের কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আসলে ধান ক্ষেতে ঘুরতে গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে ধানের ফসল মানুষকে মুগ্ধ করে। আর আপনি ভালই করেছেন মাছের পুকুরে খাবার দিতে গিয়ে ধান খেত ঘুরতে গেলেন। আমাদের বাংলাদেশে কৃষি কাজ বেশি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু পুকুর থেকে ফসলের মাঠ ঘুরে এসেছি