জেনারেল রাইটিং:- অপ্রত্যাশিত মৃত্যু।

in আমার বাংলা ব্লগ20 days ago

Pink Green Organic Don't Waste Your Energy Quote Instagram Post_20240512_145937_0000.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা আমি কিছু বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। তেমনি আজকেও আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটি বিষয়ের উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আসলে এসব বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং শিখতে পারি। যেগুলা হয়তোবা বাস্তব জীবনে আমাদের কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটা পড়ে।

আজকে আপনাদের মাঝে অপ্রত্যাশিত একটি মৃত্যুর ঘটনা শেয়ার করব। আসলে আমাদের চারপাশে প্রচুর মানুষের আনাগোনা। তার মধ্যে রয়েছে আমাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা পাড়া প্রতিবেশী। যারা আমাদের খুবই আপন জন এবং পরিচিত। নিজের চোখের সামনে কিছু মানুষগুলোকে দেখতে পাই। আর তাদেরকে দেখি আমাদের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত কাজে-কর্মে কিংবা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনে তাদের সাথে দেখা হয়। এরকম একজন মানুষ হচ্ছে আমার একজন চাচী। উনি আমার আব্বুর চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী।

আমাদের বাড়িতে যখন যাই তখনই উনার সাথে দেখা হয়। এমনকি আমাদের ঘরের পাশেই তাদের ঘর । আর এই সূত্রে চাচীর সাথে প্রায় দেখা হয়। কিছুদিন আগে, ঈদের কয়েকদিন পরে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম বেড়াতে। মূলত বেশ কয়েকদিন যাওয়া হয়নি তাই জন্য ভাবলাম কয়েকদিন থাকবো। তো আমাদের বাড়িতে দু'একদিন যখন কাটছিল, তখন আমার এই চাচীর সাথে প্রায় দেখা হতো। এমনকি উনাকে দেখতাম বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। একদিন আমরা আমাদের একটা কাজে সেখান থেকে ফেনী যাচ্ছি।

ফেনী যাওয়ার পথে যখন আমরা ঘর থেকে বের হই, দেখি আমার সেই চাচী ঘর থেকে দূরে একটা জমিনের মধ্যে কি একটা কাজ করছে। আমরা মূলত ফেনীতে যাওয়ার পথেই তাকে দেখে গেলাম। আসলে তখন ও কোন কথা চিন্তা করিনি। আসলে আমরা নরমাল এরকম চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমরা আমাদের কাজে গিয়েছিলাম। ফেনী থেকে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তখন আমরা একটা সিএনজি রিজার্ভ করে এসেছিলাম ফেনী থেকে, যখনই আমাদের বাড়ির সামনে সিএনজি থেকে নামি, তখন দেখলাম আমাদের বাড়ির সামনে অনেক মানুষের ভিড়।

একটু অবাক লেগেছিল কেন এত মানুষ একজোড় হয়েছে। আর একজন মানুষকে জিজ্ঞেস করতেই বলছে আমার ওই চাচীটার এক্সিডেন্ট হয়েছে। এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। পরবর্তীতে শুনলাম ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাইহোক, প্রথমে উনার এক্সিডেন্টের কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। তখন আমরা আমাদের ঘরে চলে গেলাম। ঘরে গিয়ে যখনই ড্রেস চেঞ্জ করছিলাম, হঠাৎ করে অনেক জোরে কান্নার আওয়াজ পেলাম। এরপর শুনলাম চাচিটা আর নেই।

সেখানে তিনি মারা গেছে। ওই মুহূর্তটা আসলে কতটা খারাপ লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে মহিলাটার খুব একটা বয়সও হয়নি। আর উনি সবার সাথে বেশ হাসিখুশি ভাবে কথা বলতো। হঠাৎ করে এই দুর্ঘটনাটা কোনোভাবেই যেন মেনে নিতে পারছিলাম না। তার উপরে আবার নিজের চোখের সামনে একজন ভালো মানুষকে দেখে গেলাম। মুহূর্তে যেন মিলিয়ে গেল। আসলে যদি কোন বয়স্ক মানুষ মারা যায় কিংবা অসুস্থ থাকতো তাহলেও কিছুটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু হঠাৎ অপ্রত্যাশিত কোন মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কঠিন।

উনার এক ছেলে এবং তিন মেয়ে রয়েছে। ওরা তাদের মাকে হারিয়ে যেন একেবারে ভেঙে পড়েছে। এই মৃত্যুটা আসলে কারোরই আন্দাজে ছিল না। হঠাৎ করে এইভাবে একটা মানুষ চলে যাবে এটা সত্যিই খুব কঠিন। ওই দিনটা যেন কোনভাবেই ভুলতে পারছি না। আমার কাছে এরকম লাগতেছে। তাহলে তার ছেলেমেয়েদের জন্য মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। হয়তো বা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু যদি চোখের সামনে এইরকম মৃত্যু হয়, তাহলে আপনাদের সেটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। তারপরেও চাচীর জন্য অনেক দোয়া রইল। আপনারাও তার জন্য দোয়া করবেন। যাইহোক আজকে এই পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন বিষয়ে শেয়ার করব।

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 20 days ago 

বর্তমান সময়ে রোড এক্সিডেন্ট বলুন আর যেকোনো এক্সিডেন্ট বলুন বেড়েই চলেছে। এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত আমাদের কানে আসছে। তবে এক্সিডেন্টে আপনাদের সেই চাচিটা হসপিটালে যেতেই মারা গেছে জেনে খুবই খারাপ লাগলো। অবশ্য এই সমস্ত বিষয়ে আমাদের সবার সজাগ থাকতে হবে জানো পথে ঘাটে চলতে বা অন্য যে কোন মুহূর্তে একটু সজাগ ও সচেতন ভাবে চলাচল করে। এবং অল্প বয়সে ভয়াবহ মৃত্যু সত্যিই অগ্রহণযোগ্য। তারপরও কিছু করার নেই মেনে নিতে হয়।

 19 days ago 

আসলে রোড এক্সিডেন্ট বর্তমানে অনেক বেশি বাড়তেছে। উনার জন্য সত্যি খুব খারাপ লাগতেছে।

 20 days ago 

আপনার চাচীর জন্য দোয়া রইল আপু। আসলে মৃত্যু জিনিসটা এমনই। কখন কার জন্য এসে হাসির হবে আমরা কেউই জানিনা। এক্সিডেন্টে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যুগুলো আসলেই অপ্রত্যাশিত। কারন আমরা একটা মানুষকে একদম সুস্থ স্বাভাবিক দেখি কিন্তু হঠাৎ করেই এমন খবরটা পেলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। কয়েকদিন আগে আমার একটা ফ্রেন্ড চট্টগ্রাম থেকে ঘুরাঘুরি করে আসার পথে এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিল। এই জিনিস গুলো আসলেই খুব খারাপ লাগে।

 19 days ago 

আপনার ফ্রেন্ডের কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো আপু। এই জিনিসগুলো সত্যি মেনে নেওয়া যায় না।

 20 days ago 

কারো হঠাৎ মৃত্যুর কথা শুনলে অনেক বেশি খারাপ লাগে। কার কখন মৃত্যু আছে সেটা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। সুস্থ মানুষ এভাবে হঠাৎ মারা যাওয়া সত্যিই অনেক দুঃখজনক ব্যাপার। সত্যিই আপু হঠাৎ অপ্রত্যাশিত কোন মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কঠিন।আপনার চাচীর জন্য অনেক দোয়া রইল। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করে।

 19 days ago 

সত্যিই অনেক খারাপ লাগে যখন এরকম হঠাৎ মৃত্যু গুলো শুনি। দোয়া করবেন যেন আমার চাচি পরপারে ভালো থাকে।

 20 days ago 

খুবই খারাপ লাগলো আপু আসলে! এমন হঠাৎ করে মৃত্যু আসলে আমাদের কাদাঁয়। তবে মৃত্যুর মাঝে কারো হাত নেই! আমাদের কখন, কোথায় মরণ চলে আসে বলা যায় না। আপনার চাচীর জন্য দোয়া রইল। আল্লাহ তায়ালা যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করে। আমিন 🌸

 19 days ago 

এটাই কামনা করি যেন আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করে। আমিন।

 19 days ago 

আসলে কিছু কিছু অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু আমাদের কে সব সময় কাঁদায়।হোন না সে ব্যাক্তি পরিচিত বা অপরিচিত। এসব মৃত্যু সত্যি মেনে নেয়া কঠিন। ঠিক বলেছেন আপনি অনেক বেশি বয়স্ক মানুষ হলে ততটা খারাপ লাগে না কিন্তুু অকাল মৃত্য গুলো কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 19 days ago 

আসলে এই মৃত্যু গুলো অনেক বেশি কাঁদায় আমাদেরকে। আপনাদের মাঝে বিষয়টা শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগতেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67743.75
ETH 3805.34
USDT 1.00
SBD 3.53