আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকের রেসিপিটি সহজ একটি রেসিপি। কিন্তু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য বেশি এক্সাইটেড কারণ এই মাছগুলো আমি নিজেই বড়শি দিয়ে ধরেছি। গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম বড়শি দিয়ে বেশ কিছু মাছ ধরা ছবি। সেই মাছগুলো বাসায় এনে কেটেকুটে একদম মুচমুচে করে ভেঁজে খেয়েছি। তেলাপিয়া মাছ মুচমুচে করে এরকম ভেঁজে খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া সেই মাছ যদি নিজের হাতে ধরা হয় তাহলে তো কথাই নেই। ছোট তেলাপিয়া মাছে এমনিতে অনেক কাটা থাকে। সেগুলো রান্না করে খেলে তেমন ভালো লাগেনা। কিন্তু এভাবে মুচমুচে করে ভেঁজে খেলে কাঁটা গুলো আর সমস্যা হয়না। সব ভাঁজা হয়ে যায়। খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই আর রান্নার ঝামেলায় না গিয়ে এভাবে মুচমুচে করে ভেঁজে ফেলেছি । আশাকরি আপনাদেরও ভালো লাগবে। তাহলে শুরু করি ।
তেলাপিয়া মাছ
হলুদের গুড়া
মরিচের গুঁড়া
জিরা গুড়া
লবণ
তেল
এই মাছগুলো বরশি দিয়ে ধরেছি। এখন মাছগুলো রেখেছি কাটার জন্য।
মাছগুলো ভালোমতো কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। যদিও মাছ আমি কাটিনি কারণ আমি মাছ কাটতে পারি না ।
এখন মাছগুলোকে মাঝ বরাবর লম্বা করে কেটে নিয়েছি। যাতে মসলাগুলো ভালো মত মাছের ভিতরে ঢুকে।
এখন সব মসলাগুলো মাছের উপরে দিয়ে দিয়েছি ।
মসলাগুলো খুব ভালো মতো মাছের সঙ্গে মিশিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিয়েছি ।
এখন চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়েছি। তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেলগুলো গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি ।
তেল গুলো ভালোমতো গরম হয়ে গেলে মাছগুলো চুলায় দিয়ে দিয়েছি ।
এখন এক পাশ ভালোমতো ভাঁজা হয়ে গেলে মাছগুলো উল্টিয়ে দিয়েছি অপরপাশ ভাঁজার জন্য ।
দুই পাশ ভালো মতো ভাঁজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি। এখানে আমি মাছগুলো আর কিছু করিনি। কারণ মুচমুচে এই মাছগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে।
এখন একটি প্লেটে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এখন মুচমুচে মাছগুলো খাওয়ার পালা। খাওয়ার ছবি আপনাদেরকে দেখাতে পারলাম না। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু দেখছি আমার মতো মাছ শিকারি।আর তেলাপিয়া মাছ ভেজে খেতে আসলেই অনেক দারুন লাগে।মচ মচে যেমন তেমনি সুস্বাদু। ধন্যেবাদ শেয়ার করার জন্য।
না ভাইয়া এইবার দিয়ে দ্বিতীয়বার বরশি দিয়ে মাছ ধরলাম। যখন মাছ অনেক বেশি থাকে তখন ধরতে পারি । তা না হলে পারি না। ধন্যবাদ আপনাকে ।
বরশি দিয়ে মাছ ধরার অনুভুতি অসাধারন।
ওয়াও খুবই অসাধারণ আপনি অনেক সুন্দর করে মাছের ফ্রাই রেসিপি বানিয়েছেন। তেলাপিয়া মাছের কাঁটা অনেক বেশি কিন্তু এটি ভাজি করে খেতে ডাল দিয়ে খুব ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তেলাপিয়া মাছের কাঁটার কারণে এই মাছ এমনিতে খেতে ভালো লাগে না। অবশ্য এভাবে ভেজে খেলে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া গত কালকের ধরা মাছগুলোই। ভাবলাম যে মাছগুলো ধরা থেকে পেটে যাওয়া পর্যন্ত সবই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে আমার খুবই ভালো লাগে।। আমি তো এখনো মাঝে মাঝে সময় পেলে বন্ধুদের সাথে ছোট ভাইদের সাথে নদীতে মাছ ধরতে চলে যায় জাল অথবা বরশি নিয়ে।। বেশ কয়েকদিন আগে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বড় একটা মাছ পেয়েছিলাম যেটার জন্য আসলে আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না।।
নিজে বরশি দিয়ে মাছ ধরে সেই মাছ ফ্রাই করে খেয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।। ভাজা মাছ গুলা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল ভাজা মাছ আমারও খুব ফেভারিট।। মাছগুলো খেতে নিশ্চয়ই খুবই খুবই মজাদার হবে।।
ভাজা মাছ গুলো খেতে খুব মজা হয়েছিল এরকম ভাজা মাছ দেখলে আসলেই লোভ সামলানো মুশকিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।।
আপনি ঠিকই বলেছেন তেলাপিয়া মাছ মুচমুচে করে এরকম ভেঁজে খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া সেই মাছ যদি নিজের হাতে ধরা হয় তাহলে তো কথাই নেই। মাছে যতই কাঁটা থাকুক না কেন মুচমুচে করে ভাজা করে খেলে খুবই সুবিধা হয় খেতে। আমি তো ভাজা মাছ খেতে একটু বেশি পছন্দ করি। এমনিতেই ভাজাপোড়া খেতে সবাই পছন্দ করে থাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মুচমুচ করে ভাজা হলে এ কাটা আর তেমন সমস্যা হয় না। খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও অনেক অনেক আগে বড়শী দিয়ে অনেক মাছ ধরেছি গ্রামে থাকতে। এটা কিন্তু ঠিক তেলাপিয়া মাছে একটু কাঁটা বেশি থাকে এজন্য তরকারি রান্না করে না খেয়ে এই মাছটি ভাজি করে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
এজন্যই তো পুকুর থেকে ধরে এনেই সাথে সাথেই ভেজে খেয়েছি। খুবই মজা লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বড়শি দিয়ে পুকুরে মাছ ধরার পোষ্টিও দেখেছিলাম ৷ আর আপনি বড়শি দিয়ে ধরা মাছ গুলোর মচমচে ভাজি রেসেপি শেয়ার করলেন ৷ দেখে অনেক ভালো লাগলো মচমচে ভাজি মাছ খেতে ভালোই লাগে ৷
ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন ৷
আপনি আমার মাছ ধরার পোস্ট দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আমার পোস্টগুলো দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নিজের হাতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা।আমার খুব ভালো লাগে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে।আমার কাছেও মাছ ধরতে ভালো লাগে।তেলাপিয়া মাছ এভাবে মচমচ করে কড়া ভাজি করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে।ধন্যবাদ
যদি পুকুরে অনেক মাছ থাকে তাহলে অনেক মজা। আর যদি বড়শি ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় তাহলে খুবই বিরক্তিকর।
আহা এমন মুচমুচে মাছ ভাজি আর গরম গরম ভাত ! ঈশ মনে করতেই ভেতরে কেমন যেন হয়ে গেল। মাংসের চাইতেও সুস্বাদু এই খাবার। সব তো ভালো মতই করেছেন দেখছি, কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো মাছটা কি আপনি কেটেছিলেন? 😅। মানে মাছ কাটতে পারে তো আমার আপু! 🤔
বোঝা যাচ্ছে মুখের রুচি খুব ভালোভাবে ফিরে এসেছে। আবারো আমার খাবারের নজর লাগানো শুরু করেছেন। আমি কিন্তু আগেই বলে দিয়েছি আমি মাছ কাটতে পারিনা। আর এই মাছ আমি কাটিওনি।